শুক্রবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে যৌথ বিনিয়োগে চীনা উদ্যোক্তাদের আগ্রহ

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১২ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৬:৩৫ এএম

শেয়ার করুন:

নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে যৌথ বিনিয়োগে চীনা উদ্যোক্তাদের আগ্রহ
নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে যৌথ বিনিয়োগে চীনা উদ্যোক্তাদের আগ্রহ। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ খাতে যৌথভাবে বিনিয়োগ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে চীনের বিভিন্ন শিল্পখাতের শীর্ষ বিনিয়োগকারীদের একটি প্রতিনিধি দল। আগামী জানুয়ারিতে তারা বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সঙ্গে চীনে একটি বিশেষ সভা আয়োজনের বিষয়ে সম্মত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) উত্তরা বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে আয়োজিত বৈঠকে চীনা প্রতিনিধি দল এই আগ্রহের কথা জানায়। বৈঠকে তারা বিজিএমইএ নেতাদের চীনের প্রধান ফ্যাব্রিক উৎপাদন কেন্দ্র পরিদর্শনের আমন্ত্রণও জানান।


বিজ্ঞাপন


বিজিএমইএর পক্ষ থেকে আলোচনায় নেতৃত্ব দেন সিনিয়র সহসভাপতি ইনামুল হক খান। প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে ছিলেন বৈশ্বিক ফ্যাশন পার্টনার বেটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান ফ্রাঙ্ক ই। বৈঠকে বিজিএমইএর সহসভাপতি মো. শিহাব উদ্দোজা চৌধুরী এবং পরিচালক ফয়সাল সামাদ, মো. হাসিব উদ্দিন, রুমানা রশীদ ও মোহাম্মদ সোহেল উপস্থিত ছিলেন।

চীনের টেক্সটাইল, ফেব্রিক্স, ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ, আইটি, এআই, সাপ্লাই চেইন প্রযুক্তি, হাইটেক শিল্প, শিক্ষা ও কারিগরি গবেষণা, আইনসেবা এবং বিরোধ নিষ্পত্তি খাতের প্রতিনিধিরাও আলোচনা সভায় অংশ নেন।

বৈঠকে বিজিএমইএর পরিচালক ফয়সাল সামাদ দুই দেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে আরও ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ স্থাপনের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন। তিনি প্রস্তাব করেন, আগামী জানুয়ারিতে বেটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজের উদ্যোগে বিজিএমইএ ও চীনা ব্যবসায়ীদের নিয়ে একটি সমন্বিত সভা আয়োজন করা হোক। পাশাপাশি শিক্ষা ও গবেষণায় সহযোগিতার লক্ষ্যে চীনের চেউং কং গ্রাজুয়েট স্কুল অব বিজনেসের সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরের প্রস্তাবও দেন তিনি।

ফয়সাল সামাদ আরও বলেন, বাংলাদেশের পোশাক কারখানাগুলো বিপুল পরিমাণ ফ্যাব্রিক চীন থেকে আমদানি করে থাকে। ফলে অনেক সময় দুই দেশের ব্যবসায়িক অংশীদারদের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। এসব বিরোধ দ্রুত নিষ্পত্তিতে চীনা ল ফার্ম একটি কার্যকর প্ল্যাটফর্ম হতে পারে।


বিজ্ঞাপন


বিজিএমইএর সিনিয়র সহসভাপতি ইনামুল হক খান বলেন, শিল্পের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা, উৎপাদন ব্যয় এবং লিড টাইম কমাতে এমএমএফভিত্তিক টেক্সটাইল, কেমিক্যাল এবং নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ খাতে যৌথ বিনিয়োগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন-পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এআই-চালিত প্রযুক্তি, সমন্বিত সাপ্লাই চেইন, থ্রিডি ফটোপ্রোপাইটিং এবং ডিজিটাল প্রোডাক্ট পাসপোর্ট বিষয়ে চীনের সহযোগিতাও তিনি প্রত্যাশা করেন।

এমআর/এআর

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর