বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

দ্রুত এয়ার কার্গো অপরাটের'স স্টেশন বিধিমালা জারির দাবি

এমএম সালাহউদ্দিন
প্রকাশিত: ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮:২৯ পিএম

শেয়ার করুন:

দ্রুত এয়ার কার্গো অপরাটের'স স্টেশন বিধিমালা জারির দাবি

আকাশ পথে কম সময়ে ও সাশ্রয়ে পণ্য আমদানি-রফতানি করার জন্য এয়ার কার্গো অপরাটের'স স্টেশন বিধিমালা দ্রুত জারি করার দাবি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।

এ ব্যাপারে বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিকেএমইএ) এবং বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রফতানিকারক সমিতিসহ (বিজিএমইএ) বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বিমানবন্দর থেকে পণ্য খালাশ বা বিদেশে পণ্য প্রেরণে দীর্ঘসূত্রিতা কমাতে প্রধান উপদেষ্ঠার আর্ন্তজাতিক বিষয়ক বিশেষ দূত বরাবর আবেদন জানিয়েছে।


বিজ্ঞাপন


এতে তারা উল্লেখ করেন, হযরত শাহজালাল আর্ন্তজাতিক বিমান বন্দরে গত ১৮ই অক্টোবর যে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড সংঘটিত হয়, তারপর প্রায় ৩ দিন আমদানি-রফতানি বন্ধ ছিল। এক্ষেত্রে পণ্যের আমদানি-রফতানিকারকেরা অপূরণীয় ক্ষতির সম্মুখীন হয়। 

বিমানবন্দরের বাইরে অফডক ব্যবস্থা চালু থাকলে আমদানি-রফতানি কার্যক্রম ব্যাহত হতো না। অফডক ব্যবস্থা চালু হলে বেসরকারি উদ্যোগে একাধিক অপারেটর থাকবে। ফলে কার্গোতে আমদানি-রফতানি পণ্য পরিবহনে টার্মিনাল হ্যান্ডলিং, কার্গো হ্যান্ডলিং ও স্ক্যানিং চার্জসহ অন্যান্য ফি নির্ধারণের ক্ষেত্রে প্রতিযোগীতামূলক বাজার ব্যবস্থা সৃষ্টি হবে। 

একই সঙ্গে এ ক্ষেত্রে পণ্য পরিবহনে সময় কমার পাশাপাশি সেবার মানও বাড়বে। এখানে উল্লেখ্য যে, বর্তমানে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস এককভাবে এই সেবা প্রদান করে আসছে।

বর্তমানে আকাশ পথে বিমান বাংলাদেশ ও সিভিল এভিয়েশন প্রতি কেজি পণ্য রফতানিতে প্রায় ২৬ টাকা সার্ভিস চার্জ নিয়ে থাকে। একই সেবা দিয়ে ব্যাংকক বিমানবন্দর প্রতি কেজিতে নিচ্ছে ৬.৪২ টাকা, কলকাতা নিচ্ছে ৪.৮৮ টাকা এবং দিল্লি ৬.১০ টাকা। এতে দেখা যায়, বাংলাদেশ থেকে আকাশ পথে পণ্য পরিবহন খরচ কয়েকগুণ বেশি।


বিজ্ঞাপন


উপরোক্ত কারণে এয়ার কার্গো অপারেটর'স স্টেশনের (এসিওএস) বিধিমালা অতিদ্রুত জারি ও বাস্তবায়ন সময়ের দাবিতে পরিণত হয়েছে।

বাংলাদেশে এয়ার কার্গো অপারেশনে অফডক পদ্ধতি চালু হলে অধিকতর কার্গো নিরাপত্তার সঙ্গে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত হবে। এতে ইলেকট্রানিক কার্গো ট্র্যাকিং সিস্টেম (ইসিটিএস) চালু হবে। ফলে সহজে কার্গোর অবস্থান জানা যাবে। দ্রুত পণ্য খালাসে সুবিধা পাবে এবং বিমানবন্দরে কার্গোর জট কমবে। 

ওষুধের কাঁচামাল ও অতি জরুরি গার্মেন্টস পণ্যের নমুনাসহ আনুষাঙ্গিক পণ্য সহজে ও কম সময়ে পাঠানো যাবে। এতে করে দেশের আমদানি-রফতানি বাণিজ্য ত্বরান্বিত হবে। একইসাথে ই-কমার্স ব্যবসায়ীরা এর সুফল ভোগ করতে পারবেন।

বিশ্বের অনেক দেশে অফডক ব্যবস্থা চালু আছে। যেমন- সিঙ্গাপুর, সংযুক্ত আরব আমিরাত, নেদারল্যান্ডস, জার্মানী, জাপান, ভারত, হংকং ও যুক্তরাষ্ট্র। সেখানে এই ব্যবস্থার ফলে কার্গো পরিবহনে সময়ের সাশ্রয় ও পণ্য খালাসে জটিলতা নেই বললেই চলে।

ব্যবসায়ীরা তাই সরকারের কাছে দ্রুত এই প্রস্তাবিত "এয়ার কার্গো অপারেটর'স স্টেশন (এসিওএস) স্থাপন, ব্যবস্থাপনা, পরিচালনা, তদারকি ও কাস্টমস নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা, ২০২৫" প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের অনুরোধ জানিয়েছেন।

এ ব্যাপারে ঢাকা কাস্টমস এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. মিজানুর রহমান বলেন, বর্তমানে আকাশ পথে পণ্য আমদানিতে ১১ দিন লেগে যায়। এ ক্ষেত্রে সময় আরো কমিয়ে আনা উচিৎ। আমরা সরকারের প্রদক্ষেপের জন্য অপেক্ষা করছি।

-এমএমএস

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর