শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

সোনা চোরাকারবারিদের বিরুদ্ধে অভিযান শিগগির: বাজুস

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১১ আগস্ট ২০২২, ০৩:৫৯ পিএম

শেয়ার করুন:

সোনা চোরাকারবারিদের বিরুদ্ধে অভিযান শিগগির: বাজুস

সোনার বাজারে অস্থিরতা রুখতে চোরাকারবারিদের বিরুদ্ধে জোরালো অভিযান প্রয়োজন। যা শিগগির শুরু হবে বলে জানিয়েছে দে‌শের স্বর্ণ ব্যবসায়ী‌দের সংগঠন বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)।

বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) বাজুস প্রেসিডেন্ট সায়েম সোবহান আনভীর স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।


বিজ্ঞাপন


বাজুস প্রেসিডেন্ট বলেন, ইউক্রেন ও রাশিয়ার চলমান যুদ্ধ পরিস্থিতি, মার্কিন ডলারের মাত্রাতিরিক্ত দাম ও সংকটসহ অন্যান্য বৈদেশিক মুদ্রার ঊর্ধ্বমুখী দাম এবং অব্যাহতভাবে বেপরোয়া চোরাচালানের ফলে বহুমুখী সংকটে পড়েছে দেশের জুয়েলারি শিল্প।

চলমান পরিস্থিতিতে সোনার বাজারে অস্থিরতা ছড়িয়ে দিয়েছে চোরাকারবারিদের দেশি-বিদেশি সিন্ডিকেট জানিয়ে সায়েম সোবহান আনভীর বলেন, কৃত্রিম সংকট তৈরি করে প্রতিনিয়ত স্থানীয় বাজারে সোনার দাম বাড়ানো হচ্ছে। মূলত এ চোরাকারবারিদের একাধিক সিন্ডিকেট বিদেশে সোনা পাচারের সঙ্গে জড়িত বলে মনে করা হয়।

আরও পড়ুন: আড়াই বছরে বাংলাদেশ বিমানে ১৫০ কোটি টাকার স্বর্ণ জব্দ

বাজুস প্রেসিডেন্ট বলেন, দেশে চলমান ডলার সংকট ও অর্থপাচারের সঙ্গে সোনা চোরাচালানের সিন্ডিকেটগুলোর সম্পর্ক রয়েছে বলে মনে করেন অনেকে। এমন পরিস্থিতিতে সোনার বাজার অস্থিরতার নেপথ্যে জড়িত চোরাকারবারিদের বিরুদ্ধে কাস্টমসসহ দেশের সব আইন- প্রয়োগকারী সংস্থার জোরালো অভিযান ও শাস্তি নিশ্চিত করা প্রয়োজন।


বিজ্ঞাপন


বিবৃতিতে তিনি বলেন, সারাদেশে শান্তি, শৃঙ্খলা রক্ষা ও সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভূমিকা আছে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী রাষ্ট্রের শৃঙ্খলা ও ব্যবসায়িক সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখার লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

বাজুস প্রেসিডেন্ট বলেন, অবৈধ উপায়ে কোনো চোরাকারবারি যেন সোনা বা অলংকার দেশে আনতে এবং বিদেশে পাচার করতে না পারে সে জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনা সরকারের সব সংস্থাগুলোকে দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ করছি।

আনভীর বলেন, এছাড়া চোরাচালান প্রতিরোধ করতে গিয়ে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা সমূহের সদস্যদের মাধ্যমে উদ্ধার হওয়া সোনার মোট পরিমাণের ২৫ শতাংশ সংস্থার সদস্যদের পুরস্কার হিসেবে দেওয়ার অনুরোধ করছি। মূলত চোরাচালান প্রতিরোধে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাসমূহের সদস্যদের উৎসাহিত করার লক্ষ্যে বাজুসের এই প্রস্তাবনা। বাজুসের এই প্রস্তাব বাস্তবায়ন হলে সোনা চোরাচালান প্রতিরোধ কার্যক্রম আরও বেগবান হবে। ফলে দেশের বৈদেশিক মুদ্রা অপচয় কমবে।

ডিএইচডি/জেবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর