শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

রাশিয়া থেকে ৫ লাখ টন গম আমদানি করবে সরকার

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ৩১ আগস্ট ২০২২, ০৫:১৮ পিএম

শেয়ার করুন:

রাশিয়া থেকে ৫ লাখ টন গম আমদানি করবে সরকার
ফাইল ছবি

রাশিয়া থেকে পাঁচ লাখ টন গম আমদানির অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। জিটুজি ভিত্তিতে এসব গম আমদানি করা হবে। প্রতি কেজি গমের দাম পড়বে ৪০ টাকা ৮৫ পয়সা। মোট খরচ হবে দুই হাজার ৪২ কোটি ৫০ লাখ টাকা।

রাশিয়াকে সরকার এই গমের মূল্য ডলারে পরিশোধ করবে। একই সঙ্গে ভারত ও ভিয়েতনাম থেকে তিন লাখ ৩০ হাজার টন সিদ্ধ ও আতপ চাল আমদানি করা হবে।


বিজ্ঞাপন


বুধবার (৩১ আগস্ট) দুপুরে অনুষ্ঠিত ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

সভা শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. আব্দুল বারিক বলেন, আজকের ক্রয় কমিটিতে টেবিলে উত্থাপিত প্রস্তাবসহ মোট ১৫টি প্রস্তাব উপস্থাপিত হলে সবগুলো প্রস্তাবই অনুমোদন দেওয়া হয়।

অতিরিক্ত সচিব বলেন, টেবিলে উত্থাপিত প্রস্তাবের মধ্যে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের আওতায় রাশিয়া থেকে জিটুজি পর্যায়ে পাঁচ লাখ টন গম আমদানির প্রস্তাব। প্রতিকেজি গমের মূল্য ধরা হয়েছে ৪০.৮৫ টাকা। রাশিয়ার একটি কোম্পানিকে সুপারিশ করা হয়েছে। এতে মোট ব্যয় হবে দুই হাজার ৪২ কোটি ৫০ লাখ টাকা।

কোন কারেন্সিতে কেনা হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের প্রস্তাবে টাকার অংক দেওয়া হয়েছে। মিটিংয়ে কোন কারেন্সিতে কেনা হবে বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। তবে ডলারে কেনা হবে। সে হিসাবে ২১ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার। প্রতি ডলার ৯৫ টাকা ধরে করা হয়েছে। প্রতি টন ৪৩০ মার্কিন ডলার।


বিজ্ঞাপন


ভারত থেকে জিটুজি পর্যায়ে এক লাখ টন নন-বাসমতি সিদ্ধ চাল আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে ব্যয় হবে ৪১৭ কোটি পাঁচ লাখ টাকা। ৭০ হাজার টন লটের চাল আসবে পোর্টের মাধ্যমে। এরফলে প্রতিকেজি চালের দাম পড়বে ৪২.১৩ টাকা। ৩০ হাজার টন লটের ল্যান্ডের মাধ্যমে আসবে। এতে প্রতিকেজি ৪০.৭০ টাকা। আর প্রতিটনের দাম পড়বে ৪৪৩.৫০ মার্কিন ডলার৷

এছাড়া ভিয়েতনাম থেকে জিটুজি পর্যায়ে দুই লাখ টন থাই নন-বাসমতি চাল এবং ভারত থেকে ৩০ হাজার টন আতপ চাল আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। দুটি মিলে একত্রে দুই লাখ ৩০ হাজার টন। নন-বাসমতি চাল প্রতিকেজি ক্রয়মূল্য ৪৯.৪৯৫ টাকা এবং আতপ চাল ৪৬.৯৩ টাকা। সুপারিশকৃত দরদাতা প্রতিষ্ঠান হচ্ছে ভারতের সেন্ট্রাল গভর্মেন্ট কনজুমার করপোরেশন সোসাইটি লিমিটেড দিল্লি সেখান থেকে ক্রয় করা হবে। নন-বাসমতি প্রতিটন ৫২১ মার্কিন ডলার। ৩০ হাজার টন আতপ চাল প্রতিটন ৪৯৪ মার্কিন ডলার। মোট এক কোটি ২৮ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার। সর্বমোট দুই লাখ ৩০ হাজার টন চাল আমদানিতে খরচ হবে ১১ কোটি ৯০ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার। বাংলা টাকায় এক হাজার ১৩০ কোটি ৬৯ টাকা।

ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশও গম আমদানিতে সংকটে পড়ে। এরই মধ্যে গত মে মাসে বাংলাদেশে গমের সবচেয়ে বড় সরবরাহকারী দেশ ভারত রফতানি বন্ধ করে দিলে সংকট আরও ঘনীভূত হয়।

এদিকে দেশীয় বাজারে চালের সরবরাহ বাড়াতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা নিয়েছে সরকার। এজন্য চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি বেসরকারি পর্যায়ে চাল আমদানি সহজ করতে সম্প্রতি শুল্কহার ব্যাপক কমানো হয়েছে।

ডব্লিউএইচ/জেবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর