বদলির আদেশ প্রকাশ্যে ছিঁড়ে ফেলা ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণের দায়ে আরও সাত কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এ নিয়ে কর বিভাগের পাঁচ যুগ্ম-কমিশনার ও তিন উপ-কমিশনারসহ মোট ২১ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হলো।
বুধবার (১৬ জুলাই) এনবিআরের দ্বিতীয় সচিব (বোর্ড প্রশাসন-১) উম্মে আয়মান কাশমীর সই করা আদেশে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
বিজ্ঞাপন
তৃতীয় দফায় বরখাস্ত হওয়া কর্মকর্তা-কর্মচারীরা হলেন- কর অঞ্চল-২-এর কর পরিদর্শক লোকমান হোসেন, আয়কর গোয়েন্দা ও তদন্ত ইউনিটের কর পরিদর্শক নাজমুল হাসান, আয়কর গোয়েন্দা ও তদন্ত ইউনিটের কর পরিদর্শক আব্দুল্লাহ আল মামুন, কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট ঢাকার সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা ছালেহা খাতুন সাথি, কাস্টমস বন্ড কমিশনারেট ঢাকার (উত্তর) সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা রৌশনারা আক্তার, কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট ঢাকার (দক্ষিণ) সিপাই সালেক খান ও কর অঞ্চল-১৪ ঢাকার প্রধান সহকারী (নাজির) বি এম সবুজ।
এর আগে মঙ্গলবার দুই দফায় এনবিআরের ১৪ কর্মকর্তাকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।
প্রথম দফায় সাময়িক বরখাস্তকৃতরা হলেন- মাসুমা খাতুন (যুগ্ম কর কমিশনার, কর অঞ্চল-২), মুরাদ আহমেদ (যুগ্ম কর কমিশনার, কর অঞ্চল-১৫), মো. মোরশেদ উদ্দীন খান (যুগ্ম কর কমিশনার, কর অঞ্চল-কুষ্টিয়া), মোনালিসা শাহরীন সুস্মিতা (যুগ্ম কর কমিশনার, কর অঞ্চল-নোয়াখালী), আশরাফুল আলম প্রধান (যুগ্ম কর কমিশনার, কর অঞ্চল-কক্সবাজার), মো. শিহাবুল ইসলাম (উপ-কর কমিশনার, কর অঞ্চল-খুলনা), মোসা. নুশরাত জাহান শমী (উপ-কর কমিশনার, কর অঞ্চল-রংপুর), ইমাম তৌহিদ হাসান শাকিল (উপ-কর কমিশনার, কর অঞ্চল-কুমিল্লা)।
দ্বিতীয় দফায় বরখাস্ত হওয়া কর্মকর্তারা হলেন- মূসক নিরীক্ষা, গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের অতিরিক্ত কমিশনার হাছান মুহম্মদ তারেক রিকাবদার, কাস্টম বন্ড কমিশনারেট ঢাকার (উত্তর) রাজস্ব কর্মকর্তা সবুজ মিয়া; কাস্টম, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট খুলনার রাজস্ব কর্মকর্তা শফিউল বশর; ন্যাশনাল সিঙ্গেল উইন্ডো প্রকল্প ঢাকার উপপরিচালক (অতিরিক্ত কমিশনার) সিফাত মরিয়ম, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের দ্বিতীয় সচিব শাহাদত জামিল এবং কর অঞ্চল-৮-এর অতিরিক্ত কমিশনার মির্জা আশিক রানা।
বিজ্ঞাপন
বরখাস্তের আদেশে বলা হয়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ২২ জুন জারিকৃত বদলির আদেশ অবজ্ঞাপূর্বক প্রকাশ্যে ছিঁড়ে ফেলার মাধ্যমে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করায় তাদের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক বিভাগীয় কার্যধারা গ্রহণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
ইএ

