মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

আলু ৩০, ডাল ১৪০

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১১:১৩ এএম

শেয়ার করুন:

আলু ৩০, ডাল ১৪০

রাজধানীর খাবার হোটেলগুলোতে কিছুদিন আগেও ১০ টাকায় বিক্রি হয়েছে আলু ভর্তা। আর অনেক হোটেলেই খাবারের সঙ্গে মুশুর ডাল ছিল বিনামূল্যে। তবে সে সময়ের পরিবর্তন হয়েছে। এখন আলু ভর্তার দাম দাঁড়িয়েছে ১৫ থেকে ২০ টাকা। যারা এখনো ১০ টাকায় বিক্রি করেন, তাদের ভর্তার পরিমাণ কমেছে। ডালের ক্ষেত্রেও চিত্র একই। বর্তমান ঊর্ধ্বমুখী বাজারমূল্য এর কারণ বলে জানিয়েছেন হোটেল মালিকরা।

শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, আলু ভর্তার আলুর কেজি ৩০ টাকা। আর মুদি বাজারে মুশুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়।


বিজ্ঞাপন


আলু ভর্তা আর ডালে প্রয়োজন পরে এমন অন্যান্য ভোগ্য পণ্যের দাম কম নয়। সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ৫ টাকা বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকায়। ভারতীয় পেঁয়াজ ৪০ থেকে ৪৫ টাকা। ডালে অনেকে রসুন ব্যবহার করেন। সেই দেশি রসুনের কেজি এখন ৪৫ থেকে ৫০ টাকা। গত সপ্তাহে যা ছিল ৪০ থেকে ৪৫ টাকা। আর চায়না রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকা।

এছাড়া বাজারে আদার কেজি বিক্রি ৯০ থেকে ১১০ টাকা।

দেশি মুশুরের ডাল ১৪০ টাকা হলেও ভারতীয় মুশুরের ডাল বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে।

আবারও বেড়েছে ডিমের দাম। ব্রয়লার মুরগির একেকটি ডিমের দাম এখন ১২ টাকা। হালি ৪৮ টাকা। ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৪৫ টাকা।


বিজ্ঞাপন


সবজির বাজার
রাজধানীতে বাজার ভেদে কাকরোল ৭০ থেকে ৮০ টাকা, ঢেড়স বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা, বেগুন ৮০ টাকা, করল্লা ৭০ থেকে ৮০ টাকা, একই দামে বিক্রি হচ্ছে চিচিংগা।

শশা ৬০ থেকে ৭০ টাকা, বরবটি ৭০ টাকা, পটল বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি দরে। কচুর মুখী ৮০ টাকা, কচুর লতি ৬০ থেকে ৭০ টাকা, দুন্দল ৬০ টাকা। একই দামে বিক্রি হচ্ছে ঝিঙা। পেঁপে বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে।

মিষ্টি কুমড়ার ফালি ২০ থেকে ৩০ টাকা, কলার হালি ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, লেবুর হালি ৩০ থেকে ৪০ টাকা।

মাছের বাজার
বাজার ভেদে পাঙ্গাশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা কেজি দরে। বড় আকারের ও জীবন্ত পাঙ্গাশ কিনতে ক্রেতাদের গুনতে হচ্ছে কেজি প্রতি ২২০ থেকে ২৫০ টাকা পর্যন্ত।

তেলাপিয়া মাছ ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা। বাজার ভেদে রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ২৮০ থেকে ৩৮০ টাকা কেজি দরে। কাতল বিক্রি হচ্ছে ৩২০ থেকে ৪০০ টাকায়। নলা মাছ কিনতে কেজি প্রতি ক্রেতাদের গুনতে হচ্ছে ১৮০ থেকে ২৮০ টাকা টাকা পর্যন্ত। শিং মাছের দাম হাঁকা হচ্ছে ৬০০ থেকে হাজার টাকা। তবে ৫০০ টাকার কমে শিং মাছ বিক্রি হতে দেখা যায়নি। আকারভেদে চিংড়ি বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ১৫০০ টাকা কেজি দরে। ছোট মাছের মধ্যে কাঁচকি ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা ও পাবদা মাছ বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা দরে।

মুদি বাজার
চিনির বিক্রি হচ্ছে ৯৫ টাকা কেজি দরে। লাল চিনির কেজি ১০০ টাকা।

আলু ৩০ টাকা, দেশি পেঁয়াজ ৫০ টাকা কেজি, ভারতীয় পেঁয়াজ ৪০ টাকা। রসুনের কেজি ৪০ থেকে ৪৫ টাকা। চায়না রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকা। আদার কেজি বিক্রি ৯০ থেকে ১১০ টাকা।

দেশি মুশুরের ডাল ১৪০ টাকা। ভারতীয় মুশুরের ডাল বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে। খোলা আটা ৫৭ থেকে ৫৮ টাকা কেজি। ৫ টাকা বেড়ে দুই কেজির প্যাকেট আটা এখন বিক্রি হচ্ছে ১১৫ টাকা।

কারই/এএস

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর