শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

ট্যাম্পা ওয়ার্ল্ড ফেয়ার ২০২৬: বিশ্ব মঞ্চে বাংলাদেশের নতুন সম্ভাবনা

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০১:১৭ পিএম

শেয়ার করুন:

ট্যাম্পা ওয়ার্ল্ড ফেয়ার ২০২৬: বিশ্ব মঞ্চে বাংলাদেশের নতুন সম্ভাবনা
ট্যাম্পা ওয়ার্ল্ড ফেয়ার ২০২৬: বিশ্ব মঞ্চে বাংলাদেশের নতুন সম্ভাবনা

যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের ট্যাম্পা কনভেনশন সেন্টারে আগামী ২৪ ও ২৫ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ‘৭ম ওয়ার্ল্ড ফেয়ার অ্যান্ড ফেস্ট ২০২৬’। এই আয়োজনে অংশ নিয়ে বাংলাদেশ তার ব্যবসা, সংস্কৃতি ও তরুণদের বৈশ্বিক মঞ্চে তুলে ধরার গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ পাবে। বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।

২০২২ সালে এ উৎসবের যাত্রা শুরু হয়। এরপর এটি অরল্যান্ডো, নিউইয়র্ক, ক্লিয়ারওয়াটার এবং ট্যাম্পা-বেতে সফলভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এবারের আয়োজন হবে আরও বড়, বৈচিত্র্যময় ও প্রভাবশালী।


বিজ্ঞাপন


এই ইভেন্টে থাকবে গ্লোবাল ট্রেড শো ও আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী। এখানে বিশ্বের নানা দেশের পণ্য, সেবা ও উদ্ভাবন উপস্থাপন করা হবে। বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে বাংলাদেশের গার্মেন্টস শিল্পকে। দক্ষিণ আমেরিকার বাজারে, বিশেষ করে চিলি ও ব্রাজিলের ক্রেতারা এতে অংশগ্রহণ করবেন।

ব্যবসায়িক অংশ ছাড়াও উৎসবটি সংস্কৃতি ও সম্প্রদায়ের মিলনমেলা হবে। থাকবে, ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীদের জন্য সামিট ও নেটওয়ার্কিং সেশন, তরুণ উদ্যোক্তা ও ভবিষ্যৎ নেতাদের জন্য আন্তর্জাতিক যুব সম্মেলন, বহুজাতিক সাংস্কৃতিক পরিবেশনা, শিল্প ও কারুশিল্প প্রদর্শনী, বিভিন্ন দেশের খাবারের সমাহারে ফুড ফেস্টিভ্যাল। 

আয়োজকদের মতে, এই উৎসব হবে ঐক্য, বৈচিত্র্য ও অভিন্ন আকাঙ্ক্ষার এক অনন্য উদযাপন।

বাংলাদেশের জন্য এই আয়োজনের গুরুত্ব ব্যাপক। দেশীয় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশের সুযোগ পাবে। তরুণ উদ্যোক্তা ও স্টার্ট-আপরা বৈশ্বিক বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে পরিচিত হতে পারবে। শিল্পী ও সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো বাংলাদেশের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে বিশ্বমঞ্চে তুলে ধরার সুযোগ পাবে। তরুণ প্রজন্মও আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা ও নেটওয়ার্কিংয়ের মাধ্যমে নিজেদের স্কিল নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারবে।


বিজ্ঞাপন


সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে সাংবাদিকদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গণমাধ্যমের সহযোগিতা, কভারেজ ও প্রচার মাধ্যমেই এই আয়োজনে সফলতা আসবে। বক্তারা জানান, এই উৎসব হবে বাংলাদেশের জন্য এক ঐতিহাসিক মাইলফলক। এটি হবে দেশের ব্যবসা, সংস্কৃতি ও তরুণ সমাজকে বিশ্বের কাছে পরিচয় করানোর একটি অনন্য সুযোগ।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, অর্গানাইজিং কোর কমিটির আহ্বায়ক আতিকুর রহমান, অর্গানাইজিং চেয়ারম্যান জুলফিকার আলী, পরিচাল কাজী জাহিদুল ইসলাম, বাংলাদেশ জুটমিল অ্যাসোসিয়েশন প্রেসিডেন্ট আবুল হোসেনসহ এফবিসিআই প্রতিনিধিসহ অন্যান্য সহযোগী সংগঠনের সদস্যবৃন্দ। 

এম/এইউ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর