রাজধানীর বাজারে গরু ও খাসির মাংসের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। মাছের দাম কিছুটা ওঠানামা করছে। তবে সবজির দামে তেমন কোনো পরিবর্তন নেই। ব্যসায়ীরা বলছেন, কয়েক দিন বৃষ্টি হলেই পাইকারি ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়ে দেন। এর ফলে বাজারে সবজির দাম বেড়ে ক্রেতাদের নাগালের বাইরে চলে যায়।
শুক্রবার (৫ আগস্ট) সকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুর টাউন হল বাজার, কৃষি মার্কেট, রায়ের বাজার, ঝিগাতলা কাঁচাবাজারসহ বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে এমন তথ্য পাওয়া যায়।
বিজ্ঞাপন
বাজার ঘুরে দেখা যায়, গরুর মাংস ৭৫০-৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খাসির মাংস ১১০০ থেকে ১২০০ টাকা। ব্রয়লার মুরগি ১৯০ টাকা থেকে ২১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দেশি ও পাকিস্তানি মুরগি কেজিপ্রতি ৪৫০-৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া বড় রুই-কাতল মাছ ৬০০ টাকা থেকে ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাশাপাশি, প্রতি কেজি ইলিশ বিভিন্ন সাইজ অনুযায়ী ২৫০০ থেকে তিন হাজার টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে নতুন তেমন কোনো সবজি নেই। এর মধ্যে টমেটোর কেজি ২০০ টাকা, নতুন শিম ২০০, ঢেঁড়শ, চিচিঙ্গা, পটল ৬০-১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। কাঁচামরিচ ২০০ টাকা দরেই বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা।
নিত্যপণ্যের দাম নিয়ে ক্রেতাদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা গেছে। তাদের দাবি, সপ্তাহের অন্যান্য দিনের চেয়ে শুক্রবারে বাজারে নিত্যপণ্যের দাম নাগালের বাইরে চলে যায়। অন্যদিনের চেয়ে অনেক বাড়িয়ে দেন ব্যবসায়ীরা। এজন্য প্রতি শুক্রবার বাজার মনিটরিংয়ের দাবি জানিয়েছেন ক্রেতারা।
অন্য দিনের চেয়ে শুক্রবার বাজারে দাম বেড়ে যায় বলে অভিযোগ করেছেন জালাল উদ্দিন নামে টাউন হল বাজারের এক ক্রেতা। তিনি বলেন, আমরা সপ্তাহে একদিন ছুটি পেয়ে বাজারে এলেই ব্যবসায়ীরা আমাদের পকেট কাটে। যে যেভাবে পারছে পণ্যের দাম বাড়িয়ে রাখছে। পুরো বাজারজুড়ে একটা সিন্ডিকেট তৈরি হয়েছে। যার ফলে প্রতি দোকানে দাম বাড়িয়ে দিয়ে ব্যবসায়ীরা একই দামে পণ্য বিক্রি করছে। এ সিন্ডিকেট ভেঙে দিতে সরকারকে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে।
বিজ্ঞাপন

কৃষি মার্কেটে জাহিদুল ইসলাম নামে আরেক ক্রেতা মাছ মাংসের দাম নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, প্রতি শুক্রবার বাজার করতে এসে দেখি ৭০০ টাকায় গরুর মাংস নেই। খাসির মাংস তো ছোঁয়াই যায় না। বড় মাছ কিনতে যাবো সেখানে প্রতি কেজি ৭০০ থেকে এক হাজার দাম চেয়ে বসে। আমরা কোন দিকে যাবো, কী কিনে খাবো। আমাদের দেশে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে সব কিছুর দাম বাড়িয়ে দেয়। এ নিয়ে কারো কোনো মাথাব্যথা নেই। ইচ্ছে মতো চাইলেই নিত্যপণ্যের দাম রাখা যাচ্ছে। সরকারও মনিটরিং না করে তাদের সুযোগ করে দিচ্ছে। আমাদের এমন সিন্ডিকেট থেকে রক্ষা করবে কে?
আরও পড়ুন
চালের মানে 'কম্প্রোমাইজ' করছে ভোক্তা
কৃষি মার্কেটের মাংস ব্যবসায়ী জহিরুল বলেন, বাজারে চাহিদা থাকায় সব মাংসের দাম বেশি। এখন আমরা কম দামে কীভাবে বিক্রি করব। শুক্রবার এলে ক্রেতাদের ভিড় থাকায় আমাদের মাংস শেষ হয়ে যায়। এরপরও তাদের অভিযোগ, আমরা বেশি দামে বিক্রি করছি। এখনতো ৭০০-৮০০ গরুর মাংসের দাম। কয়েক দিন পর এক হাজার টাকায় চলে যাবে। খাসির মাংস ১৫'শ-১৬'শ টাকায় বিক্রি করতে হবে। তখন তো আমরা ক্রেতাদের ভয়ে দোকান ছেড়ে পালিয়ে যেতে হবে।
একেএস/জেবি

