রোববার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

এনবিআরের আন্দোলনে ক্ষতির পরিমাণ জানতে চেয়ে ব্যবসায়ীদের চিঠি

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮ আগস্ট ২০২৫, ১১:৫০ এএম

শেয়ার করুন:

প্রথম দিনেই ১০ হাজারের বেশি অনলাইনে রিটার্ন দাখিল

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্দোলনে ক্ষতির পরিমাণ জানতে চেয়ে ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোকে চিঠি দিয়েছে ক্ষতি নির্ণয়ে গঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটি।

বুধবার (৬ আগস্ট) আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটির আহ্বায়ক অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের যুগ্মসচিব সৈয়দ রবিউল ইসলাম সই করা এ সংক্রান্ত একটি  ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) মহাসচিব আলমগীরের বরাবর পাঠানো হয়েছে।


বিজ্ঞাপন


মন্ত্রণালয়ের চিঠি পেয়ে এফবিসিসিআই মহাসচিব দেশের সব চেম্বার এবং অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বা চেয়ারম্যানের কাছে ক্ষতির তথ্য চেয়ে চিঠি দিয়েছেন।কীভাবে ক্ষয়ক্ষতির তথ্য দিতে হবে, তার একটি ছকও নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে চিঠিতে। এ নির্ধারিত ছকে ২১ আগস্টের মধ্যে ক্ষয়ক্ষতির তথ্য দিতে বলা হয়েছে।

সৈয়দ রবিউল ইসলামের সই করা চিঠিতে বলা হয়েছে, কাস্টমস ও ভ্যাট বিভাগ এবং কর বিভাগের কর্মচারীদের শাটডাউন কর্মসূচি পালনের কারণে অর্থনৈতিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণের লক্ষ্যে গঠিত কমিটির দ্বিতীয় সভা ৪ আগস্ট অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় নির্ধারিত ছকে আর্থিক ক্ষতির তথ্য সংগ্রহের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ওই নির্ধারিত ছক অনুযায়ী আর্থিক ক্ষতির তথ্য আগামী ২১ আগস্টের মধ্যে পাঠানোর জন্য চিঠিতে অনুরোধ করা হয়েছে।

এ চিঠিতে পরিপ্রেক্ষিতে এফবিসিসিআই থেকে সব চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি, সব খাতভিত্তিক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বা চেয়ারম্যান, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বা সাধারণ সম্পদ এবং আমদানি ও রপ্তানিকারক গ্রুপ, সব স্থল বন্দর ও স্থল শুল্ক স্টেশনের সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদকের কাছে ক্ষতির তথ্য চেয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে।


বিজ্ঞাপন


এফবিসিসিআই মহাসচিরের সই করা এ চিঠিতে বলা হয়েছে, গত মে-জুন মাসে রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা অধ্যাদেশ, ২০২৫ বাতিলের দাবিতে কাস্টমস ও ভ্যাট বিভাগ এবং আয়কর বিভাগের কর্মচারীরা কর্মবিরতি ও শাটডাউনের ফলে শিল্প, বিনিয়োগ, ব্যবসা-বাণিজ্য, বন্দর, আমদানি-রপ্তানি, উৎপাদন, সেবা খাত, লজিস্টিক ও সাপ্লাই চেইন কার্যক্রম বিঘ্নিত হয়।

বিশেষ করে আমদানিকারকরা শিল্পের কাঁচামাল ও উপকরণ এবং তৈরি পণ্য বন্দর থেকে খালাস করতে পারেনি এবং রপ্তানিকারকরা সময়মতো রপ্তানি করতে পারেনি। অন্যদিকে, সরকারের রাজস্ব আহরণ কার্যক্রম ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ প্রেক্ষাপটে, অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ অর্থনৈতিক ক্ষয়ক্ষতি ও রাজস্ব ক্ষতি নিরূপণের উদ্যোগ নিয়েছে। এরই মধ্যে গঠিত একটি কমিটি কাজ শুরু করেছে। এ কমিটির কার্যক্রম বেগবান, অর্থবহ ও সফল করতে দেশের সব বাণিজ্য সংগঠনের কাছে সক্রিয় সহযোগিতা কামনা করা হয়েছে চিঠিতে।

এর আগে এনবিআরকে ভাগ করে রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা নামে দুটি আলাদা বিভাগ করার অধ্যাদেশ বাতিল এবং চেয়ারম্যানের অপসারণের দাবিতে কর্মকর্তা-কর্মচারিদের আন্দোলন নামে। এতে ব্যবসায়ী ও সংশ্লিষ্টরা বলছেন আন্দোলনে রাজস্ব আদায়ে বিপুল ক্ষতি হয়েছে। 

তাছাড়া এর আগে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে এনবিআর একটি কমিটিও গঠন করছে।

এমআর/এএস

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর