ব্যক্তিগত সম্পদমূল্যের দিক থেকে একের পর এক রেকর্ড গড়েই চলেছেন টেসলার প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্ক। বর্তমানে তাঁর সম্পদের পরিমাণ প্রায় ৭৪৮ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলার, যা বাংলাদেশি হিসাবে প্রায় ৭৪ হাজার ৮৯০ কোটি ডলার। বৈশ্বিক গবেষণা সংস্থা ইনফরমা কানেক্টের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০২৭ সালের মধ্যেই তিনি বিশ্বের প্রথম ট্রিলিয়ন ডলারের মালিক হতে পারেন।
২০২৪ সালের তুলনায় ইলন মাস্কের সম্পদমূল্য বেড়েছে প্রায় চার গুণ। স্পেসএক্স শেয়ারবাজারে আসতে পারে—এমন খবরে সম্প্রতি তাঁর মালিকানাধীন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বাড়তে থাকে। এর ফলে গত সপ্তাহেই তাঁর সম্পদমূল্য ছাড়িয়ে যায় ৬০ হাজার কোটি ডলার। পরে টেসলার প্রধান নির্বাহী হিসেবে তাঁর বিশাল অঙ্কের বেতন প্যাকেজ বহাল রাখার রায়ের পর সপ্তাহ ব্যবধানে সম্পদমূল্য আরও বেড়ে দাঁড়ায় প্রায় ৭৪ হাজার ৮৯০ কোটি ডলারে।
বিজ্ঞাপন
ইনফরমা কানেক্ট অ্যাকাডেমির তথ্যমতে, প্রতিবছর গড়ে ১১০ শতাংশ হারে বাড়ছে মাস্কের সম্পদ। এই প্রবৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে ২০২৭ সালের মধ্যেই তিনি বিশ্বের প্রথম লাখো কোটি ডলারের মালিক হবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তবে প্রতিযোগিতায় তিনি একা নন। ইনফরমার তথ্য অনুযায়ী, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক চিপ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এনভিডিয়ার প্রধান নির্বাহী জেনসেন হুয়াংও ২০২৮ সালের মধ্যে ট্রিলিয়নিয়ার হতে পারেন।
ফোর্বস ম্যাগাজিনের সর্বশেষ তালিকা অনুযায়ী, বিশ্বের দ্বিতীয় শীর্ষ ধনী ল্যারি পেজের সম্পদমূল্য প্রায় ২৫ হাজার ২৬০ কোটি ডলার। তৃতীয় অবস্থানে আছেন ওরাকলের সহপ্রতিষ্ঠাতা ল্যারি এলিসন, যার সম্পদ ২৪ হাজার ২৭০ কোটি ডলার। চতুর্থ স্থানে থাকা অ্যামাজনের প্রধান নির্বাহী জেফ বেজোসের সম্পদমূল্য ২৩ হাজার ৯৪০ কোটি ডলার। পঞ্চম স্থানে রয়েছেন গুগলের সহপ্রতিষ্ঠাতা সের্গেই ব্রিন, তাঁর সম্পদের পরিমাণ প্রায় ২৩ হাজার ৩১০ কোটি ডলার।
বিশ্লেষকদের মতে, টেসলা, মহাকাশ প্রযুক্তি, রোবোটিকস ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ভবিষ্যৎ সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়েই ইলন মাস্ক নিজেকে নিয়ে যাচ্ছেন নতুন উচ্চতায়।
বিজ্ঞাপন
এআর

