রোববার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

‘ট্রাম্পের শুল্কনীতি ৪০ লাখ গার্মেন্টস শ্রমিকের জন্য মরণফাঁদ'

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৭ জুন ২০২৫, ০৬:২২ পিএম

শেয়ার করুন:

garment
গার্মেন্টস শ্রমিকদের মানববন্ধন। ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কনীতি বাংলাদেশের ৪০ লাখ পোশাক শ্রমিকের জন্য মরণফাঁদ তৈরি হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন শ্রমিক নেতারা।

শুক্রবার (২৭ জুন) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের ব্যানারে আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তারা এ কথা বলেন।


বিজ্ঞাপন


মানববন্ধনে মার্কিন বাজারে বাংলাদেশি গার্মেন্টস পণ্যের শুল্ক এবং কোটামুক্ত প্রবেশাধিকার দাবি করেছেন শ্রমিক নেতারা।

জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি আমিরুল হক আমিনের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মো. রফিকুল ইসলামের সঞ্চালনায় কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন ফেডারেশনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. হোসেন, আইনবিষয়ক সম্পাদক রবিউল চৌধুরী, সিবিএ সম্পাদক মো. কাশেম, কোষাধ্যক্ষ মনিরা মুন্নি, মো. সবুজ।

মানববন্ধনে শ্রমিক নেতারা বলেন, গার্মেন্টস শিল্প বাংলাদেশের প্রধান এবং একমাত্র শিল্প, যা দেশের ৮৪ শতাংশ রফতানি কাভার (পূরণ) করে। এই সেক্টরে কাজ করেন ৪০ লাখ শ্রমিক, যাদের অধিকাংশই নারী এবং গ্রাম থেকে আসা স্বল্পশিক্ষিত পুরুষ। পুঁজিবিহীন গরিব মানুষের একমাত্র উর্পাজনের মাধ্যম এই পোশাক খাত।

আরও পড়ুন

ইউরোপ-আমেরিকায় ডেনিম রফতানিতে শীর্ষ অবস্থানেই বাংলাদেশ

তারা বলেন, গার্মেন্টস শিল্প শুধু বাংলাদেশের অর্থনীতি নয়, নারীমুক্তি এবং নারীস্বাধীনতার মেরুদণ্ড। বাংলাদেশি গার্মেস্টস পণ্যের প্রধান বাজার যুক্তরাষ্ট্র। বর্তমানে দেশটির বাজারে বাংলাদেশি গার্মেস্টস পণ্যের শুল্ক ১০ শতাংশ। গত এপ্রিলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বাংলাদেশি পণ্যে ৩৭ শতাংশ শুল্ক নির্ধারণ করেন। পরে ৩ মাসের জন্য এটি স্থগিত করলেও ৩ মাস প্রায় শেষ। অথচ ট্রাম্প ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের ১৩টিসহ মোট ৬৩টি দেশের জন্য তিনি শুল্ক নির্ধারণ করেছেন অনেক কম।

শ্রমিকরা বলেন, তুরস্ক, ব্রাজিল, মেক্সিকো, মরক্কোর মতো গুরুত্বপূর্ণ পোশাক রফতানিকারক দেশের জন্য শুল্ক বৃদ্ধি না করে আগের শুল্ক বহাল রেখেছেন। এছাড়া বিশ্বে আরও ১৫টি দেশে শুল্কহার একই রেখেছেন। অথচ বাংলাদেশের মতো একটি দরিদ্র দেশের জন্য শুল্ক নির্ধারণ করেছেন ৩৭ শতাংশ। এটি চরম বিবেচনাহীন, অমানবিক এবং নারীমুক্তির বাধা বলেও অভিযোগ করেন তারা।

কর্মসূচি থেকে তারা মার্কিন বাজারে বাংলাদেশি গার্মেন্টস পণ্যের শুল্ক এবং কোটামুক্ত সুবিধার দাবিতে আগামী ১৫ জুলাই মার্কিন দূতাবাসে স্মারকলিপি প্রদানের কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

এমআর/জেবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর