রোববার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

৭ মাসে ১৮৩ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কর ফাঁকির তথ্য উদঘাটন

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১৪ জুলাই ২০২৫, ১০:৪১ এএম

শেয়ার করুন:

৭ মাসে ১৮৩ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কর ফাঁকির তথ্য উদঘাটন

আয়কর গোয়েন্দা ও তদন্ত ইউনিট তার পূর্নাঙ্গ কার্যক্রম শুরুর ৭ মাস অতিক্রম করেছে। নবগঠিত সংস্থা হিসেবে এ ইউনিটের জনবল ও লজিস্টিক জনিত বহুবিধ সীমাবদ্ধতা থাকা স্বত্তেও নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে আয়কর গোয়েন্দা ও তদন্ত ইউনিট। 

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড সূত্র জানায়, নবগঠিত এই দপ্তরটি ডিসেম্বর, ২০২৪ হতে এ পর্যন্ত গত সাত মাসে গোয়েন্দা কার্যক্রমের ভিত্তিতে ১৮৩ ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠানের কর ফাঁকির প্রাথমিক তদন্তে ১৮৭৪ কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকির বিষয় উদঘাটন করেছে। উদঘাটিত রাজস্ব ফাঁকি হতে ৬৩ ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠানের নিকট হতে ইতোমধ্যে ২৩১টি এ-চালানের মাধ্যমে ১১৭ কোটি ৪৩ লক্ষ টাকা উদ্ধার করে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা করা হয়েছে।


বিজ্ঞাপন


আজ সোমবার (২৪ জুলাই) এনবিআর জনসংযোগ দফতর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। 

প্রতিষ্ঠার পর থেকেই হৃত রাজস্ব পুনরুদ্ধারসহ গোয়েন্দা কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে কর ফাঁকি উদঘাটন করে আইনানুগ ও ন্যায্য রাজস্ব আদায় নিশ্চিত করতে অনুকরণীয় ও বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখে চলেছে জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ এ প্রতিষ্ঠান। 

ইতোমধ্যে সুনির্দিষ্ট কর ফাঁকির তথ্য পাওয়ায় শতাধিক ব্যক্তি / প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবসমূহ অন্তর্বতীকালীন জব্দ করা হয়েছে। আয়কর গোয়েন্দা ও তদন্ত ইউনিট করদাতাদের স্বেচ্ছায় সঠিক কর প্রদানে উৎসাহিত করছে এবং একইভাবে কর ফাঁকিবাজ ও অর্থ পাচারকারীদের প্রতি স্পষ্ট বার্তা প্রদান করছে। যেকোনো ধরণের করফাঁকি ও বেনামি সম্পদ অর্জনের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইন অনুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা নিতে আয়কর গোয়েন্দা ও তদন্ত ইউনিট বদ্ধ পরিকর।   

বাংলাদেশের রাজস্ব খাতে আয়কর গোয়েন্দা ও তদন্ত ইউনিট (ITIIU)-এর যাত্রা নৈতিক, প্রযুক্তিগত ও আইনগত দিক থেকে  একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। ইতোমধ্যে অর্জিত সফলতা প্রমাণ করে- এই ইউনিটের কার্যক্রম কেবলমাত্র রাজস্ব পুনরু্দ্ধার নয়, করদাতাদের কমপ্লায়েন্স বৃদ্ধি ও কর সংস্কৃতি বিকাশে কার্যকর ভূমিকা রাখবে । 


বিজ্ঞাপন


জাতীয় রাজস্ব বোর্ড দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে যে, কর আদায়ে ন্যায্যতা ও জবাবদিহিতার মাধ্যমে জাতির সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়নসহ অর্থনৈতিক বৈষম্য দূর করা  সম্ভব। আয়কর গোয়েন্দা ও তদন্ত ইউনিট (ITIIU) -এর ক্রমবর্ধমান সক্ষমতা, প্রযুক্তিনির্ভরতা এবং দক্ষ মানবসম্পদ ভবিষ্যতে বাংলাদেশের শক্তিশালী রাজস্ব কাঠামো বিনির্মাণে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করবে বলে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে।

এমআর/এএস

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর