রোববার, ১৫ জুন, ২০২৫, ঢাকা

জমে ওঠেছে বসিলা হাট, বেপারীরা খুশি

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৫ জুন ২০২৫, ০৮:০৪ এএম

শেয়ার করুন:

দুপুরের মধ্যে ঝড়ের আভাস, দেশের ১৬ নদীবন্দরে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত

অবশেষে জমে উঠেছে মোহাম্মদপুরের বসিলা চল্লিশ ফিট কোরবানির পশুরহাট। বুধবার (০৪ জুন) সন্ধ্যার পর থেকে এই হাটে ক্রেতার ভিড় বেড়েছে। বেড়েছে গরু বিক্রির সংখ্যাও। এতে বেশ খুশি ব্যাপারীরা। বৃহস্পতিবার হাট আরও জমবে বলে তারা প্রত্যাশা করছেন। 

বুধবার রাতে হাট ঘুরে বেপারী ও ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য জানা গেছে। 


বিজ্ঞাপন


পাবনার সাথিয়া থেকে ১৫টি গরু নিয়ে এসেছিলেন রফিকুল ইসলাম। বুধবার এক দিনেই হাটে তিনি সাতটি গরু বিক্রি করেছেন। এতে তিনি খুশি। বৃহস্পতি ও শুক্রবার বাকিগুলো বিক্রি করতে পারবেন বলে প্রত্যাশা তার। 

তিনি ঢাকা মেইলকে বলেন, `অনেক দিন ধরে খরা যাচ্ছিল। গতকালও ক্রেতা ছিল না। আজ খুব ভালো লাগছে।'

রফিকুল এর মতো খুশি অন্য ব্যাপারীরাও। কুষ্টিয়া সদর থেকে এসেছেন শফিকুল ইসলাম। তিনি বুধবার সন্ধ্যার পর থেকে ১৩টি গরু বিক্রি করেছেন। আরও রয়েছে ১৫ টি রয়েছে। বাকিগুলো শুক্রবারের মধ্যে বিক্রি হবে বলে তিনি ধারণা করছেন। 

হাট শুরুর দুদিন আগে এসেছিলেন খবির উদ্দিন। গত তিন দিন ধরে তিনি একটি গরু বিক্রি করতে পারেননি। কিন্তু আজ বিক্রি করেছেন পাঁচটি গরু। তিনি নিয়ে এসেছিলেন ১২টি। 


বিজ্ঞাপন


শুধু ব্যাপারীরা নয়, হাটে এসে খুশি ক্রেতারাও

ভাগিনা-ভাতিজা এবং শ্বশুরকে নিয়ে ধানমন্ডি এলাকা থেকে এসেছেন জিয়াউল হক। তার টার্গেট দেড় লাখ টাকায় গরু কিনবেন। তার সঙ্গে যখন কথা হচ্ছিল তখনো তিনি গরু কিনতে পারেননি। দরদাম চলছিল।

হাট ঘুরে দেখা গেছে, গত তিন দিন ধরে হাটের একটিমাত্র হাসিল ঘরে গরু বিক্রির হাসিল আদায় করা হচ্ছিল। কিন্তু বুধবার সন্ধ্যার পর থেকে সব হাসিল ঘরে ভিড়ে জমে উঠেছে। হাসিল ঘরগুলোতে থাকা কর্মীরা ব্যস্ত সময় পার করছেন।

bosila_2

হাটে মসজিদের পাশাপাশি নারীরাও এসেছেন। সাবিনা কাকুলি রুপা এসেছিলেন গরু দেখতে। সাথে এসেছিল রুপার স্বামী রুবেল। রুপা বলছিলেন, প্রতিবছর হাটে আসি। এবারও এসেছি গরু দেখতে। 

হাটে নারীদের কাউকে আবার বেপারীদের সঙ্গে দরদাম করতেও দেখা গেল। কেউ আবার গরুর গায়ে হাত দিয়ে দেখছিলেন। বেপারীদের জিজ্ঞেস করছিলেন দাম, মাংস, বয়স ও দাঁতের সংখ্যা। 

ফার্মগেট থেকে এসেছে ১২ বছর বয়সী আবু সুফিয়ান। সে ও তার দুই ভাই এবং চাচাও এসেছিলেন হাটে। সুফিয়ান বলছিল, প্রতিবার আসি। এবারো চাচ্চুর সাথে আসলাম। হাটে আসলে ভালো লাগে। গরু কীভাবে কেনে, কেমন গরু আসে এবং কী কী প্রজাতির গরু হাটে বিক্রি হয় তার ধারণা পাওয়া যায় তার মতে। 

ব্যাপারীরা বলছেন, রাতে অনেক গরু হাটে ঢুকেছে। আজ যে হারে গরু বিক্রি শুরু হয়েছে এ অবস্থা বজায় থাকলে অর্ধেক গরু বিক্রি হবে। 

এমআইকে/ইএ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর