ঈদুল আজহায় কোরবানি করা পশুর চামড়া দেশের চামড়া শিল্পের মূল কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এ বছরও দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে সংগ্রহ করা পশুর চামড়া সাভারের ট্যানারিসহ বিভিন্ন শিল্পনগরীতে পাঠানো হচ্ছে। এবার ট্যানারি মালিকদের টার্গেট ৮৫ লাখ চামড়া সংগ্রহ করা।
শনিবার (৭ জুন) দুপুর ২টার পরই ট্যানারিগুলোতে চামড়া যেতে শুরু করে। এতে বেড়ে যায় শ্রমিকদের কর্মব্যস্ততা। পরে কাঁচা চামড়াগুলোতে প্রাথমিক কাটিং-সাটিংয়ের পর লবণ মাখিয়ে তা সংরক্ষণ করা হচ্ছে।
বিজ্ঞাপন
ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এবারও উপেক্ষিত হয়েছে সরকারের বেঁধে দেওয়া দাম। পাইকার আর অধিকাংশ ট্যানারির মালিক বেঁধে দেওয়া দামে চামড়া নেননি।
ট্যানারি মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএ) এর তথ্যমতে, প্রতিবছর প্রায় ৮০-৯০ লাখ চামড়া ঈদের সময় সংগ্রহ হয় এবং এর একটি বড় অংশ সাভারে কেন্দ্রীভূত ট্যানারি জোনে প্রক্রিয়াজাত করা হয়।
সূত্র জানায়, বর্তমানে এখানে প্রায় ১৫০টি ট্যানারি কার্যক্রম চালাচ্ছে। তবে, পরিবেশ সংক্রান্ত কিছু অভিযোগ ও অবকাঠামোগত সীমাবদ্ধতা এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেনি অনেক প্রতিষ্ঠান।
সরকার এই খাতে সরকার বিভিন্ন সময় প্রণোদনা, সহজ ঋণ ও অবকাঠামোগত উন্নয়নের উদ্যোগ নিয়েছে। বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের চামড়া এবং চামড়াজাত পণ্যের চাহিদা রয়েছে, বিশেষ করে ইউরোপ, চীন, দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রে।
বিজ্ঞাপন
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সঠিক ব্যবস্থাপনা, পরিবেশবান্ধব প্রক্রিয়াজাতকরণ এবং আন্তর্জাতিক মান রক্ষা করা গেলে চামড়া খাত বাংলাদেশের অন্যতম বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী শিল্পে পরিণত হতে পারে। ট্যানারিগুলো যদি আধুনিকায়ন এবং স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে পারে, তবে এই খাত আরও এগিয়ে যাবে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।
এমআর/জেবি

