শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

বিদেশ থেকে ৪৯ শতাংশ টাকা হুন্ডির মাধ্যমে আসে: অর্থমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৩ আগস্ট ২০২২, ০৩:০১ পিএম

শেয়ার করুন:

বিদেশ থেকে ৪৯ শতাংশ টাকা হুন্ডির মাধ্যমে আসে: অর্থমন্ত্রী

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, এখনও হুন্ডির মাধ্যমে বিদেশ থেকে টাকা আসছে। হুন্ডির মাধ্যমে যদি টাকা নিয়ে আসেন সেটিকে অবৈধ বলব না, সেটি কালো টাকা। যারা সেই টাকা হুন্ডির মাধ্যমে নিয়ে আসেন, তারা সবসময় বিবেকের কাছে দায়ী থাকবেন। এসময় দেশে হুন্ডির মাধ্যমে ৪৯ শতাংশ টাকা আসার কথা জানান তিনি। 

বুধবার (৩ আগস্ট) সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।


বিজ্ঞাপন


প্রবাসীদের প্রতি হুন্ডিতে না পাঠিয়ে ব্যাংকিং চ্যানেলে টাকা পাঠাতে প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমরা সবসময় অফিসিয়াল চ্যানেলে বিদেশ থেকে টাকা আসুক সেটা প্রত্যাশা করি। কারণ এটার যে সুফল সেটি অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক। 

তিনি বলেন, কখনও যদি ইনকাম ট্যাক্স বা রেগুলেটরি অথরিটি এ সম্পর্কে প্রশ্ন করলে জবাব দিতে পারবেন না। সারাবিশ্বে এটি অফিসিয়াল চ্যানেলে আনার প্রাধান্য পায়, আমরাও সেভাবে প্রাধান্য দিচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী আমাদের সবসময় তাদের উৎসাহিত করতে বলেন। এই টাকা তাদের টাকা, পরবর্তীতে তারা যেকোনো কাজে ব্যবহার করতে পারবেন। কিন্তু হুন্ডির মাধ্যমে টাকা আনলে প্রশ্ন উঠবে তারা টাকা পেলো কোথায়।

হুন্ডিতে টাকা পাঠানোর পরিমাণ বেড়েছে কিনা জানতে চাইলে আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, এখনও হুন্ডি তো আছেই। আমাদের কাছেও তথ্য এখনও হুন্ডির মাধ্যমে টাকা পয়সা আসে। যাতে করে কম আসে সেটি নিরুৎসাহিত করতে আমরা তাদের সুফলটা বলছি। প্রধানমন্ত্রীও সেটি করেছ। রেমিট্যান্স আমাদের অন্যতম একটি খাত। আমাদের রফতানি বাণিজ্যের পরে রেমিট্যান্স আমাদের অর্থনীতি এগিয়ে যাচ্ছে এবং অর্থনীতির চালিকাশক্তি হিসাবে কাজ করছে। আমি মনে করি এটি আমাদের জন্য ভালো লক্ষ্যণ।

কি পরিমাণ হুন্ডিতে টাকা আসে সেটির কোনো পরিসংখ্যান আছে কিনা জানতে চাইলে মুস্তফা কামাল বলেন, আমার এই মুহূর্তে কোনো ধারনা নাই। আমি আগে একটি স্টাডি করে দেখেছিলাম, প্রায় কাছাকাছি অফিসিয়াল চ্যানেলে এসেছে ৫১ শতাংশ আর হুন্ডিতে এসেছে ৪৯ শতাংশ। সেজন্য আমি মনে করি সেই ধারাবাহিকতা এখনও আছে। আমরা যদি অফিসিয়াল চ্যানেলে আনতে পারি কেন আসবে না। অফিসিয়াল চ্যানেল আনলে তো লস হচ্ছে না। তাদের জন্য প্রণোদনা না তাদের স্বীকৃতিও দেওয়া হচ্ছে। তাদের ভবিষ্যত প্রজন্মও কিন্তু এটি সুন্দভাবে ভোগ করতে পারবে। এতে প্রশ্ন বা দায়বদ্ধ থাকবে না।


বিজ্ঞাপন


আন্তর্জাতিক মূদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছে ঋণের প্রস্তাব প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটা তো আপনাদের কাছে সম্পর্কিত, অন্যরকম আইএমএফ আছে কিনা জানি না। একটা আইএমএফ আছে তারা তো এ ধরনের কোন প্রশ্ন আমাদের কাছে উপস্থাপন করেনি। আপনারাই পত্রিকায় লিখছেন, এটা নিয়ে আমি জবাব দেবো না। এটা কেন আপনারা বলছেন আমি জানি না,। সাংবাদিক হলেও আমাদের দেশের প্রতি দায়িত্ব আছে। 

টিএ/এএস

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর