রোববার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

এবার বাধ্যতামূলক ছুটিতে সাউথইস্ট ব্যাংকের এমডি

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৫ মে ২০২৫, ০৪:৪১ পিএম

শেয়ার করুন:

এবার বাধ্যতামূলক ছুটিতে সাউথইস্ট ব্যাংকের এমডি

সাউথইস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) নুরুদ্দিন মো. ছাদেক হোসেনকে তিন মাসের ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। এই ছুটি রোববার (৪ মে) থেকে কার্যকর হয়েছে, যা চলবে আগামী ৪ আগস্ট পর্যন্ত। এই সময়ে এমডি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এএমডি) আবিদুর রহিম চৌধুরী।

সোমবার (০৫ মে) সংশ্লিষ্ট সূত্র এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।


বিজ্ঞাপন


জানা গেছে, ব্যাংকটির সাবেক চেয়ারম্যান আলমগীর কবিরের সময়ে সাউথইস্ট ব্যাংকে নানা অনিয়ম হয়েছে। এসব অনিয়মের সঙ্গে নুরুদ্দিন মো. ছাদেক হোসেনের সম্পৃক্ততা তদন্তের জন্য ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ তাকে ছুটিতে পাঠিয়েছে।

এর আগে দেশের সাতটি ব্যাংকের এমডিকে ছুটিতে পাঠানো হয়। এর মধ্যে কোনো ব্যাংকের এমডিকে ছুটিতে পাঠানো হয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরামর্শে, আবার কোনো ব্যাংকের এমডিকে পরিচালনা পর্ষদ নিজে থেকে ছুটিতে পাঠিয়েছে। মূলত অনিয়মের সঠিক তদন্ত করার লক্ষ্যে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক ও সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলো। সবশেষ গত মাসে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশের এমডি মুহাম্মদ মুনিরুল মওলাকে তিন মাসের ছুটি দেওয়া হয়েছে।

কেনাকাটা, সংস্কার ও প্রচারের নামে বেসরকারি খাতের সাউথইস্ট ব্যাংকে বড় অঙ্কের অর্থ তছরুপ হয়েছে বলে জানা গেছে। পাশাপাশি ব্যাংকটিতে নিয়োগ, তহবিল ব্যবহার ও ঋণের ক্ষেত্রেও নানা ধরনের অনিয়ম হয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ব্যাংকটির অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা ও বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শনে এসব অনিয়ম ধরা পড়েছে।

এসব অনিয়মে অভিযুক্ত তিন কর্মকর্তা ইতিমধ্যে ব্যাংক থেকে পদত্যাগ করেছেন। তারা হলেন ওয়ারেস উল মতিন, মোহাম্মদ তানভীর রহমান ও এ কে এম নাজমুল হায়দার। ওয়ারেস উল মতিন ব্যাংকটির সাতটি বিভাগের দায়িত্বে ছিলেন। মোহাম্মদ তানভীর রহমান ছিলেন ব্যাংকটির করপোরেট অ্যাফেয়ার্স ও করপোরেট সোশ্যাল রেসপনসিবিলিটি বিভাগের প্রধান। এ কে এম নাজমুল হায়দার ছিলেন কোম্পানি সচিব।


বিজ্ঞাপন


নিরীক্ষায় জানা গেছে, উল্লিখিত কর্মকর্তারা সাউথইস্ট ব্যাংকে অনিয়মের চক্র গড়ে তুলেছিলেন। তারা মূলত তৎকালীন পরিচালনা পর্ষদের হাতিয়ার ছিলেন।

ব্যাংকটিতে যখন এসব অনিয়ম হয়েছে, তখন ব্যাংকটির চেয়ারম্যান ছিলেন আলমগীর কবির। সিকিউরিটিজ আইন লঙ্ঘনের দায়ে বড় অঙ্কের জরিমানার পরও তিনি ব্যাংকটির চেয়ারম্যানের দায়িত্বে ছিলেন। পরবর্তীকালে চেয়ারম্যান পদ ছাড়লেও পরিচালক পদে বহাল তিনি।

২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর সেপ্টেম্বর মাসে ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদে বদল আসে। ২০ বছর পর আবারও ব্যাংকের চেয়ারম্যানের দায়িত্বে ফেরেন এম এ কাশেম। তিনি ব্যাংকটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ছিলেন। তার আগে ২০০৪ সাল থেকে টানা ২০ বছর ব্যাংকটির চেয়ারম্যানের দায়িত্বে ছিলেন আলমগীর কবির।

ইএ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর