রোববার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

৫ ব্যাংক থেকে আরও ১৩ কোটি ৪০ লাখ ডলার কিনল বাংলাদেশ ব্যাংক

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৭:৫০ পিএম

শেয়ার করুন:

পরিচালনা পর্ষদ ও কমিটির কার্যবিবরণীতে ‘ডিসেন্ট নোট’ অন্তর্ভুক্ত বাধ্যত

ডলারের বাজার স্থিতিশীল রাখতে বিগত তিন অর্থবছর ধরে রিজার্ভ থেকে বিপুল পরিমাণে ডলার বিক্রি করলেও চলতি অর্থবছরে ভিন্ন পথে হাঁটছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরে এখন পর্যন্ত সাত দফায় মোট ৮১ কোটি ডলারের বেশি কিনে নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

সর্বশেষ, আজ বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) ৫টি বাণিজ্যিক ব্যাংকের কাছ থেকে কেনা হয়েছে ১৩ কোটি ৪০ লাখ ডলার। 


বিজ্ঞাপন


মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) ৮টি বাণিজ্যিক ব্যাংকের কাছ থেকে কেনা হয়েছিল ৪ কোটি ৭৫ লাখ ডলার।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান জানান, বাজারে বর্তমানে ডলারের চাহিদার তুলনায় সরবরাহ বেশি। এ কারণেই রিজার্ভ থেকে বিক্রি না করে, কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাজার থেকেই ডলার কিনছে। তার মতে, বাজার স্থিতিশীল রাখতে ভবিষ্যতেও এই প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে।

বৃহস্পতিবার কেনাকাটা হয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের ফরেন এক্সচেঞ্জ (এফএক্স) নিলাম কমিটির মাধ্যমে, মাল্টিপল প্রাইস অকশন পদ্ধতিতে। প্রতিটি ডলারের বিনিময় হার ছিল ১২১ টাকা ৭৫ পয়সা।

আরও পড়ুন: আবারও ব্যাংক থেকে টাকা তোলার প্রবণতা বাড়ছে


বিজ্ঞাপন


এর আগে কেন্দ্রীয় ব্যাংক পাঁচ দফায় ডলার কিনেছিল: ১৩ জুলাই: ১৮টি ব্যাংকের কাছ থেকে ১২১.৫০ টাকায় ১৭ কোটি ১০ লাখ ডলার, ১৫ জুলাই: একই দরে ৩১ কোটি ৩০ লাখ ডলার, ২৩ জুলাই: ১২১.৯৫ টাকায় ১ কোটি ডলার, ৭ আগস্ট: ১২১.৩৫ থেকে ১২১.৫০ টাকায় ৪ কোটি ৫০ লাখ ডলার, ১০ আগস্ট: ১১টি ব্যাংকের কাছ থেকে ১২১.৪৭ থেকে ১২১.৫০ টাকায় মোট ৮ কোটি ৩০ লাখ ডলার, ২ সেপ্টেম্বর: ৮টি বাণিজ্যিক ব্যাংকের কাছ থেকে ৪ কোটি ৭৫ লাখ ডলার এবং আজ ৪ সেপ্টেম্বর ৫টি ব্যাংকের কাছ থেকে কেনা হলো ১৩ কোটি ৪০ লাখ ডলার।

বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, ডলারের দাম হঠাৎ করে অতিরিক্ত বেড়ে যাওয়া বা অস্বাভাবিকভাবে কমে যাওয়া, দুটোই অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর। বর্তমানে দেশে খাদ্যের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে এবং বিদেশি দায় পরিশোধও সঠিকভাবে সম্পন্ন হয়েছে। ফলে নিকট ভবিষ্যতে ডলারের তীব্র চাহিদা তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা নেই।

তাদের মতে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এই ডলার ক্রয় রিজার্ভকে আরও শক্তিশালী করবে। আর জাতীয় নির্বাচন পরবর্তী রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এলে বিনিয়োগ বাড়বে, ফলে ডলারের চাহিদাও বাড়তে পারে।

টিএই/এআর

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর