শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

বাংলাদেশের সাথে বাণিজ্য বৃদ্ধিতে পাকিস্তানের আগ্রহ প্রকাশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২১ আগস্ট ২০২৫, ০৩:০৯ পিএম

শেয়ার করুন:

বাংলাদেশের সাথে বাণিজ্য বৃদ্ধিতে পাকিস্তানের আগ্রহ প্রকাশ

বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্পর্ক বৃদ্ধি করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশে সফররত পাকিস্তানের বাণিজ্যমন্ত্রী জাম কামাল খান। 

বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) ডিসিসিআই’র মতিঝিল কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত পাকিস্তানের বাণিজ্যমন্ত্রী জাম কামাল খান ও ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি তাসকীন আহমেদের মধ্যকার সৌজন্য সাক্ষাতে তিনি এমন আগ্রহ প্রকাশ করেছ।


বিজ্ঞাপন


সাক্ষাৎকালে ঢাকা চেম্বারের সভাপতি তাসকীন আহমেদ বলেন, সংষ্কৃতি ও জীবনাচরনের দিক দিয়ে দুদেশের মানুষের প্রচুর মিল রয়েছে এবং পাকিস্তানের টেক্সটাইল ও বিশেষ করে জুয়েলারি পণ্য এদেশের মানুষের মাঝে বেশ চাহিদা রয়েছে।

ডিসিসিআই সভাপতি বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ উন্নয়নে এফটিএ স্বাক্ষরের জন্য এদেশের বেসরকারিখাত সবসময়ই সরকারকে প্রস্তাব দিয়ে আসছে এবং পাকিস্তানের সাথে বাংলাদেশের এফটিএ স্বাক্ষর হলে দ্বিপাক্ষিক ব্যবসা-বাণিজ্য আরও সম্প্রসারিত হবে।

তিনি বলেন, দুদেশের মধ্যে সরাসরি বিমান ও কার্গো যোগাযোগ চালু হতে দুদেশের ব্যবসায়িক যোগাযোগ বৃদ্ধি পাবে। 

পাকিস্তানের বাণিজ্যমন্ত্রী জাম কামাল খান বলেন, বাংলাদেশ ও পাকিস্তান উভয়ই রফতানির ক্ষেত্রে তৈরি পোশাক এবং টেক্সটাইল খাতের উপর অধিকমাত্রায় নির্ভরশীল, দুটোদেশেরই রফতানি পণ্যের বহুমুখীকরণের উপর জোরারোপ করা প্রয়োজন।


বিজ্ঞাপন


তিনি উল্লেখ করেন, ইউরোপের দেশগুলো সহ কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রে ব্যবহৃত পোশাকের নতুন ডিজাইনের মাধ্যমে পুনঃব্যবহারের জনপ্রিয়তা ক্রমশ বাড়ছে, যেখানে দুদেশের পোশাক খাতের উদ্যোক্তাদের মনোনিবেশ করা আবশ্যক, যার মাধ্যমে রফতানি বাণিজ্যের নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।

তিনি জানান, পূর্ব আফ্রিকা ও মধ্য এশিয়ার দেশগুলোতে দুদেশের পণ্য রফতানি বাড়াতে একযোগে কাজ করার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে।

তিনি বলেন, সিমেন্ট, চিনি, পাদুকা ও চামড়া প্রভৃতি খাতে পাকিস্তানের বেশ ভালো করছে এবং বাংলাদেশ চাইলে পাকিস্তান হতে এ পণ্যগুলো আমদানি করতে পারে, পাশাপাশি ঔষধ খাতে বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা পাকিস্তানের জন্য বেশ কার্যকর হবে বলে মত প্রকাশ করেন।

পাকিস্তানের বাণিজ্যমন্ত্রী আরও বলেন, দুদেশের কৃষি কাজ এবং পণ্যের উৎপাদনে নতুন প্রযুক্তি ও মূল্য সংযোজন বৃদ্ধি করা গেলে এখাতে বৈশ্বিক বিলিয়ন ডলার অর্থনীতিতে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের রপ্তানির সুযোগ তৈরি হবে।

তিনি জানান, পাকিস্তানের পণ্যের বাজার সম্প্রসারণে শীঘ্রই বাংলাদেশে ‘সিঙ্গেল কান্ট্রি এক্সিবিশন’-এর আয়োজন করা হবে, যার মাধ্যমে দুদেশের বেসরকারিখাতের সম্পর্ক আরো জোরাদারের সুযোগ তৈরি হবে।

বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান হায়দার, ডিসিসিআই ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি রাজিব এইচ চৌধুরী, সহ-সভাপতি মো. সালিম সোলায়মান, পরিচালনা পর্ষদের সদস্যবৃন্দ এবং পাকিস্তান হাইকমিশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এসময় উপস্থিত ছিলেন।

এমআর/এএস

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর