ক্ষুদ্র ও মাঝারি কৃষকের স্বার্থ রক্ষা এবং জলবায়ু বান্ধব লাইভস্টক চর্চা প্রচারের লক্ষ্য নিয়ে দক্ষিণ এশিয়ায় সার্ক আঞ্চলিক প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে।
সোমবার (২২ ডিসেম্বর) ভার্চুয়াল মাধ্যমে অনুষ্ঠিত এই তিন দিনব্যাপী প্রশিক্ষণে অংশ নেন নীতি নির্ধাতা, বিজ্ঞানী ও উন্নয়ন কর্মীরা।
বিজ্ঞাপন
প্রশিক্ষণের মূল উদ্দেশ্য হলো গবাদিপশু থেকে উদ্ভূত গ্রীনহাউস গ্যাস নিরূপণ এবং খাদ্য ব্যবস্থার উন্নয়নের মাধ্যমে হ্রাসকৌশল বাস্তবায়ন করা।
প্রশিক্ষণের উদ্বোধনীতে সার্ক কৃষি কেন্দ্রের পরিচালক ড. মো. হারুনুর রশিদ বলেন, দক্ষিণ এশিয়ায় খাদ্য নিরাপত্তা, পুষ্টি এবং গ্রামীণ জীবিকা নিশ্চিত করতে গবাদিপশু গুরুত্বপূর্ণ। তবে এই খাতের কারণে মিথেন এবং নাইট্রাস অক্সাইডসহ উষ্ণগৃহ গ্যাসের নির্গমন বৃদ্ধি পাচ্ছে। নির্ভরযোগ্য নিরূপণ এবং বৈজ্ঞানিক খাদ্য হস্তক্ষেপ অপরিহার্য।
প্রধান অতিথি স. ম. মাহবুবুল আলম, মহাপরিচালক, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ বলেন, জলবায়ু বান্ধব গবাদিপশু চর্চা সম্প্রসারণে আঞ্চলিক সহযোগিতা জরুরি। দক্ষিণ এশিয়ার গবাদিপশু উন্নয়ন নীতি আন্তর্জাতিক জলবায়ু চুক্তির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়া উচিত, সঙ্গে ক্ষুদ্র এবং মাঝারি কৃষকদের স্বার্থও রক্ষা করতে হবে।
বিশেষ অতিথি তানভীর আহমদ তোড়ফদার, পরিচালক, সার্ক সচিবালয়, নেপাল বলেন, জলবায়ু-সহনশীল কৃষি এবং টেকসই গবাদিপশু উন্নয়নে আঞ্চলিক সহযোগিতা নিশ্চিত করা আমাদের অঙ্গীকার। এ ধরনের প্রশিক্ষণ উদ্যোগগুলো গুরুত্বপূর্ণ।
বিজ্ঞাপন
অতিথি সম্মানিত ড. এ. কে. সামান্তা, সহকারী মহাপরিচালক, প্রাণী পুষ্টি ও শারীরবৃত্ত, ভারত বলেন, পুষ্টি গবেষণাকে জাতীয় নিরূপণ সিস্টেম এবং নীতি পরিকল্পনার সঙ্গে সংযুক্ত করা অপরিহার্য।
মূল বক্তৃতা দেন ড. নিটিন ত্যাগী, প্রধান বৈজ্ঞানিক, জাতীয় দুগ্ধ গবেষণা প্রতিষ্ঠান, ভারত। তিনি বলেন, ক্ষুদ্র এবং মাঝারি কৃষক কেন্দ্রিক উৎপাদন ব্যবস্থা, নিম্নমানের চারণশস্য এবং সীমিত তথ্য দক্ষিণ এশিয়ায় গবাদিপশু-উৎপন্ন উষ্ণগৃহ গ্যাস হ্রাসে প্রধান চ্যালেঞ্জ।
প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত ওভারভিউ দেন ড. মো. ইউনুস আলী, সিনিয়র প্রোগ্রাম বিশেষজ্ঞ, সার্ক কৃষি কেন্দ্র। তিনি জানান, প্রশিক্ষণের মাধ্যমে অংশগ্রহণকারীরা আন্তর্জাতিক মানের উষ্ণগৃহ গ্যাস নিরূপণ পদ্ধতি শিখবেন এবং বৈজ্ঞানিক হ্রাসকৌশল অনুশীলন করবেন।
প্রশিক্ষণ চলবে তিন দিনব্যাপী এবং এতে গবাদিপশু খাতের পরিবেশবান্ধব উন্নয়ন, নীতি নির্ধারণ এবং কার্যকর খাদ্য ব্যবস্থাপনার ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হবে।
এএইচ/এআর

