বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

ডলারের সংকট জটিল সমস্যা, শিগগির কেটে যাবে: গভর্নর

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৭ আগস্ট ২০২২, ০৩:৫৫ পিএম

শেয়ার করুন:

ডলারের সংকট জটিল সমস্যা, শিগগির কেটে যাবে: গভর্নর

ডলার সংকটকে ‘জটিল সমস্যা’ আখ্যা দিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের (বিবি) গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদার। তবে দেশের চলমান ডলারের সংকট শিগগিরই কেটে যাবে বলে আশা করছেন তিনি। বাজারদরের ভিত্তিতে ডলার রেট নির্ধারণের ব্যবস্থা করা হবে বলেও জানান তিনি।

শনিবার (২৭ আগস্ট) বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট (বিআইবিএম) প্রাঙ্গণে বার্ষিক ব্যাংকিং কনফারেন্স ২০২২-এ তিনি এই কথা বলেন।


বিজ্ঞাপন


সম্প্রতি দেশের বাজারে ডলার সংকট দেখা দেয়। আমদানি খরচ বেড়ে যাওয়ায় এই পরিস্থিতির তৈরি হয়। অন্যদিকে কমে যায় টাকার মান। ডলারের দাম সবশেষ বাংলাদেশ ব্যাংক ৯৫ টাকা নির্ধারণ করে দিলেও খুচরা বাজারে ১১৯ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে ডলার।

ডলার সংকট কাটাতে একের পর এক উদ্যোগ নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। ডলার কারসাজির সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নেওয়া হয়। মানি চেঞ্জার প্রতিষ্ঠানের লেনদেন বন্ধ করে দেওয়ারও ঘটনা ঘটেছে। অন্যদিকে একাধিক বেসরকারি ব্যাংকের ট্রেজারি বিভাগের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে দায়িত্ব থেকে।

আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর হচ্ছেন আব্দুর রউফ তালুকদার

গভর্নর বলেন, ডলার সংকট একটি জটিল সমস্যা। আমাদের সবাইকে ধৈর্য ধরতে হবে। বর্তমানে আমরা যে মুদ্রাস্ফীতির সম্মুখীন হচ্ছি তা আমদানি-প্ররোচিত।


বিজ্ঞাপন


আবদুর রউফ তালুকদার বলেন, ডলারের দাম স্বল্পমেয়াদী প্রবাহ, রেমিট্যান্স ও রফতানি এবং বহিঃপ্রবাহ ও আমদানির ওপর নির্ভর করে। সবকিছুর মধ্যে ভারসাম্য থাকলে দাম স্থিতিশীল থাকে। দুই-তিন মাস পর এ বিষয়ে আরও কিছু বলা সম্ভব হবে।

ফোরেক্স মার্কেট থেকে বেশ কয়েকটি ব্যাংকের উচ্চ মুনাফা করার বিষয়টি বাংলাদেশ ব্যাংক তদন্ত করছে বলে জানান গভর্নর। তিনি বলেন, ‘মুনাফা অর্জনকারী ব্যাংক এবং মুনাফা অর্জনকারী ব্যবসার মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। তাদের (ব্যাংক) অনেক দায়িত্ব এবং নিয়ম মেনে চলতে হবে।’

দেশের ব্যাংকিং খাত সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘অবস্থা দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে। কোভিড-১৯ এর প্রভাব এবং বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতার কারণে এই খাত একটি জটিল পরিবেশে নতুন চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। টেকসই প্রবৃদ্ধির জন্য 'টেকসই ব্যাংকিং'কে উৎসাহিত করা এই পরিস্থিতিতে বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। সেইসাথে প্রযুক্তির ব্যবহারও প্রয়োজন। প্রযুক্তির বিবর্তনের সাথে, সমগ্র খাতেরই একটি বিশাল রূপান্তর ঘটেছে যেখানে অর্থ লেনদেনের পদ্ধতি এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মকাণ্ডে এসেছে আমূল পরিবর্তন।’

আরও পড়ুন: মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণই এখন প্রধান কাজ: নতুন গভর্নর

এসময় গভর্নর পরামর্শ দিয়ে বলেন, ‘ব্যাংকগুলোকে তাদের সুনাম বজায় রাখতে এবং গ্রাহক, বিনিয়োগকারী এবং নিয়ন্ত্রকদের আস্থা অর্জনের জন্য একটি ভালো কমপ্লায়েন্স সংস্কৃতি দেখানো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। একটি ভালো কমপ্লায়েন্স কালচার আরও ভালোভাবে সাংগঠনিক এবং ব্যক্তিগত ঝুঁকি কভার করে ব্যাংকগুলোকে বিভিন্ন উপায়ে উপকৃত করতে পারে। এছাড়া, কর্মীদের কাজের সময় আত্মবিশ্বাসী করে তোলা এবং তাদের কাজে স্বচ্ছতা বজায় রাখতেও সাহায্য করে এই কালচার।’

একইসঙ্গে নিয়ন্ত্রক এবং অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে উন্নত সম্পর্ক বজায় রাখতেও এই কালচার ভূমিকা রাখে বলে মনে করেন গভর্নর।

বিইউ/জেবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর