সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

‘এলডিসি পরবর্তী আমদানি-রফতানি নীতিমালার পুনর্মূল্যায়নের বিকল্প নেই’

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৪ মে ২০২৫, ০৬:১৪ পিএম

শেয়ার করুন:

‘এলডিসি পরবর্তী আমদানি-রফতানি নীতিমালার পুনর্মূল্যায়নের বিকল্প নেই’

ডিসিসিআই সভাপতি তাসকীন আহমেদ বলেছেন, আমাদের অর্থনীতিতে শিল্পখাতের মূলধনী যন্ত্রপাতি ও কাঁচামাল আমদানি নির্ভর। ফলে এলডিসি পরবর্তী সময়ের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আমাদের আমদানি-রফতানি নীতিমালার পুনর্মূল্যায়নের কোনো বিকল্প নেই।

আজ শনিবার (২৪ মে) ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।


বিজ্ঞাপন


ঢাকা চেম্বার সভাপতি বলেন, স্থানীয় অর্থনীতিতে দীর্ঘদিনের উচ্চ মূল্যস্ফীতি, সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক পারস্পরিক শুল্কারোপ, রফতানির ওপর ভারতের নিষেধাজ্ঞা প্রদান, জ্বালানি সংকট, রিজার্ভ স্বল্পতা ও আর্থিকখাতের অব্যবস্থাপনা এবং আইন-শৃঙ্খলার অস্থিরতার কারণে শিল্পখাতে স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনা ব্যাহত হওয়ায়, বিশেষ করে রফতানি কার্যক্রমে স্থবিরতা পরিলক্ষিত হচ্ছে। বিদ্যমান বাস্তবতা বিবেচনা, বৈশ্বিক প্রেক্ষাপট এবং ২০২৬ সালে বাংলাদেশের এলডিসি পরবর্তী সময়ের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমাদের আমদানি-রফতানি নীতিমালার পুনর্মূল্যায়নের কোনো বিকল্প নেই।

তাসকীন আহমেদ বলেন, চামড়া, ওষুধ, পাটপণ্য এবং কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ প্রভৃতি পণ্যসমূহের রফতানির সম্ভাব্য লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারেনি, অপরদিকে মোট রফতানির ৮৪% তৈরি পোশাক ও সুনির্দিষ্ট কিছু বাজারের ওপর নির্ভরশীল। শিল্পখাতের মূলধনী যন্ত্রপাতি ও কাঁচামাল আমদানি নির্ভর আমাদের অর্থনীতিতে দীর্ঘদিনের উচ্চ মূল্যস্ফীতি, যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক পারস্পরিক শুল্কারোপ, রফতানির ওপর ভারতের নিষেধাজ্ঞা, রিজার্ভ স্বল্পতা ও আইন-শৃঙ্খলার অস্থিতরতার কারণে শিল্পের উৎপাদন কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। বিদ্যমান বাস্তবতায়, বৈশ্বিক প্রেক্ষাপট এবং ২০২৬ সালে বাংলাদেশের এলডিসি পরবর্তী সময়ের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমাদের আমদানি-রফতানি নীতিমালার পুনর্মূল্যায়নের কোনো বিকল্প নেই।

তিনি আরও বলেন, আমদানি পর্যায়ের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আর্থিক খাতের স্থিতিশীলতার পাশাপাশি শুল্ক ও ট্যারিফ কাঠামোর দক্ষ ব্যবস্থাপনা খুবই জরুরি। সেইসঙ্গে আমদানি-রফতানি নীতিমালার বৈসাদৃশ্য দূর করে একটি সমন্বিত বাণিজ্য নীতিমালা প্রণয়ন, বন্দর অবকাঠামো ও ব্যবস্থাপনার উন্নয়নে বিনিয়োগ বৃদ্ধি, ডিজিটাল রাজস্ব ব্যবস্থাপনা, সম্ভবনাময় খাতে বন্ডেড ওয়ারহাউস সুবিধা প্রদান, দেশীয় শিল্পের সুরক্ষা ও কাঁচামাল আমদানিতে সহায়ক নীতি সহায়তা প্রদানের পাশাপাশি বাজার সম্প্রসারণে সম্ভাবনাময় দেশ ও অঞ্চলসমূহের সাথে মুক্ত-বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরে দ্রুত উদ্যোগ গ্রহণের ওপর জোরা দিতে হবে।

