শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

পুঁজিবাজারে আইপিওতে আসছে ডিএসই

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৫ অক্টোবর ২০২২, ০১:৫৮ পিএম

শেয়ার করুন:

পুঁজিবাজারে আইপিওতে আসছে ডিএসই

প্রাথমিক পাবলিক অফার (আইপিও) মাধ্যমে ২৫ শতাংশ শেয়ার ছেড়ে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে অর্থ উত্তোলন করবে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ বা ডিএসই। যা বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।

বুধবার (৫ অক্টোবর) ডিএসইর ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইফুর রহমান মজুমদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 


বিজ্ঞাপন


তিনি বলেন, ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশনের নিয়ম অনুসারে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার শর্ত রয়েছে। যে জন্য কাজ চলমান রয়েছে। এছাড়াও আইপিওতে আসতে কী কী অগ্রগতি হয়েছে তা জানাতে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কাছে আলোচনা করা হবে বলেও জানান তিনি।

তালিকাভুক্ত হওয়ার জন্য সেলফ লিস্টিং আইনের খসড়াও কমিশনে জমা দেওয়ার কথা জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ২০১০ সালের ধসের পর সরকার ঘোষিত তদন্ত কমিটিতে সুপারিশ করা হয়। স্টক এক্সচেঞ্জকে মালিকানা থেকে ব্যবস্থাপনা আলাদা করতে হবে। পুঁজিবাজারকে ডিমিউচ্যুয়ালাইজড করতে হবে। তার আলোকে উভয় স্টক এক্সচেঞ্জ ডিমিউচ্যুয়ালাইজড হয়েছে।

চলতি বছরের মার্চে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠনের বিষয় জানিয়ে সাইফুর রহমান মজুমদার জানান, সেই নিয়ম অনুসারে ২০২১ সালের ১৩ ডিসেম্বর বিএসইসি উভয় স্টক এক্সচেঞ্জকে ৩৫ শতাংশ শেয়ার ছাড়ার নির্দেশ দেয়। এ লক্ষ্যে পূর্ণাঙ্গ পরিকল্পনা চলতি বছরের ১০ জানুয়ারির মধ্যে জমা দিতে সময় বেঁধে দেওয়া হয়। পরে ফেব্রুয়ারিতে ডিএসই এ সংক্রান্ত পরিকল্পনা কমিশনে জমা দেয়। এরপর নিজ প্রতিষ্ঠানে তালিকাভুক্তির বিষয়ে সেলফ-লিস্টিং রেগুলেশন, ২০২২ প্রণয়নের সিদ্ধান্ত নেয় বিএসইসি।

জানা যায়, কমিটির জমা দেওয়া প্রতিবেদন অনুযায়ী উভয় স্টক এক্সচেঞ্জে মতামতের ভিত্তিতে সেলফ-লিস্টিং রেগুলেশন প্রণয়নের কাজ চলছে। ২০১০ সালে পুঁজিবাজার ধসের পর স্টক এক্সচেঞ্জ ব্যবসা পরিচালনা থেকে ব্রোকারদের প্রভাব কমাতে ২০১৩ সালে ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন আইন করে বিএসইসি। ওই আইন ২০১৩ সালে দেশের উভয় স্টক এক্সচেঞ্জ মুনাফাকেন্দ্রিক লিমিটেড কোম্পানিতে রূপান্তর হয়।


বিজ্ঞাপন


সেসময় ডিএসইর পুরো সম্পদের ভিত্তিতে (১ হাজার ৮০৩ কোটি ৭৭ লাখ ৬৫ হাজার টাকা) ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের প্রায় ১৮০ কোটি ৩৮ লাখ শেয়ার সৃষ্টি করা হয়। এর মধ্যে ৪০ শতাংশ শেয়ার পেয়েছে ব্রোকারেজ হাউসগুলো। বাকি ৬০ শতাংশের মধ্যে ২০১৮ সালে ডিএসই ২৫ শতাংশ শেয়ার কৌশলগত বিনিয়োগকারী হিসেবে চীনের শেনজেন ও সাংহাই স্টক এক্সচেঞ্জের কাছে বিক্রি করেছে। ৩৫ শতাংশ শেয়ার প্রাতিষ্ঠানিক ও ব্যক্তি শ্রেণির বিনিয়োগকারীদের কাছে বিক্রির জন্য প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) প্রস্তাব রাখা হয়েছে। ৩৫ শতাংশ হিসেবে ডিএসইতে মোট ৬৩ কোটি ১৩ লাখ শেয়ার সংরক্ষিত আছে।

উল্লেখ্য, গঠিত পাঁচ সদস্যের কমিটিতে রয়েছেন- বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক সাইফুর রহমান ও রেজাউল করিম, পরিচালক আবুল কালাম, অতিরিক্ত পরিচালক কাওসার আলী এবং যুগ্ম পরিচালক জহিরুল হক।

ডিএইচডি/এএস

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর