শনিবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

এনবিআরের শীর্ষ ৬ কর্মকর্তার দুর্নীতি অনুসন্ধানে দুদক

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৯ জুন ২০২৫, ০৫:৫৫ পিএম

শেয়ার করুন:

এনবিআরের শীর্ষ ৬ কর্মকর্তার দুর্নীতি অনুসন্ধানে দুদক

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ৬ শীর্ষ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

রোববার (২৯ জুন) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান দুদকের উপ-পরিচালক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আকতারুল ইসলাম।


বিজ্ঞাপন


দুদকের এই কর্মকর্তা জানান, এনবিআরের কিছু অসাধু কর্মকর্তা মোটা অঙ্কের ঘুষ গ্রহণের বিনিময়ে করদাতাদের কর ফাঁকির সুযোগ করে দিচ্ছেন। করদাতাদের সঙ্গে যোগসাজশে তারা নির্ধারিত কর আদায় না করে করের পরিমাণ কমিয়ে দিচ্ছেন। এতে উভয়পক্ষই লাভবান হলেও সরকার প্রতিবছর বিপুল পরিমাণ রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

দুদকের তথ্য অনুযায়ী, অনেক ক্ষেত্রে কর কর্মকর্তারা ঘুষ না পেয়ে মিথ্যা কর ফাঁকির মামলা দায়ের করে ব্যবসায়ীদের হয়রানি করছেন। আবার করদাতারা নির্ধারিত সময়ের আগেই কর পরিশোধ করলেও কিংবা অতিরিক্ত কর দিয়ে থাকলেও সেই টাকার ফেরতের ক্ষেত্রে চরম অনিয়ম দেখা যাচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে, অতিরিক্ত কর ফেরত পেতে হলে করদাতাকে তার টাকার অর্ধেক পরিমাণ ঘুষ বা উপহারের মাধ্যমে পরিশোধ করতে হয়। দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা এই সুযোগে মোটা অঙ্কের টাকা আত্মসাৎ করছেন।

corruption

মো. আকতারুল ইসলাম আরও বলেন, এই অনিয়ম ও দুর্নীতির চর্চা দীর্ঘদিন ধরেই চলছে। বিগত ২০ থেকে ২৫ বছর ধরে বিভিন্ন স্টেশনে চাকরিরত অবস্থায় কিছু কর্মকর্তা নানা ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে শুল্ক, ভ্যাট ও আয়কর ফাঁকির সুযোগ করে দিয়েছেন এবং নিজেরাও অবৈধভাবে লাভবান হয়েছেন। ফলে রাষ্ট্রের রাজস্ব হারানোর পাশাপাশি তারা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের মালিক হয়েছেন বলে প্রাথমিক অনুসন্ধানে উঠে এসেছে।


বিজ্ঞাপন


যেসব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান চলছে তারা হলেন— এনবিআরের আয়কর নীতি বিভাগের সদস্য এ কে এম বদিউল আলম, ঢাকা কর অঞ্চল-৮-এর অতিরিক্ত কর কমিশনার মির্জা আশিক রানা, বিসিএস কর একাডেমির যুগ্ম কর কমিশনার মোহাম্মদ মোরশেদ উদ্দীন খান, ঢাকা কর অঞ্চল-১৬-এর উপ-কর কমিশনার মোনালিসা শাহরীন সুস্মিতা, নিরীক্ষা, গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর ও মূল্য সংযোজন কর বিভাগের অতিরিক্ত কমিশনার হাছান তারেক রিকাবদার এবং কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটের অতিরিক্ত কমিশনার সাধন কুমার কুন্ডু।

দুদক জানিয়েছে, এসব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণ, ক্ষমতার অপব্যবহার, কর ফাঁকির সহায়তা এবং জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় নথিপত্র সংগ্রহ, ব্যাংক লেনদেন ও সম্পদের উৎস যাচাই করা হচ্ছে। অনুসন্ধানে প্রমাণ মিললে পরবর্তী ধাপে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এমআই/এমএইচটি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর