বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পকে আধুনিকায়ন ও ইন্ডাস্ট্রি ৪.০-এর উপযোগী করে তুলতে বাংলাদেশ গার্মেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএমইএ) এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন ন্যাশনাল প্রোডাকটিভিটি অর্গানাইজেশন (এনপিও)-এর মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) রাজধানীর এনপিও কার্যালয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন বিজিএমইএ পরিচালক জোয়ারদার মোহাম্মদ হোসনে কমার আলম এবং এনপিও সভাপতি মো. নুরুল আলম।
বিজ্ঞাপন
চুক্তি অনুযায়ী, পোশাক শিল্পে উৎপাদনশীলতা ও অপারেশনাল উৎকর্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে উভয় প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে প্রশিক্ষণ কর্মসূচি, সেমিনার ও পরামর্শ সেবা পরিচালনা করবে। এ উদ্যোগের অংশ হিসেবে 5S, Kaizen এবং Lean Manufacturing-এর মতো আধুনিক উৎপাদন পদ্ধতি বাস্তবায়নে গুরুত্ব দেওয়া হবে।
এছাড়া প্রতিবছর তিনটি তৈরি পোশাক কারখানাকে ‘মডেল এন্টারপ্রাইজ’ হিসেবে বাছাই করা হবে। এনপিওর কারিগরি সহায়তায় এসব কারখানায় উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির পাইলট প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। পাশাপাশি, উভয় সংস্থা এশিয়ান প্রোডাকটিভিটি অর্গানাইজেশন (APO)-এর সহায়তায় গবেষণা ও সক্ষমতা উন্নয়নমূলক উদ্যোগেও একসঙ্গে কাজ করবে।
স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বিজিএমইএ পরিচালক জোয়ারদার মোহাম্মদ হোসনে কমার আলম বলেন, “বাংলাদেশের পোশাক শিল্পকে স্মার্ট ম্যানুফ্যাকচারিং-এর পথে এগিয়ে নিতে আমাদের উৎপাদন ব্যবস্থায় ডিজিটাল প্রযুক্তি, আইওটি ও ইনোভেশন সংযুক্ত করা জরুরি।”
তিনি আরও বলেন, বৈশ্বিক বাণিজ্যের পরিবর্তন ও প্রযুক্তিগত রূপান্তরের সঙ্গে তাল মেলাতে এখন শুধু কম খরচ নয়, বরং গুণগত মান, দক্ষতা, গতি ও উদ্ভাবনের সমন্বয়ই হবে প্রতিযোগিতার মূল চালিকাশক্তি।
বিজ্ঞাপন
বিজিএমইএ ও এনপিওর এই অংশীদারিত্ব দেশের তৈরি পোশাক শিল্পকে টেকসই, আধুনিক ও প্রতিযোগিতামূলক শিল্পে রূপান্তরের পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে দেখা হচ্ছে।
টিএই/এআর

