শুক্রবার, ২১ মার্চ, ২০২৫, ঢাকা

যে কারণে নতুন নোট বিতরণের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে বাংলাদেশ ব্যাংক

ঢাকা মেইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০ মার্চ ২০২৫, ০৭:২৫ পিএম

শেয়ার করুন:

loading/img

প্রতি বছরই ঈদে নতুন নোট বিনিময় করে থাকে বাংলাদেশ ব্যাংক। কিন্তু এবার হঠাৎ করেই আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে জনসাধারণের মাঝে নতুন নোট বিনিময় স্থগিত করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। অর্থাৎ ঈদ উপলক্ষে ১৯ মার্চ থেকে জনসাধারণের মধ্যে যে নতুন টাকা ছাড়ার কথা ছিল তা স্থগিত করা হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক হঠাৎ কেন এমন সিদ্ধান্ত নিল —এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, টাকায় শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি থাকায় কয়েকটি পক্ষ থেকে আপত্তি উঠেছে। তাই নতুন নোট বাজারে ছাড়া হচ্ছে না।


বিজ্ঞাপন


তবে বাজারে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবিসহ যেসব নোট রয়েছে, সেগুলোর ব্যবহার অব্যাহত থাকবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক আগামী মাসের মধ্যে নতুন নকশার নোট বাজারে আনতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

সোমবার (১০ মার্চ) বিভিন্ন ব্যাংকে পাঠানো চিঠিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলেছে, আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে জনসাধারণের মাঝে নতুন নোট বিনিময় কার্যক্রম বন্ধ রাখার জন্য পরামর্শ দেওয়া হলো। পাশাপাশি ব্যাংকের শাখায় যে নতুন নোট গচ্ছিত রয়েছে, তা বিনিময় না করে সংশ্লিষ্ট শাখায় সংরক্ষণ করার জন্য বলা হলো।

পুনঃপ্রচলনযোগ্য নোট দ্বারা সকল নগদ লেনদেন কার্যক্রম সম্পাদনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে চিঠিতে।

এদিকে, বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারাও নতুন নোট পাবেন না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।


বিজ্ঞাপন


বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান গণমাধ্যমকে বলেন, এবার ঈদে নতুন নোট বিনিময় করা হবে না। তবে বাজারে যেসব নোট রয়েছে, তার প্রচলন অব্যাহত থাকবে।

কী কারণে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হল জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এ কারণ বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে জানানো হয়নি। এমনকি বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা প্রতি বছর নতুন নোট পায়। আমরাও সেটা এবার পাব না।’

জানা গেছে, নতুন নকশার নোট বাজারে আসবে এপ্রিল-মে মাসে। সেই টাকার নকশা থেকে শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি বাদ দেওয়া হচ্ছে। এর পরিবর্তে জুলাই বিপ্লবের গ্রাফিতিসহ বিভিন্ন স্থাপনা নতুন নোটের নকশায় স্থান পাচ্ছে।

টাকা ছাপানোর সঙ্গে যুক্ত একজন কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে জানান, বিশ্বের মাত্র ৮ থেকে ১০টি কারখানা থেকে ১৯০টি দেশ টাকা ছাপানোর কাগজ কিনে থাকে। ফলে চাইলেই হঠাৎ করে টাকার নকশা পরিবর্তন করে নতুন নোট ছাপানো যায় না। এছাড়া কালি, ডাইসসহ টাকা ছাপানোর সব সরঞ্জাম বিদেশ থেকে আনতে হয়। ফলে নকশা পরিবর্তন করে নতুন নোট আনতে দুই বছর সময় প্রয়োজন। তবে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে দ্রুত সময়ে নতুন নোট আনতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এতে টাকার নিরাপত্তার পাশাপাশি মানও বিবেচনায় রাখতে হচ্ছে।

এর আগে, গত ১৬ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় ব্যাংক এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছিল, পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে নতুন টাকা পাওয়া যাবে ১৯ মার্চ থেকে। এবার ৫, ২০ ও ৫০ টাকার নতুন নোট দেওয়া হবে। নতুন নোট বিনিময় হওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশ ব্যাংক ও কয়েকটি ব্যাংকের শাখার মাধ্যমে। ২৫ মার্চ পর্যন্ত জনসাধারণ ও গ্রাহকদের মধ্যে নতুন নোট বিনিময়ের পরিকল্পনা ছিল।

এমএইচটি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন


News Hub