রোববার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪, ঢাকা

কৌশলে রেমিট্যান্স আনার চেষ্টা করছি: পরিকল্পনা মন্ত্রী

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৯ নভেম্বর ২০২২, ০৪:৪৩ পিএম

শেয়ার করুন:

কৌশলে রেমিট্যান্স আনার চেষ্টা করছি: পরিকল্পনা মন্ত্রী

সরকার কৌশলে রেমিট্যান্স আনার চেষ্টা করছে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান।

বুধবার (৯ নভেম্বর) দুপুরে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) কার্যালয়ে 'বৈধ পথে সহজে নিরাপদে ডিজিটাল মাধ্যমে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়াতে করণীয়' শীর্ষক সেমিনারে মন্ত্রী এই কথা বলেন।


বিজ্ঞাপন


পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন, আমরা কৌশলে রেমিট্যান্স আনার চেষ্টা করছি। প্রবাসীরা না খেয়ে আবেগে টাকা পাঠান মা-বাবা বা স্ত্রী সন্তানদের কাছে। আগে দেখতাম ব্যাগে করে টাকা দিয়ে যেত, খেয়ে যেত। প্রথমে বুঝি নাই, এখন বুঝছি তারা হুন্ডিওয়ালা।

দেশে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স কয়েক মাস ধরে ঊর্ধ্বমুখী থাকলেও হঠাৎ করে ধস নেমেছে রেমিট্যান্স প্রবাহে। চলতি অর্থবছরের অক্টোবরে প্রবাসীরা ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠিয়েছে ১.৫২ বিলিয়ন ডলার। গত অক্টোবরের তুলনায় এবার রেমিট্যান্স কমেছে ৭.৪ শতাংশ।

২০২১-২২ অর্থবছরের অক্টোবরে রেমিট্যান্সের প্রবাহ ছিল ১.৬৪ বিলিয়ন ডলার।

গত আট মাসের মধ্যে এটিই (অক্টোবরের রেমিট্যান্স) প্রবাসীদের পাঠানো এক মাসে সর্বনিম্ন রেমিট্যান্স।


বিজ্ঞাপন


একদিকে রিজার্ভ কমে যাচ্ছে, অন্যদিকে রেমিট্যান্স কম আসায় অর্থনীতিতে চাপ বাড়ছে। ফলে সরকারের পক্ষ থেকে নানা ধরনের প্রণোদনা দিয়ে বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠাতে প্রবাসীদের উৎসাহিত করছে।

সবশেষ চলমান ডলার সংকটে বৈধভাবে রেমিট্যান্স বাড়াতে প্রবাসীদের চার্জ ছাড় টাকা পাঠানোর সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া দেশের বাইরে ছুটির দিনে নিজস্ব এক্সচেঞ্জ হাউস খোলা রাখারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 

মন্ত্রী বলেন, ‘হুন্ডিওয়ালা এখানে থেকে পাঠায় না ওখান থেকে পাঠায়। আমার সঙ্গে দেখা করতে এজেন্ট নিয়ে আসে, অথচ সে একাও আসতে পারে। এটা ভাঙতে হবে।’

পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন, ‘মধ্যপ্রাচ্যে যারা লোক পাঠায় তারা অক্ষরজ্ঞান নাই, তাদের একটু প্রশিক্ষণ দিলে দক্ষ হিসেবে কাজ করতে পারে।

এম এম মান্নান বলেন, আমাদের ক্যালেন্ডার বিশ্বের সাথে মিল নেই। আমরা শুক্রবার বন্ধ রাখি, শুক্র-শনি মিলে গড়ে তিনটা দিন হেলায় কাটছে। আরবের অনেক দেশ এখন শুক্রবারেও কাজ করে। এখন আড়াই শতাংশ হারে প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু আজ দেশের বাইরে গেলে কাল অনেকেই পাঁচ লাখ-দশ লাখ টাকা পাঠাচ্ছেন। নিশ্চয় হুন্ডি হচ্ছে। তবে হুন্ডিওয়ালা শুধু এখানে থেকে টাকা পাঠায় না ওখান থেকেও পাঠান।

মন্ত্রী বলেন, আমার সঙ্গে দেখা করতে আমরাই এলাকার মানুষ এজেন্ট নিয়ে আসেন। তার একটা তদবির করাতে এটা করে থাকেন। অথচ সে একাও আসতে পারে। এজেন্ট নিয়ে আসার এই প্রথাটা ভাঙতে হবে। দূতাবাসের অবস্থাও পরিবর্তন করতে হবে। সেখানে কোনো এজেন্টের মাধ্যমে কথা না বলে সরাসরি কথা বলতে হবে। আবার দূতাবাস কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরও ভালো ব্যবহার করতে হবে। কারণ রেমিট্যান্সের ওপর ভর করেই অর্থনীতি শক্তিশালী হয়।

ইআরএফ সভাপতি শারমীন রিনভীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এস এম রাশিদুল ইসলামের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে অর্থনীতিবিদ ও বিভিন্ন ব্যাংকের শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বিইউ/জেবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর