বাংলাদেশে ওষুধ ও চামড়াখাতে বিনিয়োগে আগ্রহী ইরাকি উদ্যোক্তারা

বাংলাদেশের ওষুধ ও চামড়াখাতে বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন ইরাকের উদ্যোক্তারা।

বুধবার (১৬ নভেম্বর) এ বিষয়ে বাংলাদেশ সফররত ইরাকের সুলাইমানি চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির ছয সদস্যবিশিষ্ট প্রতিনিধি দলের সাথে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)’র পরিচালনা পর্ষদের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে এই আগ্রহের কথা জানান দেশটির উদ্যোক্তারা।

ইরাকের প্রতিনিধি দলকে স্বাগত জানিয়ে ঢাকা চেম্বারের সভাপতি রিজওয়ান রাহমান বলেন, ২০২০-২১ অর্থবছরে দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ৫৭ দশমিক ২৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। যেখানে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ প্রায় ৪৯ দশমিক ৬৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। উক্ত সময়ে বাংলাদশের আমদানি-রফতানির পরিমাণ ছিল যথাক্রমে ৫৩ দশমিক ৪৩ মিলিয়ন ও ৩ দশমিক ৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।

তিনি বাংলাদেশ থেকে আরও বেশি হারে শাক-সবজি, আলু, আম, অন্যান্য কৃষিজাত পণ্য এবং বিশেষ করে তথ্য-প্রযুক্তি বিষয়ক সেবা আমদানির আহ্বান জানান। এছাড়াও উৎপাদন ও সেবা খাতে দুই দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগের আরও সম্প্রসারণে ডিসিসিআই সভাপতি দ্বৈতকরণ পরিহারের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলসমূহের বিনিয়োগের পাশাপাশি এদেশে হতে আরও বেশি হারে দক্ষ মানবসম্পদ নেওয়াও প্রস্তাব করেন ঢাকা চেম্বারের সভাপতি।     

বৈঠককালে সুলাইমানি চেম্বারের চেয়ারম্যান সিরওয়ান মোহাম্মদ মাহমুদ জানান, ইরাকের বাজার বাংলাদেশের উৎপাদিত তৈরি পোশাক খাতের পণ্যের প্রচুর চাহিদা রয়েছে এবং তাঁর দেশের বাজার বাংলাদেশের উদ্যোক্তাদের জন্য অত্যন্ত সম্ভাবনাময় ও লাভজনক। দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের অধিকতর উন্নয়নে দুই দেশের মধ্যকার সরাসরি বিমান যোগাযোগ চালুকরণের পাশাপাশি ডিসিসিআই ও সোলাইমানি চেম্বারের মধ্যকার সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের ওপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন।

তিনি আরও বলেন, বিশেষ করে বাংলাদেশের ওষুধ ও চমড়াখাতে একক কিংবা যৌথ বিনিয়োগে ইরাকের উদ্যোক্তারা অত্যন্ত আগ্রহী। সেই সাথে ইরাকে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণে বাংলাদেশের উদ্যোক্তাদের সোলাইমানি চেম্বারের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদানে আশ্বাস প্রদান করেন।