আন্তর্জাতিক ফিনটেক কোম্পানি ও মানি ট্রান্সফার অ্যাপ নালা’র মাধ্যমে জিরো ফিতে রেমিট্যান্স পাঠাতে পারছেন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ ২১ দেশের প্রবাসীরা। ২০২১ সালে চালু হওয়া অ্যাপটির ব্যবহারকারীর সংখ্যা বর্তমানে পাঁচ লাখেরও বেশি।
শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে, বক্তব্য রাখেন নালা, বাংলাদেশ-এর হেড অব গ্রোথ মাহমুদুল হাসান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন তমা রশিদ।
বিজ্ঞাপন
মাহমুদুল হাসান বলেন, বাংলাদেশি প্রবাসীদের কষ্টার্জিত টাকা জিরো ফিতে দ্রুত এবং নিরাপদভাবে দেশে পৌঁছানোই আমাদের অঙ্গীকার। কারণ আমরা জানি, প্রবাসীরা দূর দেশ থেকে প্রচণ্ড কষ্ট করে পরিবারকে সহায়তা করেন। তাদের উপার্জিত প্রতিটি টাকা শুধু একটি পরিবারের জীবনমান নয় বরং বাংলাদেশের সামগ্রিক অর্থনীতিকেও সমৃদ্ধ করে। তাই তাদের পাঠানো রেমিট্যান্স পৌঁছানোর প্রক্রিয়ায় যেন বাড়তি খরচ, লুকানো চার্জ বা বিলম্ব না হয়; সেই লক্ষ্যেই কাজ করছে নালা।
তিনি আরও বলেন, আমাদের উদ্দেশ্য শুধু টাকা পাঠানো নয় বরং প্রতিটি লেনদেনে আস্থা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা। আমরা চাই, বাংলাদেশের প্রবাসীরা যেন গর্বের সঙ্গে বলতে পারেন— ‘আমাদের টাকা নিরাপদ, দ্রুত এবং বিনামূল্যে দেশে পৌঁছাচ্ছে।’ এভাবেই আমরা রেমিট্যান্স প্রবাহকে আরও শক্তিশালী করব এবং জাতীয় অর্থনীতিকে এগিয়ে নেব।
নালা’র পক্ষ থেকে জানানো হয়, বর্তমানে নালা অ্যাপ ব্যবহার করে প্রবাসীরা যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং ইউরোপের বিভিন্ন দেশ মিলিয়ে মোট ২১টি দেশ থেকে বাংলাদেশে টাকা পাঠাতে পারেন। ২০২১ সালে চালু হওয়া অ্যাপটির ব্যবহারকারীর সংখ্যা বর্তমানে ৫ লাখেরও বেশি।
তথ্য বলছে, ২০২৪ সালে বৈশ্বিক রেমিট্যান্সের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৯০৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। তবে এর মধ্যে প্রায় ৫৭ বিলিয়ন ডলার অপচয় হয়েছে উচ্চ ফি, হিডেন চার্জ এবং কম এক্সচেঞ্জ রেটের কারণে। আর বাংলাদেশে একই সময়ে প্রবাসীরা পাঠিয়েছেন ২৬.৯ বিলিয়ন ডলার, যার মধ্যে ১৪৮ বিলিয়ন ডলারের (প্রায় ১৬,২০০ কোটি টাকা) ক্ষতি হয়েছে। এই ক্ষতি বাংলাদেশের বার্ষিক বাজেটের প্রায় ২.০২৫% এবং মোট দেশজ উৎপাদনের (GDP) প্রায় ০.৩৩%-এর সমান।
বিজ্ঞাপন
টিএই/এফএ

