পবিত্র রমজান মাস ও ঈদে চাহিদা বাড়ে এমন ৯টি ভোগ্যপণ্যের আমদানি উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বেড়েছে। পণ্যগুলো হলো- চিনি, সয়াবিন তেল, ডাল, মটর, ছোলা, পেঁয়াজ, রসুন, আদা, খেজুর। প্রতিটি পণ্যের আমদানি বেড়েছে ২০ থেকে ৮৫ শতাংশ পর্যন্ত।
বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
বিজ্ঞাপন
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের অক্টোবর থেকে চলতি বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত এসব পণ্যের আমদানিতে গড়ে ৩৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এর মধ্যে ছোলা ও মটর ডালের আমদানিতে সর্বোচ্চ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এই প্রবৃদ্ধি বাজারে সরবরাহ ব্যবস্থা স্বাভাবিক ও পণ্যের মূল্য সহনীয় রাখতে সহায়ক হবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
সংশ্লিষ্টরা জানান, ব্যাংক-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে নগদ মার্জিনের হার নির্ধারণ ও বিলম্বে আমদানি বিল পরিশোধের সুযোগ দেওয়ায় রমজানের আগে এসব পণ্যের আমদানিতে আগ্রহ বেড়েছে ব্যবসায়ীদের।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, এই চার মাসে চিনি আমদানি হয়েছে ৪ লাখ ৫৪ হাজার ৩৪ মেট্রিক টন। এটি আগের অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ২০ শতাংশ বেশি। এ সময়ে সয়াবিন তেলের আমদানি ৩৪ শতাংশ বেড়ে দাড়িয়েছে ৫ লাখ ৯৮ হাজার ২৫২ মেট্রিক টন। ডাল জাতীয় পণ্যের আমদানি ৪৪ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ১ লাখ ৫৭ হাজার ৮৩৭ মেট্রিক টন।
এছাড়াও ছোলা আমদানি হয়েছে ৯৭ হাজার ৫৫৫ মেট্রিক টন, যা গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৬৪ শতাংশ বেশি। খেজুরের আমদানি ২৩ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ১৪ হাজার ৪২০ মেট্রিক টন। আলোচ্য সময়ে সর্বোচ্চ ৮৫ শতাংশ আমদানি বেড়েছে মটর ডালের। এ সময়ে পণ্যটির আমদানি হয়েছে ২ লাখ ২ হাজার ৮৪৫ মেট্রিক টন।
বিজ্ঞাপন
দেশে পর্যাপ্ত পেঁয়াজ উৎপাদন হওয়ার পরও এই চার মাসে পণ্যটির আমদানি ২ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ২ লাখ ৮০ হাজার ৬১১ মেট্রিক টন। এ সময়ে রসুনের আমদানি ২০ শতাংশ বেড়েছে। পণ্যটির আমদানি হয়েছে ৬১ হাজার ৩৮১ মেট্রিক টন। আদার আমদানি ৫৬ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৫২ হাজার ৫১৫ মেট্রিক টন।
জানা গেছে, গত ১১ নভেম্বর এই ৯টিসহ ১১ ধরনের ভোগ্যপণ্য আমদানিতে বিলম্বে বিল পরিশোধের অনুমতি দিয়ে সার্কুলার জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। রমজানের আগে দ্রব্যমূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখা ও সরবরাহ নির্বিঘ্ন রাখতে আমদানির ক্ষেত্রে লেনদেন সহজ করতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত এ সুবিধা বহাল থাকবে। এর আগে এসব পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে ব্যাংক-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে নগদ মার্জিনের হার নির্ধারণের সুযোগ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। গত ৬ নভেম্বর এ সংক্রান্ত সার্কুলারে বলা হয়, ব্যাংক-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে শূন্য মার্জিনেও এসব পণ্যের এলসি করা যাবে। এসব পদক্ষেপে সংশ্লিষ্ট পণ্যগুলোর আমদানি উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বেড়েছে।
টিএই/এফএ