এছাড়াও শিল্পখাতে নিরচ্ছিন্ন ও অনুমেয় মূল্যে দীর্ঘমেয়াদে নিরবিচ্ছিন্ন জ্বালানি সরবরাহের তাগিদ দেন  ডিসিসিআই সভাপতি।


বিজ্ঞাপন


ডিসিসিআই অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত উক্ত সেমিনারে প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয় সংক্রান্ত বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (অর্থ মন্ত্রণালয়) ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)-এর সদস্য (কাস্টমস) কাজী মোস্তাফিজুর রহমান এবং রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)-এর ভাইস চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেন এই অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে যোগদান করেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে লুৎফে সিদ্দিকী বলেন, সরকারি সংস্থাগুলোর মধ্যকার কাঠামোগত সংস্কার জরুরি, তবে যে গতিতে বর্তমানে সংস্কার কার্যক্রম সম্পন্ন হচ্ছে তা প্রয়োজনের তুলনায় বেশ কম। শিল্পখাতসহ অন্যান্য সেক্টরে আমাদের কোনো দীর্ঘমেয়াদী রোডম্যাপ নেই, যা হাতাশার বিষয়। প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারের পাশাপাশি সরকারের সংস্থাগুলোর মধ্যকার সমন্বয় বাড়ানো প্রয়োজন।

তিনি আরোও বলেন, সকল বন্দরসমূহ অর্থনীতির হৃৎপিন্ড, তাই এগুলোর ব্যবস্থাপনা সচল রেখে নির্বিঘ্নে কার্যক্রম পরিচালনা করা একান্ত অপরিহার্য।

ব্যবসায়ী সমাজের দাবিসমূহ যৌক্তিক আকারে সরকারের নিকট উপস্থাপনের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, বেসরকারি খাতই আমাদের দেশের অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তি।

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশকে এলডিসি থেকে উত্তরণ করতেই হবে, এখান থেকে ফিরে আসার কোনো সম্ভাবনা নেই। তবে এলডিসি পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমাদের উচ্চমানের তৈরি পোশাক পণ্য, ওষুধ এবং লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং খাতের ওপর বেশি হারে মনোযোগী হতে হবে।

তিনি আরও বলেন, এলডিসি পরবর্তী করণীয় নির্ধারণে সকলের অংশগ্রহণে অতিদ্রুত একটি জাতীয় ডায়ালগের আয়োজন করা হবে। আমাদের যে মানবসম্পদ, শিল্প-কারখানা এবং আর্থিক ব্যবস্থাপনা রয়েছে; এগুলোর মধ্যকার সমন্বয় বৃদ্ধিকল্পে পারস্পরিক আস্থা-বিশ্বাস বৃদ্ধির কোনো বিকল্প নেই।

এনবিআরের সদস্য (কাস্টমস) কাজী মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ১৯৯৩ সাল থেকে এনবিআর এসআইকোডাসহ রাজস্ব ব্যবস্থাপনায় অন্যান্য অটোমেটেড ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। এলডিসি পরবর্তী নেগোশিয়েশনে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি খাতের প্রতিনিধি থাকা প্রয়োজন।

তিনি আরও বলেন, আমাদের রফতানি শুধুমাত্র একটি পণ্যে; অর্থাৎ তৈরি পোশাকের ওপর নির্ভরশীল হওয়ায় অনেকক্ষেত্রে বৈশ্বিক দরকষাকষিতে আমরা পিছিয়ে পড়ি।

তিনি উল্লেখ করেন, সেন্ট্রাল বন্ডেড ওয়ারহাউস চালুর উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। আগামী জুলাইয়ের মধ্যে সবাইকে এ সুবিধা প্রদান করা যেতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, এনবিআর ইলেকট্রনিক ডাটা এক্সচেঞ্জ ব্যবস্থা চালুর উদ্যোগ নিয়েছে, যেটি চালু হলে ব্যবসায়ীরা আরও স্বল্প সময়ে আমদানিকৃত পণ্য ছাড় করাতে পারবেন।  
  
ইপিবি’র ভাইস চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, এলডিসি পরবর্তী সময়ের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় নগদ প্রণোদনার চেয়ে কার্যকর নীতি সহায়তাই মূল হিসেবে কাজ করবে। পণ্য বহুমুখীকরণের জন্য নন-ট্রেডিশনাল খাতের ওপর জোর দিতে হবে।

তিনি আরও বলেন, বাণিজ্য নীতিমালার সংস্কার, কমপ্লায়েন্স ও স্ট্যান্ডার্ড এবং বেসরকারি খাতের প্রস্তুতি- ৩টি বিষয় নিয়ে সরকার কাজ করছে। তৈরি পোশাক খাতে ম্যান মেইড ফাইবার ব্যবহারের জন্য বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তাদের এগিয়ে আসতে হবে।

ইপিবি’র ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, যথাযথ অবকাঠামো, জ্বালানি নিরাপত্তা, আর্থিক ও নীতি সহায়তা এবং লজিস্টিক সেবা নিশ্চিত করতে পারলে আগামী ২-৩ বছরে তৈরি পোশাক খাত থেকে ১০০ বিলিয়ন ডলার আয় করা সম্ভব।

আয়োজনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক এবং সানেমের নির্বাহী পরিচালক ড. সেলিম রায়হান। ড. সেলিম রায়হান বলেন, প্রতিবেশি দেশগুলোর তুলনায় বাংলাদেশে শুল্ক ও শুল্কের হার বেশি। এছাড়াও আমরা এখনও আমদানি করের ওপর অনেক বেশি নির্ভরশীল। রাজস্ব খাতে সংস্কারের অভাব এবং প্রত্যক্ষ করের মাধ্যমে কর বৃদ্ধিতে সরকারের ব্যর্থতার ফলে পরোক্ষ কর ও আমদানি করের ওপর ব্যাপক নির্ভরতা দেখা দিচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের রফতানি নীতি অনুসারে, আমাদের রফতানি পণ্যের স্বল্প বৈচিত্র‍্য, সীমিত প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) এবং বাণিজ্যের সুবিধার ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসহ শুধুমাত্র তৈরিপোশাক খাতের দ্বারা প্রভাবিত একটি রফতানি ভিত্তিকে সমর্থন করার জন্য মূলত নগদ এবং কর রিটার্নের প্রণোদনার ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে। অপরদিকে, আমদানি নীতির পরিপ্রেক্ষিতে, বাংলাদেশ তার প্রতিযোগি দেশগুলোর চেয়ে উচ্চতর শুল্কসহ কোথাও জটিল প্যারা-ট্যারিফ ব্যবস্থা অনুসরণ করছে।

সার্বিক অবস্থা বিবেচনায়, এটি বাণিজ্যিক নীতি, গতিশীল শুল্ক সমন্বয়, নীতিগুলির মধ্যকার কার্যকর সমন্বয় এবং আগ্রহী পক্ষগুলির অংশগ্রহণের একটি সমন্বিত কাঠামো প্রতিষ্ঠার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। ইইউ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ব্যবহার করার জন্য সম্ভাবনাময় তালিকার বাইরে পণ্য এবং বাজারের বৈচিত্র্যের ওপর আরও জোর দেওয়া উচিত বলে তিনি মত প্রকাশ করেন। এছাড়াও তিনি ক্রমান্বয়ে শুল্ক হ্রাস, আমদানি নীতির আধুনিকীকরণ, শুল্ক পদ্ধতির সরলীকরণ, বাণিজ্যের সুবিধার উন্নতি, অটোমেশনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

অধ্যাপক সেলিম রায়হান আরও বলেন, বাণিজ্যিক, শিল্প ও আর্থিক খাতের সংশ্লিষ্ট নীতিগুলোর সমন্বয়ের মাধ্যমে বিদ্যমান পরিস্থিতির উন্নয়ন সম্ভব। দীর্ঘমেয়াদে প্রতিযোগি সক্ষমতা বাড়াতে রফতানি ও আমদানি নীতির সংস্কারের কোনো বিকল্প নেই।

অনুষ্ঠানের নির্ধারিত আলোচনায় বিকেএমইএ’র সাবেক সভাপতি মো. ফজলুল হক, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের জয়েন্ট চিফ (ইন্টারন্যাশাল  কোঅপারেশন ডিভিশন) মো. মসিউল ইসলাম, বেসিস’র প্রাক্তন সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর, ডেল্টা ফার্মা লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বাপি’র সেক্রেটারি জেনারেল ডা. মো. জাকির হোসেন এবং ফকির ফ্যাশন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফকির কামরুজ্জামান নাহিদ অংশগ্রহণ করেন।

