শ্রমিকরাই দেশের উন্নয়নের প্রাণশক্তি: বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশন

আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবসের ইতিহাস, আত্মত্যাগ ও সংগ্রামের ইতিহাস। মহান স্বাধীনতা যুদ্ধ, জুলাই গণঅভ্যুত্থানসহ সব আন্দোলন-সংগ্রামে শ্রমিকদের অংশগ্রহণ ছিল স্বতঃস্ফূর্ত। শ্রমিকরাই এদেশের উন্নয়নের প্রাণশক্তি, শ্রমিকদের ঘামে গড়ে ওঠে অর্থনৈতিক ভিত। 

বৃহস্পতিবার (১ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মহান মে দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের আয়োজনে অনুষ্ঠিত সমাবেশে এসব কথা বলেন বিড়ি শ্রমিক নেতৃবৃন্দ।

সকাল ১০টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি আমিন উদ্দিন বিএসসি ও সাধারণ সম্পাদক হারিক হোসেনের নেতৃত্বে একটি র‌্যালি ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। 

এসময় বিড়ি শিল্পের ওপর থেকে সব ধরনের ট্যাক্স প্রত্যাহার, বিড়ি শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন প্রণয়ন, সরকারি রাজস্ব বৃদ্ধির জন্য বিড়ির শুল্ক বৃদ্ধি না করে নকল বিড়ি উৎপাদন ও বিক্রি বন্ধ করা, জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে জেলা পর্যায়ে নকল বিড়ি প্রতিরোধ কমিটি গঠন এবং সব বিড়ি ব্যবসায়ীকে ট্যাক্সের আওতায় আনার দাবি জানান বক্তারা।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, বিড়ি শিল্প শ্রমিক নির্ভর একটি শিল্প। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিড়িতে কোনো শুল্ক ছিল না। বিড়ি একটি কুটির শিল্প হিসেবে পরিচিত ছিল। এই শিল্পকে ধ্বংস করতে বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার বিদেশি সিগারেট কোম্পানিগুলোকে নানা সুযোগ-সুবিধা দিয়েছে। ফলে রাজস্ব প্রদানকারী বিড়ি মালিকরা কারখানা বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে। সুতরাং বিড়ি শিল্প রক্ষার্থে আগামী বাজেটে এই শিল্পের ওপর থেকে সব ধরনের ট্যাক্স প্রত্যাহার করতে হবে এবং ন্যূনতম মজুরি বাড়াতে হবে।