দেশের আবাসন খাতের সবচেয়ে বড় আয়োজন রিহ্যাব ফেয়ার ২০২৫-এ মোট ৩০১ কোটি ৯ লাখ ৫৬ হাজার টাকার ফ্ল্যাট, প্লট ও বাণিজ্যিক স্পেস বিক্রি ও বুকিং হয়েছে।
মেলার শেষ দিন শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) বিকেল ৫টা পর্যন্ত এই লেনদেনের তথ্য নিশ্চিত করেছে রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব)।
বিজ্ঞাপন
রিহ্যাব সূত্র জানায়, এবারের মেলায় ফ্ল্যাট বিক্রি ও বুকিং হয়েছে ১৭২ কোটি টাকা, প্লট বিক্রি হয়েছে ৭৪ কোটি টাকা এবং বাণিজ্যিক স্পেস বিক্রি ও বুকিং হয়েছে ৫৮ কোটি ১১ লাখ ৫১ হাজার টাকা। পাশাপাশি বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে প্রায় ৭৭৮ কোটি টাকার ব্যাংক কমিটমেন্ট এসেছে, যা আবাসন খাতে বিনিয়োগের ইতিবাচক ইঙ্গিত হিসেবে দেখছেন সংশ্লিষ্টরা।
তবে গত বছরের তুলনায় এবারের লেনদেন কিছুটা কম। ২০২৪ সালের রিহ্যাব ফেয়ারে মোট ৪০৩ কোটি ১২ লাখ ৭৪ হাজার টাকার ফ্ল্যাট, প্লট ও বাণিজ্যিক স্পেস বিক্রি ও বুকিং হয়েছিল। ওই বছর ফ্ল্যাটে ২৩০ কোটি টাকা, প্লটে ৯৬ কোটি টাকা এবং বাণিজ্যিক স্পেসে ৭৭ কোটি ১২ লাখ ৭৪ হাজার টাকার লেনদেন হয়। সে সময় ব্যাংক কমিটমেন্ট এসেছিল প্রায় ১ হাজার ৯০ কোটি টাকা।
এর আগে ২০২৩ সালে কোনো রিহ্যাব ফেয়ার অনুষ্ঠিত হয়নি। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় রিহ্যাবে প্রশাসক নিয়োগ করায় সে বছর মেলা আয়োজন সম্ভব হয়নি।
রিহ্যাবের তথ্যমতে, ২০২২ সালের মেলায় প্রায় ৩৫১ কোটি ১৬ লাখ টাকার ফ্ল্যাট, প্লট ও বাণিজ্যিক স্পেস বিক্রি ও বুকিং হয়েছিল এবং ব্যাংকগুলোর কাছ থেকে পাওয়া গিয়েছিল প্রায় ১ হাজার কোটি টাকার প্রতিশ্রুতি।
আর রিহ্যাব ফেয়ার ২০২১-এর শেষ দিন বিকেল ৪টা পর্যন্ত প্রায় ৩৯৭ কোটি ৩৮ লাখ টাকার লেনদেন হয়। এর মধ্যে ফ্ল্যাটে ১৯৮ কোটি টাকা, প্লটে ১২৫ কোটি টাকা এবং বাণিজ্যিক স্পেসে ৭৪ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। সে বছর ব্যাংক কমিটমেন্ট আসে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা।
বিজ্ঞাপন
রিহ্যাব নেতারা বলছেন, চলমান অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের মধ্যেও এবারের মেলায় ক্রেতাদের আগ্রহ ছিল চোখে পড়ার মতো। তারা আশা প্রকাশ করেন, নীতিগত সহায়তা ও ব্যাংক ঋণ সুবিধা অব্যাহত থাকলে আগামী দিনে আবাসন খাতে লেনদেন আরও বাড়বে।
এমআর/এএস

