মূল্যবান একটি ধাতু স্বর্ণ। বিশ্ববাজারে ঘনঘনই বাড়ছে এটির দাম। যার প্রভাব পড়ছে দেশের বাজারেও। সেই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) এক সপ্তাহেরও বেশি সময়ের মধ্যে বিশ্ববাজারে সর্বোচ্চে পৌঁছেছে স্বর্ণের দাম।
কিন্তু এর নেপথ্যে কারণ কী? কেন এভাবে ঘনঘন বাড়ছে ধাতুটির দাম?
বিজ্ঞাপন
আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন বলছে, মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভের নীতিনির্ধারকদের কড়া মন্তব্যের প্রেক্ষিতে ডিসেম্বরে সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) সর্বোচ্চে পৌঁছেছে। এ পরিস্থিতিতে ডলারের দামও কিছুটা শক্তিশালী হয়েছে।
বার্তাসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, স্পট মার্কেটে স্বর্ণের দাম প্রতি আউন্সে ৪ হাজার ১৪৭ দশমিক ৫১ ডলারে পৌঁছেছে, যা গত ১৪ নভেম্বরের পর সর্বোচ্চ। এটি ১ দশমিক ৮ শতাংশ অগ্রগতির ভিত্তিতে শূন্য দশমিক ২ শতাংশ বেড়েছে। ডিসেম্বরে ডেলিভারির জন্য মার্কিন স্বর্ণের ফিউচার দাম ১ দশমিক ২ শতাংশ বেড়ে ৪ হাজার ১৪৪ দশমিক ৭০ ডলারে পৌঁছেছে।
ওয়ান্ডার সিনিয়র বাজার বিশ্লেষক কেলভিন ওং বলেন, ‘গত দুই সপ্তাহে সুদের হার কমানোর প্রত্যাশার কারণে স্বল্পমেয়াদে স্বর্ণের দাম পুনরুদ্ধার হয়েছে। বাজার এখন যেকোনো মার্কিন অর্থনৈতিক তথ্য খুব সতর্কতার সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করছে।’
এদিকে ফেড গভর্নর ক্রিস্টোফার ওয়ালার সোমবার (২৪ নভেম্বর) জানান, মার্কিন চাকরির বাজার এত দুর্বল যে, ডিসেম্বরে আরও একটি কোয়ার্টার-পয়েন্ট সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এটি সরকারি অচলাবস্থার কারণে বিলম্বিত তথ্যের ওপর নির্ভর করবে।
সিএমই ফেডওয়াচ টুল অনুসারে, বিনিয়োগকারীরা এখন ডিসেম্বরে ফেডের সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা ৮১ শতাংশ হিসেবে দেখছেন, যা গত সপ্তাহে ছিল ৪০ শতাংশ। কম সুদের হারের পরিবেশে স্বর্ণে বিনিয়োগ সাধারণত ভালো ফলন দেয়।
সরকারি অচলাবস্থার কারণে বিলম্বিত গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক তথ্য, যেমন মার্কিন খুচরা বিক্রি, বেকারত্বের দাবি এবং উৎপাদক মূল্যের পরিসংখ্যান, এই সপ্তাহে প্রকাশিত হওয়ার কথা রয়েছে। এগুলো ফেডের সুদের হার কমানোর পথ আরও স্পষ্ট করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ডলারের মান গত সপ্তাহে ছয় মাসের সর্বোচ্চের কাছাকাছি অবস্থান ধরে রেখেছে, যা স্বর্ণের মূল্য বৃদ্ধিকে কিছুটা সীমাবদ্ধ করেছে।
অন্যদিকে, স্পট সিলভারের দাম প্রতি আউন্সে ৫১ দশমিক ৪২ ডলারে স্থির ছিল, প্ল্যাটিনাম ১ দশমিক ১ শতাংশ বেড়ে ১ হাজার ৫৬০ দশমিক ৬০ ডলারে এবং প্যালাডিয়াম শূন্য দশমিক ২ শতাংশ বেড়ে ১ হাজার ৩৯৮ দশমিক ৮৮ ডলারে পৌঁছেছে।
বিজ্ঞাপন
এএইচ

