শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

‘ঘুষ নিলে, হারাম খেলে দেশের উন্নয়ন হবে না’

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৩:৩৪ পিএম

শেয়ার করুন:

‘ঘুষ নিলে, হারাম খেলে দেশের উন্নয়ন হবে না’

অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) ঋণচুক্তির প্রক্রিয়া নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। সরকারি কর্মকর্তাদের উদ্দেশে তিনি বলেছেন, ঘুষ নিলে, হারাম খেলে দেশের উন্নয়ন হবে না।

রোববার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) আয়োজিত ‘সুশাসন নিশ্চিতকরণে বৈদেশিক ঋণ ব্যবস্থাপনা’ শীর্ষক সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।


বিজ্ঞাপন


অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইআরডি সচিব শরিফ খান।

আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, হারাম খেলে, ঘুষ নিলে দেশের উন্নয়ন হবে না। কিছু কিছু প্রকল্প সমীক্ষা ছাড়াই একনেকে তোলা হয়। আপনারা এটা কীভাবে করেন। আপনারা এটা করতে পারেন না।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আইন না মেনে ঋণ চুক্তি করেছে ইআরডি। ফলে প্রকল্প বাস্তবায়নের সময় গলায় ফাঁসের মতো অবস্থা। ইআরডি চুক্তির প্রক্রিয়া সঠিকভাবে না বুঝলে মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এমসিসিআই) সাবেক সভাপতি ব্যারিস্টার নিহাদ কবিরের মতো ব্যক্তির সহায়তা নেওয়া যেতে পারে।

সেমিনারে ইআরডির অতিরিক্ত সচিব (বিশ্বব্যাংক) আবদুল বাকি বৈদেশিক ঋণের বিষয়ে উপস্থাপন করছিলেন। এক পর্যায়ে আবদুল বাকির কথায় দ্বিমত পোষণ করে খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, তোমরা কীভাবে বৈদেশিক ঋণচুক্তি করো সেই প্রক্রিয়ার বিষয় জানতে চাই।


বিজ্ঞাপন


এ সময় উপযুক্ত জবাব না দেওয়াতে ক্ষোভ প্রকাশ করে খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, প্রকল্পগুলোতে ৭০ থেকে ৮০ কোটি টাকার অনিয়ম এখান থেকেই সৃষ্টি হয়। ফলে ঋণদাতারা তাদের নিজের মতো করে অন্যান্য কাজ করে। এর ফলে প্রকল্পগুলোতে ব্যয় বৃদ্ধি এবং ক্রয়ের ক্ষেত্রে অনিয়ম ও সময় বৃদ্ধি পায়।

cabinet2

খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ইআরডির ঋণ চুক্তি সাংঘর্ষিক। ভেরি ফ্রিকুয়েন্টলি এটা হচ্ছে। রাত সাড়ে ১২টার সময় চুক্তি সই করল ইআরডি। কেউ যদি এই বিষয়ে আপত্তি করে মামলা করে তাহলে একজনও বাঁচতে পারবে না। ইআরডি এমনভাবে ঋণ চুক্তি করে বিষয়টা এমন আমি ঘুষ খাইছি কেউ প্রমাণ করতে পারবে না। ইআরডি এগুলো কীভাবে সাইন করে।

ইআরডি কীভাবে আইনের সহায়তা নেয় তা জানতে চাইলে আব্দুল বাকি বলেন, আইন মন্ত্রণালয় থেকে পরামর্শ নেওয়া হয়।

দেশের উন্নয়ন করতে চরিত্র ঠিক করতে হবে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, চরিত্র ঠিক না করলে কোনো কাজ হবে না। সারা পৃথিবীর মানুষ গবেষণা করে ঠিক করেছে দুর্নীতি দূর করতে চরিত্র ঠিক করতে হবে। হার্ভাড, ক্যামব্রিজের বড় বড় পণ্ডিত একসঙ্গে বসে ঠিক করেছে গুড গভর্নেন্স না করলে উন্নয়ন সম্ভব না। গুড গভর্নেন্স বাস্তবায়ন করতে গেলে মানুষের চরিত্র ঠিক করতে হবে। চরিত্র ঠিক করতে মানুষের আচার আচরণ, ধর্মী সংস্কৃতি মানতে হবে। এই জন্য জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল (এনআইএস) ঠিক করতে হবে। এটা অনেক কর্মকর্তা জানে না।’

ডব্লিউএইচ/জেবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর