ঈদের লম্বা ছুটিতে এখনো অনেক মানুষ রাজধানীতে ফেরেনি। ফলে ঢাকার ব্যস্ততম অঞ্চলগুলোর মধ্যে অন্যতম যাত্রাবাড়ী কাঁচাবাজার ও আড়ত এলাকায় এখনো তেমন ভিড় নেই। ক্রেতার উপস্থিতি কম, সরবরাহও পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি। এরই মধ্যে কিছু সবজি ও মাছের দামে ঊর্ধ্বগতি দেখা গেছে।
শুক্রবার (১৩ জিন) যাত্রাবাড়ী আড়ত ঘুরে এসব তথ্য পাওয়া যায়।
বিজ্ঞাপন
স্বাভাবিক সময়ে এই বাজারে ব্যাপক কর্মচাঞ্চল্য, কোলাহল দেখা যায়। শ্রমিক, ব্যবসায়ী, পরিবহন শ্রমিক ও পাইকারদের আনাগোনায় সরগরম হয়ে ওঠে যাত্রাবাড়ী আড়ত এলাকা। কিন্তু এবার দৃশ্যপট ভিন্ন।
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বলছেন, গ্রাম থেকে এখনও অনেকেই ফেরেননি। ফলে পণ্য আসছে কম, সেইসঙ্গে ক্রেতাও কম।
যাত্রাবাড়ী কাঁচাবাজারের ব্যবসায়ী নয়ন মিয়া জানান, সাধারণত ঈদের পরে তীব্র চাপ পড়ে, কিন্তু এবার এখনো জমে ওঠেনি। মালামাল কম, কেনাবেচাও কম।
আড়তের পরিবহন মালিক সূত্রে জানা যায়, জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে পণ্যবাহী ট্রাকের সংখ্যা এখনো স্বাভাবিক হয়নি। এর ফলে বাজারে কাঁচামালের যোগান কম থাকছে।
বিজ্ঞাপন
বাজার সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন, আগামী দুই-তিন দিনের মধ্যেই যাত্রাবাড়ী আড়ত ও আশপাশের বাজারগুলো পূর্ণ গতিতে কার্যক্রমে ফিরবে।

সরেজমিনে দেখা যায়, আড়তগুলোতে ক্রেতাদের আনাগোনা কম। বাজারে নেই ব্যস্ততা। একই অবস্থা খুচরা বাজারেও। বেলা বাড়লেও খুচরা বাজারে ক্রেতার সংখ্যা তুলনামূলক কম।
দোকানিরা বলছেন, ঈদের ছুটি শেষ না হওয়ায় বহু মানুষ এখনো ঢাকায় ফেরেননি। ক্রেতা-বিক্রেতাদের আনাগোনা এজন্য কম। ফলে বেচাকেনা জমে ওঠেনি।
বাজারদর সম্পর্কে বিক্রেতারা জানায়, সবজির দাম তুলনামূলক কম থাকলেও মাছের দাম চড়া। সরবরাহ কম থাকায় মাছের দাম বেড়ে গেছে। তবে আগামী সপ্তাহে দাম স্থিতিশীল হবে আশা করা যায়।
কালাম নামের এক বিক্রেতা বলেন, ঈদে মাংসের চাহিদা নাই বললেই চলে। কারণ কোরবানির পর সবার ঘরেই মাংস আছে। এখন সবজির কাটতিও কম।
তবে ঈদের পর বাসাবাড়িতে মেহমানদারী ও বিভিন্ন অনুষ্ঠান বেড়েছে। এতে মাছের চাহিদা তুলনামূলক বেশি। এদিকে মাছের সরবরাহ ঘটতি থাকায় দাম একটু বেশিই চাওয়া হচ্ছে।
এমআর

