দেশের বাজারে আবারও স্বর্ণের দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে এক হাজার ৫০ টাকা কমিয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম এক লাখ ৭০ হাজার ৭৬১ টাকা নির্ধারণ করেছে সংগঠনটি।
শনিবার (১০ মে) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে বাজুস। রোববার (১১ মে) থেকে নতুন এ দাম কার্যকর হবে।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য কমেছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।
নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে এক লাখ ৭০ হাজার ৭৬১ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি এক লাখ ৬৩ হাজার ৪ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি এক লাখ ৩৯ হাজার ৭১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম এক লাখ ১৫ হাজার ৫৩২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানিয়েছে, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গহনার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।
এর আগে, সবশেষ গত ৮ মে দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় ভরিতে তিন হাজার ১৩৭ টাকা কমিয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম এক লাখ ৭১ হাজার ৮১১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল।
বিজ্ঞাপন
এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি এক লাখ ৬৩ হাজার ৯৯৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি এক লাখ ৪০ হাজার ৫৭৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম এক লাখ ১৬ হাজার ২৬৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছিল গত ৯ মে থেকে।
এ নিয়ে চলতি বছর ৩১ বার দেশের বাজারে সমন্বয় করা হলো স্বর্ণের দাম। যেখানে দাম বাড়ানো হয়েছে ২১ বার, আর কমেছে মাত্র ১০ বার। আর ২০২৪ সালে দেশের বাজারে মোট ৬২ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছিল। যেখানে ৩৫ বার দাম বাড়ানো হয়েছিল, আর কমানো হয়েছিল ২৭ বার।
স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রূপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রূপা বিক্রি হচ্ছে দুই হাজার ৮১১ টাকায়।
এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি দুই হাজার ৬৮৩ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি দুই হাজার ২৯৮ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রূপা বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ৭২৬ টাকায়।
এফএ