রোববার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

৮০ টাকার নিচে সবজি নেই, আলু-পেঁপে ক্রেতাদের ভরসা

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:৫৪ এএম

শেয়ার করুন:

৮০ টাকার নিচে সবজি নেই, আলু-পেঁপে ক্রেতাদের ভরসা

রাজধানীসহ সারাদেশের বাজারে সবজি কেনাকাটায় নাভিশ্বাস উঠেছে সাধারণ ক্রেতাদের। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যগুলোর মধ্যে সবজির দাম দীর্ঘদিন ধরেই ঊর্ধ্বমুখী। এমন বাড়তি দামেই ব্যবসায়ীরা প্রতিনিয়ত ক্রেতাদের পকেট কেটে নিচ্ছে। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, আলু-পেঁপে ছাড়া ৮০ টাকার নিচে বাজারে কোনো সবজি পাওয়া যাচ্ছে না। এই অবস্থায় সীমিত আয়ের মানুষ এখন আলু ও পেঁপের দিকেই ঝুঁকছেন। এছাড়াও, পেঁয়াজের দাম এখনও কমছে না। পেঁয়াজ-রসুন, আদা-হলুদের মতো মসলাজাতীয় পণ্যের দামও ক্রমেই বাড়ছে।

‎সরেজমিনে শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর ঝিগাতলা কাঁচাবাজার, টাউন হল কাঁচাবাজার,কৃষি মার্কেট, রায়েরবাজার কাঁচা বাজারসহ বেশ কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা যায় এমন চিত্র। ক্রেতারা অভিযোগ করে বলেন, সবজির দামে অস্থিরতা আরও বেড়েছে। আলু, পেঁপে ছাড়া ৮০ টাকার নিচে সবজি বাজারে খুঁজে পাওয়া কষ্টকর। বাজারে নতুন গোলাকৃতির বেগুন বিক্রি হচ্ছে ১০০-১৪০ টাকা কেজি দরে। ঝিঙ্গা, পটল, ঢ্যাঁড়স ৮০-৮৫ টাকার আশেপাশে বিক্রি করতে দেখা গেছে। এছাড়াও, বরবটি, করলা, চিচিঙ্গা, কচুর লতি বাজারভেদে দাম ১০০-১২০ টাকা পর্যন্ত। প্রতিটি লাউ কিনতে হচ্ছে ৮০-১০০ টাকায়। এছাড়াও, প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৮০-১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। পেঁয়াজের পাশাপাশি, রসুন কেজি প্রতি ১৬০-১৮০ টাকা দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে।

‎মোহাম্মদপুরের টাউন হল বাজারে সবজি কিনতে আসা রিকশাচালক আবদুল হামিদ অভিযোগ করে বলেন, এক কেজি বেগুন কিনতে ১২০ টাকা লাগে। শাকপাতা নিতেও ৮০ টাকার নিচে তেমন কিছু পাওয়া যায় না। আমরা গরিব মানুষ কীভাবে কী কিনে রান্না করে খাব? একমাত্র আলু আর পেঁপে ছাড়া আমাদের কোনো উপায় নাই।

Veg

‎ঝিগাতলা কাঁচাবাজারে বাজার করতে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী ওমায়েদ আলম বলেন, বাজারে একমাত্র সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে আলুর দাম। এই নিত্যপণ্যটি ২৫-৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে ঢাকার বাজারগুলোতে। কখন যে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে এই পণ্যগুলোর দাম বাড়িয়ে দেয়। এছাড়া বাজারে কম দামের সবজির মধ্যে রয়েছে শুধু পেঁপে। প্রতি কেজি পেঁপে ৩৫-৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আমরা বাজার করতে এসে সবজি কিনতে গিয়েই হাঁসফাঁস অবস্থা। মাছ-মাংসের দাম তো রীতিমতো বিলাসিতা হয়ে যাচ্ছে আমাদের কাছে। আমরা যারা সীমিত আয়ের পরিবারগুলো আপাতত আলু ও পেঁপেকেই সবজি হিসেবে ভরসা করছি। কিন্তু এই পরিস্থিতি চলতে থাকলে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় আরও বেড়ে যাবে বলে আশঙ্কা করছি।

‎তবে, বিক্রেতারা বলছেন, একটি পণ্য কেনা থেকে শুরু করে, পরিবহন খরচ, পাইকারি বাজারের অস্থিরতা ও মৌসুমি সংকটের কারণে দাম নিয়ন্ত্রণে রাখা যাচ্ছে না। এক সবজি ব্যবসায়ী জানান, আমরা পাইকারি থেকেই বেশি দামে কিনছি। গ্রাহকদের কাছে বেশি দামে বিক্রি না করলে তো আমাদের লোকসান হবে। তাই আমার বাধ্য হয়েই বেশি দামে বিক্রি করতে হয়।

‎একেএস/এফএ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর