একীভূতকরণের মাধ্যমে পাঁচ ব্যাংক মিলে গঠিত ব্রিজ ব্যাংকের পক্ষে নিজেদের সমর্থন জানিয়েছে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক। মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুরের সঙ্গে বৈঠকে এ তথ্য জানিয়েছেন ব্যাংকটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মান্নান।
বৈঠক শেষে আবদুল মান্নান বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তার সঙ্গে আমাদের দ্বিমত নেই। আমানতকারীদের সুরক্ষার বিষয়টি বাংলাদেশ ব্যাংক দেখবে। বৈঠকে ডেপুটি গভর্নর ড. কবির আহমেদসহ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বিজ্ঞাপন
মোহাম্মদ আবদুল মান্নান জানান, তিনটি পৃথক অডিট নিশ্চিত করেছে যে, এস আলম গ্রুপ বেনামি ঋণের মাধ্যমে ৩৮ হাজার কোটি টাকা নিয়েছে। নিজের নামে ঋণ নেওয়ার সুযোগ না থাকায় তারা বেনামি পথে অর্থ নেন। এই ঋণ আদায় না হওয়ায় ব্যাংকটি মারাত্মক সংকটে পড়েছে।
সূত্র জানায়, ধারাবাহিকভাবে পাঁচটি ব্যাংকের সঙ্গে পূর্বনির্ধারিত বৈঠকের মঙ্গলবার ছিল তৃতীয় দিন। এর আগে রোববার এক্সিম ও সোমবার সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের সঙ্গে বৈঠক হওয়ার কথা থাকলেও গভর্নরের অসুস্থতার কারণে তা হয়নি। আগামীকাল বুধবার ইউনিয়ন এবং বৃহস্পতিবার গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের সঙ্গে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। নতুন করে এক্সিম ও সোশ্যাল ইসলামীর সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে পরে জানাবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
এদিকে একইদিনে বাংলাদেশ ব্যাংকে স্টার্টআপ ফান্ডের কাঠামো নিয়ে আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের সিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মাসরুর আরেফিন বলেন, আমাদের লক্ষ্য স্টার্টআপদের স্বপ্ন পূরণে সহায়তা করা। ঋণের চাপ না দিয়ে আমরা বিনিয়োগ করব। সেজন্য বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো স্টার্টআপ ফাণ্ডে বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে গঠিত হচ্ছে সাড়ে ৬০০ কোটি টাকার ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ফান্ড। এ ফান্ড থেকে উদ্যোক্তাদের ঋণের বদলে ইকুইটি আকারে বিনিয়োগ দেওয়া হবে।
মাশরুর আরেফীন বলেন, শুরুতে এই ফান্ডের তদারকিতে কো-অর্ডিনেটর থাকবে বাংলাদেশ ব্যাংকের এসএমই ডিপার্টমেন্ট। এখন টা বোর্ড গঠিত হবে। ব্যাংকারদের নিয়েই ওই বোর্ড গঠিত হবে। এসোসিয়েশন অব ব্যাংকসের (এবিবি) পক্ষ থেকে আমাদের এই নামগুলোর পাঠাতে হবে। নতুন একটা কোম্পানি ফর্ম হবে। সেটার নিবন্ধন হবে। যাত্রা শুরু হতে হতে তিন চার মাস সময় লেগে যেতে পারে। তবে কাজ আজ থেকে পুরোদমে শুরু হলো।
বিজ্ঞাপন
সিটি ব্যাংকের সিইও বলেন, আমাদের দেশের স্টার্টআপদের মাথায় প্লান গিজগিজ করছে। ১০০টার মধ্যে একটি স্টার্টআপ দাঁড়ালেও আমাদের টাকা উঠে যাবে। মনে রাখতে হবে আমরা লোন দিচ্ছি না বিনিয়োগ করছি।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকে অনুষ্ঠিত বৈঠকে ৫০০ কোটি টাকার একটা রিফাইন্যান্স ফান্ড তৈরি করেছে। যেখানে ব্যাংকগুলো দশমিক ৫ শতাংশ রেটে নিয়ে ৪ শতাংশে স্টার্টআপদের ঋণ দেওয়া যাবে।
টিএই/ক.ম