বিকেএমইএ’র সাবেক সভাপতি মো. ফজলুল হক বলেন, এলডিসি গ্রাজুয়েশনের পর বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত ধ্বংস হয়ে যাবে, এ সম্ভাবনা নেই, তবে আমাদেরকে এ খাতে উচ্চমানের পণ্যের উৎপাদনের দিকে মনোনিবেশ করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, সরকার একদিকে প্রণোদনা সহায়তা হ্রাস করছে, অপরদিকে জ্বালানিসহ অন্যান্য সেবার মূল্য বৃদ্ধি করছে। ফলে বেসরকারি খাত ক্রমাগত প্রতিকূল অবস্থায় পড়ছে, যা মোটেই কাম্য নয়।

মো. মসিউল ইসলাম বলেন, এলডিসি পরবর্তী সময়ে আমাদের ৪৩টি পণ্যের ওপর শুল্কমুক্ত সুবিধাপ্রাপ্তি হতে বঞ্চিত হবো; তাই এলডিসি পরবর্তী সময়ে শিল্পখাতে নগদ সহায়তা কিভাবে বিকল্প পন্থায় প্রদান করা যায়, সে বিষয়ে নীতি-কৌশল প্রণয়ন করতে হবে। তৈরি পোশাক উৎপাদনের ক্ষেত্রে আমাদের এখন কমপক্ষে ৭০% ম্যান-মেইড ফাইবার ব্যবহারের দিকে এগোতে হবে; কেননা বিশ্ববাজারে এর চাহিদা দিন দিন বাড়ছে, তাই এখানে পিছিয়ে যাওয়া কোনভাবেই চলবে না। 

সৈয়দ আলমাস কবীর বলেন, আমাদের রফতানি পণ্যের বিদ্যমান বাজারে নতুন নতুন পণ্য রফতানি সম্প্রসারণ, মানবসম্পদের দক্ষতা উন্নয়ন এবং বিশেষ করে তথ্য-প্রযুক্তি ভিত্তিক পণ্যের বাজার সম্প্রসারণে সম্ভাবনাময় ৫টি দেশে বিপণন অফিস স্থাপন করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, পণ্যের বহুমুখীকরণের পাশাপাশি এখন পণ্যের এক্সটেনশন বা বর্ধিতকরণও করার সময় এসেছে। পাশাপাশি বেসরকারি খাতের আওতায় এ ধরনের গবেষণা কার্যক্রমকে এগিয়ে নিতে প্রণোদনা প্রদান করতে হবে।

ডেল্টা ফার্মা লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. মো. জাকির হোসেন বলেন, এলডিসি উত্তোরণের পরও যেন বাংলাদেশ ট্রিপস-এর সুবিধাটি কমপক্ষে আরও ছয় বছর পেতে পারে তার জন্য কার্যকর নেগোসিয়েশন প্রয়োজন। এছাড়াও বেশকিছু পণ্য এ সময়ের মধ্যেই রেজিস্ট্রেশন করিয়ে নিতে পারলে তা পরবর্তীতে আর পেটেন্টের আওতায় আনতে হবে না এবং দেশীয় বাজারে ওষুধের দামও নাগালের মধ্যে থাকবে।

তিনি সরকারকে এ খাতে নতুন নতুন উদ্ভাবন নিয়ে আসতে বিদেশি প্রতিষ্ঠানসমূহের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে গবেষণা কেন্দ্র স্থাপনের প্রস্তাব করেন; যা প্রযুক্তি আদান-প্রদানে সহায়তা করবে।

ফকির ফ্যাশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফকির কামরুজ্জামান নাহিদ বলেন, এলডিসি পরবর্তী সময়ে জিএসপি সুবিধা চলে গেলে আমাদের তৈরি পোশাক পণ্যের মূল্য ৯.৫% বৃদ্ধি পাবে, ফলে বাংলাদেশ বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়বে। এছাড়াও বন্দর ব্যবস্থাপনার অটোমেশনের মাধ্যমে পণ্য রফতানিতে লিড টাইম হ্রাসের ওপর জোর দিতে হবে।

এমআর/এফএ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর