নিলামে ২৫ কেজি সোনা বিক্রি করবে বাংলাদেশ ব্যাংক

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮ নভেম্বর ২০২২, ১২:৪৮ পিএম
নিলামে ২৫ কেজি সোনা বিক্রি করবে বাংলাদেশ ব্যাংক

বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে থাকা স্থায়ী খাতের ১৫৯ কেজি সোনা থেকে ২৫ কেজি নিলামে বিক্রির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মতিঝিল কার্যালয় থেকে এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নিলামে সোনা বিক্রির বিষয়টি জানানো হয়েছে। নিলামের প্রক্রিয়া চলতি মাসেই শুরু হবে। কেবল সনদধারী স্বর্ণের ব্যবসায়ীরা নিলামে অংশ নিতে পারবেন।

করোনার আগে থেকেই দেশে সোনার দাম দফায় দফায় বেড়েছে। আবার কখনো কমেছেও। গত সেপ্টেম্বরে সর্বোচ্চ ৮৪ হাজার ছাড়ালেও বর্তমানে প্রতি ভরি ২২ ক্যারেট সোনা ৮০ হাজার ১৩২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

জানা গেছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের অস্থায়ী খাতে প্রায় ২ হাজার ৯০০ কেজি আর স্থায়ী খাতে ১৫৯ কেজি সোনা রয়েছে। স্থায়ী থেকে ২৫ কেজি বা ২ হাজার ১৭০ ভরি সোনা বিক্রি করা হবে।

শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর বিমানবন্দর, স্থলবন্দরসহ বিভিন্ন জায়গা থেকে অবৈধ বা চোরাচালানের জব্দ করা সোনা এগুলো।

সোনা জব্দ করার পর দোষীদের বিরুদ্ধে মামলাও করে অধিদফতর। মামলা চলাকালে সোনা বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে জমা থাকে। মামলার রায় সরকারের অনুকূলে গেলে এসব সোনা নিলামে বিক্রি করা হয়।

নিলামে যেভাবে বিক্রি হবে সোনা

ব্যাংকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, নিলামে অংশ নিতে স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের হালনাগাদ ট্রেড লাইসেন্স; টিআইএন সনদ; মূসক নিবন্ধন; বিআইএন সনদ; সোনা ক্রয়, মজুত ও সরবরাহের লাইসেন্স; সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী সংগঠনের সদস্যপদ; আর্থিক সচ্ছলতার বিষয়ে ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সনদ; আয়কর পরিশোধের হালনাগাদ সনদ; আবেদনকারী প্রতিষ্ঠান নিবন্ধিত লিমিটেড কোম্পানি হলে কোম্পানির নিবন্ধন সনদ; মেমোরেন্ডাম অব অ্যাসোসিয়েশন,  আর্টিকেল অব অ্যাসোসিয়েশন ও পরিচালকদের হালনাগাদ তালিকা জমা দিতে হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, ১৪ থেকে ২০ নভেম্বর পর্যন্ত আগ্রহী ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল কার্যালয় থেকে দুই হাজার টাকা জমা (অফেরতযোগ্য) দিয়ে দরপত্র শিডিউল ক্রয় করতে পারবেন। এ সময় প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দাখিল করতে হবে। 

পরে সংস্থাটির কর্মকর্তারা যাচাই-বাছাই করে নিলামে অংশ নেওয়ার জন্য যোগ্যদের একটি তালিকা করবে। 

এই পর্যায়ে যেসব সোনার বার, অলংকার, টুকরা বা পাত বিক্রি করা হবে, তা প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা হবে। নির্ধারিত তারিখ ও সময়ে সেখানে উপস্থিত হয়ে সোনা কতটুকু খাঁটি, তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে পারবেন নিলামে অংশ নেওয়ার জন্য যোগ্য প্রতিষ্ঠান। এজন্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের সঙ্গে একজন স্বর্ণকার বা পরীক্ষক যেতে পারবেন। 

এই প্রদর্শনের তৃতীয় কর্মদিবসে দরপত্র জমা দিতে হবে। সঙ্গে দরপত্রে উদ্ধৃত মূল্যের আড়াই শতাংশ অর্থ বায়না বা নিরাপত্তা জামানত হিসেবে জমা দিতে হবে।

পরবর্তী সময়ে সর্বোচ্চ দরদাতা প্রতিষ্ঠানকে সোনা ক্রয়ের কার্যাদেশ দেওয়ার পাঁচ দিনের মধ্যেই বাংলাদেশ ব্যাংকে সব অর্থ জমা দিতে হবে। 

অর্থ পরিশোধ করে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সোনা নিতে না পারলে বাংলাদেশ ব্যাংক দরদাতা প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা জামানত বাজেয়াপ্ত ও প্রতিষ্ঠানটিকে কালো তালিকাভুক্ত করতে পারবে।

বিইউ/এমআর