পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, পাকিস্তান আমলে আমরা ঋণের অংশীদার ছিলাম। স্বাধীনতার পরও দেশের উন্নয়নে ঋণ নেওয়া হচ্ছে। বিদেশে ঋণ দেশের উন্নয়নে কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করছে। তবে বিদেশি ঋণের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। বুঝেশুনে নিতে হবে, যাতে উৎপাদন প্রক্রিয়ায় সঠিকভাবে কাজে লাগে।
রোববার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সম্মেলন কক্ষে ‘সুশাসন নিশ্চিতকরণে বৈদেশিক ঋণ ব্যবস্থাপনা’ শীর্ষক সেমিনার শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ (ইআরডি) সচিব শরীফ খান, পরিকল্পনা সচিব মামুন আল রশীদ, বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি) সচিব আবুহেনা মোরশেদ জামান।
মন্ত্রী বলেন, বিদেশি ঋণ নিয়ে কোনো ভয় নেই। যেকোনো দেশের উন্নয়নে ঋণ নিতে হয়, এর কোনো বিকল্প নেই। তবে এ ঋণ বুঝেশুনে নিতে হবে, যাতে উৎপাদন প্রক্রিয়ায় সঠিকভাবে কাজে লাগে।
এম এ মান্নান বলেন, অনেকে বিদেশি ঋণ নিতে গেলে ভয় দেখান, যা ঠিক নয়। কোনো প্রকল্প হাতে নেওয়ার আগে ফিজিবিলি স্টাডি করা হয়। আর সেগুলো অনুমোদনের সময় বিদেশি ঋণের বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অত্যন্ত সতর্কভাবে দেখে থাকেন।
পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন, বিদেশি ঋণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ভালো অবস্থানে আছে। ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে আমরা যথেষ্ট যাচাই-বাছাই করি। আর প্লানিং কমিশন এখন অনেক শক্তিশালী। আপদকালীন এই কমিশন ভালোভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
বিজ্ঞাপন
ডব্লিউএইচ/জেবি