রোববার, ৫ মে, ২০২৪, ঢাকা

মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণই এখন প্রধান কাজ: নতুন গভর্নর

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১২ জুলাই ২০২২, ০৬:৪৫ পিএম

শেয়ার করুন:

মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণই এখন প্রধান কাজ: নতুন গভর্নর

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সদ্য দায়িত্ব নেওয়া গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখাই তার প্রধান কাজ। এজন্য সরকারের সহযোগিতায় বাংলাদেশ ব্যাংক মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা অব্যাহত রাখবে।   

মঙ্গলবার (১২ জুলাই) বিকেলে বাংলাদেশ ব্যাংকের জাহাঙ্গীর আলম কনফারেন্স হলে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই কথা বলেন। দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথমবারের মতো তিনি এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন।


বিজ্ঞাপন


এর আগে সকালে বাংলাদেশ ব্যাংকের ১২তম গভর্নর হিসেবে যোগ দেন  সাবেক এই সচিব।

দায়িত্ব নেওয়ার পর নিজের চ্যালেঞ্জ প্রসঙ্গে নতুন গভর্নর বলেন, ‘মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করাই হবে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কাজ। এক্সচেঞ্জ রেটকে নিয়ন্ত্রণে আনা দ্বিতীয় বড় দায়িত্ব এবং তৃতীয় হলো বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ানো।’

মূল্যস্ফীতির কারণ প্রসঙ্গে আব্দুর রউফ বলেন, ‘এখন মূল্যস্ফীতি যে পর্যায়ে এটা বাজারে অতিরিক্ত টাকার সরবরাহের কারণে আসেনি বরং আমদানি করা পণ্যমূল্য বেশি, সে কারণে।’

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নতুন গভর্নর জানান, বাংলাদেশ ব্যাংক পেশাদার প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করবে। এক্ষেত্রে সংস্কার আনা হবে। তবে এই সংস্কার আইএমএফের পরামর্শ অনুযায়ী নয়, সে ক্ষেত্রে দেশীয় ভাবনার প্রতিফলন হবে।


বিজ্ঞাপন


rouf

আব্দুর রউফ বলেন, আমাদের আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি মানুষের একটা আস্থার অভাব রয়েছে, এটা কীভাবে আবার ফিরিয়ে আনা যায় এ বিষয়ে কাজ করব। বেসরকারি খাতের বিনিয়োগ না বাড়লে কর্মসংস্থান বাড়বে না, প্রবৃদ্ধিও হবে না। এটা বাড়ানোর বিষয়ে জোর দেব। বিশেষ করে সিএসএমই খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে কাজ করব।

বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে দেশে দেশের অর্থনীতির যে অবস্থা তাতে এই মুহূর্তে দায়িত্ব নিতে কোনো চাপ অনুভব করছেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সরকারে থাকা অবস্থায় অনেক চাপে ছিলাম। করোনার মধ্যে অনেক সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। আমরা যুদ্ধক্ষেত্র থেকে পালিয়ে যাবো না। আর কোন সময় কী সিদ্ধান্ত নিতে হয় এটা আমরা জানি।

বিসিএস ৮৫ ব্যাচের আব্দুর রউফ তালুকদারকে ২০১৮ সালের ১৭ জুলাই অর্থসচিব হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। এরপর সিনিয়র সচিব হিসেবে পদমর্যাদা দেওয়া হয়। করোনাকালীন দেশের অর্থনীতির ক্রান্তিকালে তিনি অর্থনীতি চাঙা করার জন্য বিভিন্ন প্রণোদনা প্যাকেজ তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা রক্ষায় তার পরামর্শ রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে প্রশংসনীয় হয়েছে বলে জানা গেছে। এ কারণেই প্রধানমন্ত্রী পরবর্তী গভর্নর হিসেবে তাকে বেছে নেন।  

জেবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর