বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ঢাকা

আগামী ৬ মাস দেশের বড় চ্যালেঞ্জ হবে জ্বালানি: সালমান এফ রহমান

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৭ আগস্ট ২০২২, ০৩:২৭ পিএম

শেয়ার করুন:

আগামী ৬ মাস দেশের বড় চ্যালেঞ্জ হবে জ্বালানি: সালমান এফ রহমান

জ্বালানির চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে সরকার পরিকল্পনামতো কাজ করছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রীর বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। তিনি বলেন, জ্বালানি তেলের দাম না কমলে আগামী ছয় মাসে বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হবে পণ্যটি।

শনিবার (২৭ আগস্ট) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) অফিসে ওভারসিস করেসপনডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের (ওকাব) মিট দ্য প্রেসে এসব কথা বলেন তিনি।


বিজ্ঞাপন


বিশ্ববাজারে তেলের দাম বৃদ্ধির অজুহাতে চলতি মাসে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় সরকার। টাকার পরিমাণে দেশে একসঙ্গে সব ধরণের জ্বালানি তেলের দাম আগে কখনো বাড়েনি। গত ৫ আগস্ট রাত ১২টার পর থেকে ভোক্তাপর্যায়ে খুচরা মূল্য ডিজেল ১১৪ টাকা প্রতি লিটার, কেরোসিন ১১৪ টাকা প্রতি লিটার, অকটেন ১৩৫ টাকা প্রতি লিটার ও পেট্রোল ১৩০ টাকা প্রতি লিটারে বিক্রি হচ্ছে। আগে ভোক্তা পর্যায়ে খুচরা মূল্য ছিল প্রতি লিটার ডিজেল ছিল ৮০ টাকা, কেরোসিন ৮০ টাকা, অকটেন ৮৯ টাকা ও পেট্রল ৮৬ টাকা।

জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর পরই তীব্র সমালোচনা শুরু হয়। দাম কমানোর দাবিতে বিএনপিসহ বিরোধী রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে প্রতিনিয়ত কর্মসূচিও পালন করা হয়।

এর মধ্যে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু জানিয়েছেন, বিশ্ববাজারে তেলের দাম কমলে দেশের বাজারেও সমন্বয় করা হবে। যদিও কবে করা হবে তা সুনির্দিষ্ট করে বলতে পারেননি প্রতিমন্ত্রী।

তবে জ্বালানির বিষয়ে বাংলাদেশ বড় সংকট কাটাতে পেরেছে বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। একইসঙ্গে জ্বালানি ও গ্যাস সংকট সমাধানে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন তিনি।


বিজ্ঞাপন


প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা মনে করেন, বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতিতে ভারসাম্য বজায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ। সবার সঙ্গে সম্পর্ক ঠিক রাখতে পারস্পরিক যোগাযোগ জরুরি।

বাংলাদেশ জিডিপির তুলনায় প্রত্যাশিত বিনিয়োগ পাচ্ছে না বলে স্বীকার করে তিনি বলেন, সাম্প্রতিক বিশ্ব পরিস্থিতির কারণে এমনটা হচ্ছে। তবে বিনিয়োগের জন্য অনেকের আগ্রহ আছে।

আসছে শীতে লোডশেডিং কমে আসবে মনে করেন সালমান এফ রহমান। দেশে সম্প্রতি বিদ্যুতের অপচয় রোধে সরকারের পক্ষ থেকে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। নিয়ম করে সারাদেশে লোডশেডিং হচ্ছে। সরকারি অফিসে শীততাপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্র নির্ধারিত মাত্রায় চালানো, লাইট-ফ্যান ব্যবহারেও দেয়া হয়েছে নির্দেশনা। অন্যদিকে জ্বালানি খরচও আগের চেয়ে কমিয়ে দেয়া হয়েছে। এমন অবস্থার মধ্যে রাশিয়া থেকে তেল কেনার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। এ নিয়ে গঠিত কমিটি কাজও শুরু করেছে বলে জানা গেছে।

প্রধানমন্ত্রীর বিনিয়োগ উপদেষ্টা বলেন, ‘রাশিয়া থেকে তেল কেনার সিদ্ধান্ত এখনও চূড়ান্ত হয়নি। আর রাশিয়া থেকে জ্বালানি তেল আমদানি করা না গেলেও সার ও খাদ্য শস্য আমদানি করা যাবে। ২৪টি ব্যাংকের মাধ্যমে বাংলাদেশ ডিল করতে পারবে।’

কয়লা উত্তোলনের বিষয়ে সরকার এখনই কিছু ভাবছে না জানিয়ে তিনি বলেন, আগামীকাল থেকেও উত্তোলন করতে গেলে ৪/৫ বছর সময় লেগে যাবে।

সালমান এফ রহমান বলেন, এলএনজি আমদানি করে আমাদের দেশের নিজস্ব গ্যাসের সঙ্গে যোগ করে ব্যবহার করা হবে। লেনদেনের ক্ষেত্রে সরকার বিকল্প মুদ্রার বিষয় ভাবছে না বলেও জানান প্রধানমন্ত্রীর এই উপদেষ্টা।

অনুষ্ঠানে ওক্যাবের আহ্বায়ক কাদির কল্লোল, সদস্য সচিব নজরুল ইসলাম মিঠু এবং বর্তমানে বাংলাদেশে কর্মরত বিভিন্ন বৈশ্বিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

বিইউ/একেবি/এমআর

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর