রোববার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

স্টার্টআপে ৫০০ কোটি টাকার পুনঃঅর্থায়ন, বাড়ছে ঋণের পরিমাণ ও সুযোগ

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৯ জুলাই ২০২৫, ১০:০৪ পিএম

শেয়ার করুন:

BB
বাংলাদেশ ব্যাংক। ফাইল ছবি।

বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য স্টার্টআপ ঋণ আরও সহজলভ্য হচ্ছে। বয়স ২১ বছর হলেই দেশের যেকোনো নাগরিক বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে মাত্র ৪ শতাংশ সুদে নতুন উদ্যোগের জন্য ঋণ পেতে পারবেন। 

বুধবার (৯ জুলাই) এ সংক্রান্ত নীতিমালায় পরিবর্তন এনে একটি মাস্টার সার্কুলার জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।


বিজ্ঞাপন


সার্কুলারে বলা হয়েছে, যেসব ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান স্টার্টআপ উদ্যোগে ইতোমধ্যে কাজ করছে, তারাও এই সুবিধা নিতে পারবেন। তবে শর্ত হলো— প্রতিষ্ঠানটির নিবন্ধনের সময় থেকে এর কার্যকাল ১২ বছরের মধ্যে হতে হবে। অর্থাৎ, নতুন উদ্যোক্তার পাশাপাশি অপেক্ষাকৃত পুরনো উদ্যোগগুলোকেও এ সুবিধার আওতায় আনা হয়েছে।

ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো উদ্যোক্তাদের প্রদত্ত ঋণের বিপরীতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ‘স্টার্টআপ ফান্ড’ থেকে পুনঃঅর্থায়ন সুবিধা পাবে। এই তহবিলের আকার ৫০০ কোটি টাকা। আগে যেখানে স্টার্টআপ ঋণের সীমা ছিল সর্বোচ্চ ১ কোটি টাকা, এখন তা বাড়িয়ে কার্যকালভিত্তিক শ্রেণিবিন্যাসের মাধ্যমে সর্বোচ্চ ৮ কোটি টাকা পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে।

ঋণের ক্ষেত্রে সুদের হার নির্ধারণ করা হয়েছে সর্বোচ্চ ৪ শতাংশ, যা ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে আদায় করা যাবে। এর পাশাপাশি নতুন উদ্যোক্তারা শুধুমাত্র ঋণ নয়, ব্যাংকগুলোর নিজস্ব ফান্ড থেকে ইক্যুইটি বিনিয়োগও পেতে পারবেন। 

এই ইক্যুইটি সুবিধা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংক একটি ভেঞ্চার ক্যাপিটাল কোম্পানি গঠনের উদ্যোগ নিচ্ছে। ব্যাংকগুলো তাদের স্টার্টআপ ফান্ডে জমাকৃত অর্থ এই ভেঞ্চার ক্যাপিটাল কোম্পানির মাধ্যমে উদ্যোক্তাদের ইক্যুইটি হিসেবে বিনিয়োগ করতে পারবে।


বিজ্ঞাপন


তবে এ সার্কুলার জারির পর থেকে ব্যাংকগুলোর নিজস্ব ‘স্টার্টআপ ফান্ড’ থেকে নতুন কোনো ঋণ বা বিনিয়োগ দেওয়া যাবে না। আগেই মঞ্জুর করা ঋণ বা বিনিয়োগের অর্থ কেবল ছাড় করা যাবে। এছাড়া ব্যাংক ও ফাইন্যান্স কোম্পানিগুলোকে নিজস্ব তহবিল থেকেই স্টার্টআপে অর্থায়ন করতে হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, দেশের বর্তমান অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে স্টার্টআপগুলোই আগামী দিনের প্রবৃদ্ধি, কর্মসংস্থান ও উদ্ভাবনের চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করবে। এ কারণে বিদ্যমান নীতিমালায় পরিবর্তন এনে এটিকে আরও সময়োপযোগী করা হয়েছে। 

নতুন উদ্যোগগুলো যেন বিশ্বমানের উদ্ভাবনী ধারণা নিয়ে এগিয়ে যেতে পারে এবং কর্মসংস্থানের নতুন সুযোগ সৃষ্টি করতে পারে, সেটাই এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য।

টিএই/এএইচ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর