বুধবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

অর্থনীতি এগিয়ে নিতে অভ্যন্তরীণ রাজস্ব আয় বাড়াতে হবে: অর্থ উপদেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১০ ডিসেম্বর ২০২৫, ০১:৪০ পিএম

শেয়ার করুন:

Saleh uddin
অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। ছবি: ঢাকা মেইল

ধার-দেনা না করে অভ্যন্তরীণ রাজস্ব আয় বাড়াতে হবে। অর্থনীতি এগিয়ে নিতে অভ্যন্তরীণ রাজস্ব আয় বাড়ানোর বিকল্প নেই বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।

বুধবার (১০ ডিসেম্বর) জাতীয় ভ্যাট দিবস ও সপ্তাহ-২০২৫ উপলক্ষে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।


বিজ্ঞাপন


ড. সালেহউদ্দিন বলেন, ‘বিভিন্ন সংস্থা থেকে ধার নেওয়া অর্থে দেশের অর্থনীতি এগোবে না। অর্থনীতি এগিয়ে নিতে অভ্যন্তরীণ রাজস্ব আয় বাড়াতে হবে। জনগণের পরিশোধ করা ট্যাক্স-ভ্যাটের বিপরীতে সেবা নিশ্চিত করার দায়িত্ব সরকারের।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের ট্যাক্স নির্ভর হওয়া উচিত; ভ্যাট নির্ভর না। ভ্যাট প্রদানে জটিলতা কমিয়ে আধুনিকায়ন করতে হবে।’

দেশের মানুষ পণ্য কেনার সময় বা সেবা গ্রহণে মূল্য সংযোজন কর-মূসক বা ভ্যাট দিলেও অনেক সময় তা সরকারের কোষাগারে পৌঁছায় না বলে পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ।


বিজ্ঞাপন


তার ভাষ্য, ‘একটা জিনিস ভ্যাটের যেটা হয়, সিস্টেমটা যেন...সবাই বলবেন, খুব সহজ যেন সিস্টেম হয় এবং ভ্যাটে যেন ‘কোনো কারচুপি’ না হয়।’

তিনি বলেন, ‘ভ্যাট যেন আপনি বা আমি যদি ভ্যাট দেই, সেটা যেন সরকারের কোষাগারে পৌঁছায়। আমাদের দেশে একটা দুঃখজনক ব্যাপার হচ্ছে, ভ্যাটটা অনেক সময় পেীঁছায় না।’

পৃথিবীর অন্যান্য দেশে কেনাকাটা করতে গেলে ‘ভ্যাট থেকে নিস্তার নাই’ মন্তব্য করে উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি অনেককে দেখেছি আমার আত্মীয়-স্বজনও, এই দোকানে ভ্যাট আছে? আছে। ঠিক আছে থাক, আরেক দোকানে যাই। ব্যবসায়ী ভ্যাট নেবে না, ঠিক আছে না নিলে চলবে। অতএব আমাদের মধ্যে কিন্তু মানসিকতাটা একটু চেঞ্জ করতে হবে।’

কর দিলে সেই তার বিপরীতে সেবাটাও যেন মেলে, তা নিশ্চিত করার তাগিদ দিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা।

সালেহউদ্দিন আহমেদের ভাষ্য, ‘কোনো কোনো দেশে আমি একটা দেশ আছে বলবো না, বলছে ট্যাক্স-জিডিপি রেশিও ২৬ শতাংশ। ২৬ শতাংশ ট্যাক্স দেয়। আমি জিজ্ঞেস করলাম কেন? বলি, ২৬ শতাংশ ট্যাক্স দেয় কারণ হয় কি, ব্যবসায়ী, সাধারণ মানুষ সবাই কনভিন্সড। ওই যে ভ্যাট বা ট্যাক্স দিয়ে তোরা তো আবার সেবাটা পায় আবার। ওই যে ২৬ শতাংশ ট্যাক্স নিয়ে এদিক-সেদিক টাকা পাঠিয়ে দিল দেশের বাহিরে, ওইটা হয় না। ওরা জানে যে এই টাকাটা ঠিক কাজে ব্যবহার হবে।’

তিনি বলেন, ‘আমাদেরও কিন্তু সরকারের দিক থেকে এটা এনশিওর করতে হবে যে ট্যাক্সটা আপনাদের কাছে নিচ্ছে, মানুষের কাছে, তার বদলে যেন সব ধরনের সেবা যেন এনশিওর করে। তবেই কিন্তু লোকজন কনভিন্সড হবে যে আমি ট্যাক্স দেব, কারণ এটা তো আমার জন্য।’

এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রহমান খান বলেন, ‘আয়করে ফাঁকি বেশি হওয়ায় সংগ্রহ কম। ফাঁকিরোধে প্রশাসনিক কাঠামো পরিবর্তনের কথা ভাবা হচ্ছে।’

এমআর/এমআই

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর