শীতের শুরুতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের খাল–বিল দ্রুত শুকিয়ে যাচ্ছে। পানি কমতে শুরু করলে মাছ ধরতে নামেন গ্রামাঞ্চলের জেলে ও স্থানীয় বাসিন্দারা। ফলে বাজারে একে একে উঠতে শুরু করেছে টাটকা দেশি মাছ। রাজধানীর কাঁচাবাজার গুলোতেও বেড়েছে দেশি মাছের সরবরাহ। সরবরাহ বাড়লেও প্রত্যাশামতো দাম কমেনি। বরং বিক্রেতারা বলছেন, এ সময়ের মাছ পেতে শ্রম ও খরচ বেশি হওয়ায় দামও কিছুটা বেশি রাখা ছাড়া উপায় নেই।
শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) রাজধানীর কয়েকটি কাঁচা বাজার ঘুরে এমনটা দেখা যায়।
বিজ্ঞাপন
বাজারের চিত্র বলছে, খাল–বিলের এসব মাছের প্রতি ক্রেতাদের আগ্রহ ব্যাপক। দেশি মাছের স্বাদ, গন্ধ ও সতেজতার কারণে ক্রেতারা ভিড় করছেন। কিন্তু পছন্দের মাছ কিনতে গিয়ে হাত খুলে টাকা খরচ করতে হচ্ছে তাদের। বিশেষ করে শহরের বাজারগুলোতে দামে আরও একটু বাড়তি চাপ দেখা যাচ্ছে।
ট্যাংরা, শিং, মাগুর, বোয়াল, কই, পুটি—সব ধরনের দেশি মাছই উঠছে বাজারে, তবে দামের দংশন বেশ তীব্র। ট্যাংরা কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকায়। দেশি মাগুর পাওয়া যাচ্ছে ৬০০ থেকে ৭৫০ টাকার মধ্যে। বড় সাইজের বোয়াল মাছের কেজি দাম ১,৩০০ টাকার নিচে নেই; কোথাও কোথাও তা ১,৮০০ টাকাও ছুঁই ছুঁই। শিং মাছের কেজি ৮০০ থেকে ১,০০০ টাকা, আর ছোট সাইজের পুটি মাছ মিলছে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকায়। দেশি কই মাছও কম নয়—৫৫০ থেকে ৭০০ টাকার মধ্যে ঘোরাফেরা করছে।

বিক্রেতাদের ভাষ্য, পানি কমে গেলে কয়েকদিন প্রচুর মাছ ধরা গেলেও এর পরিমাণ থাকে অনিশ্চিত। আর বাজারে আনতে পরিবহন খরচ ও মধ্যস্বত্বভোগীদের অংশও দামের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে। ফলে তারা বাধ্য হয়েই বেশি দাম রাখতে হচ্ছে বলে দাবি করেন।
বিজ্ঞাপন
সজীব মিয়া বলেন, প্রতিবছরই শীতের মৌসুমে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে খাল বিল হাওরের মাছ আসে। শহরের মানুষের এসব মাঝে আগ্রহ একটু বেশি থাকে। ফলে অনেকে সখের বসে চড়া দামেও এসব মাছ কিনছেন।

অন্যদিকে ক্রেতাদের অভিযোগ— শীতের শুরু মানেই বাজারে দেশি মাছের ‘ভরপুর’ উপস্থিতি এবং তুলনামূলক কম দাম। কিন্তু এবার সে চিত্র নেই। বরং প্রতিটি মাছেই দামের আগুন লেগেছে।
শীত আরও বাড়লে খাল–বিলের মাছের সরবরাহ বাড়তে পারে বলে আশা করছেন স্থানীয়রা। তবে আপাতত বাজারে দেশি মাছের স্বাদ নিতে হলে সাধারণ ক্রেতাদের অতিরিক্ত দাম গুনেই ঘরে ফিরতে হচ্ছে।
এমআর/এএস

