রাজধানীতে দুই মাস আগেও যে আলু ৮০ টাকা কেজিতে কিনতে হয়েছে, তা এখন ২০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। শুধু আলু নয়, পাশাপাশি কম দামে মিলছে সব ধরনের সবজি। কিছু কিছু সবজি একেবারেই অবিশ্বাস্য কম দামে বিক্রি হচ্ছে। এমনকি ধনীদের সুপারশপেও কম দামে মিলছে সবজি। বাজারভেদে কম বেশি হলেও মহল্লার বউবাজারগুলোতে ১০০ টাকার সবজি কিনলেই ব্যাগ ভরে যাচ্ছে। তবে মাছের দাম কিছুটা কম হলেও সপ্তাহের ব্যবধানের কিছুটা বেড়েছে ব্রয়লার মুরগির দাম।
শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, লম্বা বেগুন প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০-৩৫ টাকা, গোল বেগুন ৪০-৫০ টাকা, ফুলকপি ২৫-৫০ টাকা পিস, একই দামে বাঁধাকপি। শালগম ২০-৩০ টাকা, শিম ৪০-৫০ টমেটো ২০-৩০, করল্লা ৭০-৮০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০-৬০ টাকা, মান ও সাইজভেদে লাউ ৩০-৬০ টাকা, শশা ৩০-৪০, মুলা ২০-৩০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। যা গেল সপ্তাহজুড়ে প্রায় একই দামে বিক্রি হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
রাজধানীর বিভিন্ন মহল্লার বাজার ও ভ্যানে ফেরি করে আরও কম দামে মিলছে এসব সবজি। রাজধানীর বাড্ডা আদর্শ নগরের বউবাজারে ১০০ টাকায় মিলবে। সেখানে এক কেজি আলু ২০ টাকা, এক কেজি বেগুন ৩০ টাকা, এক কেজি শালগম ১০ টাকা, টমেটো ২০ টাকা, ফুল কপি বা বাধাকপি ২০ টাকায় মিলছে। যেখানে তিন মাস আগেও এই বাজার করতে ৩০০-৪০০ টাকা গুনতে হতো।
কম দামে কিনতে পেরে খুশি ক্রেতারাও। বাড্ডা এলাকার সাইফুল্লাহ বলেন, আজকে টমেটো শসা কিনলাম ২০ টাকা কইরা। যা কিছুদিন আগেও ১০০ টাকার উপরে ছিল। ১০০-১৫০ টাকাতেই ব্যাগ ভরে যায়। বিক্রেতারা বলছেন, দাম কমলে বেচাবিক্রি ভালো হয়। কাস্টমার বেশি করে কিনে।
বিজ্ঞাপন
কিছুদিন আগেও ২০ টাকার নিচে কোনো শাক পাওয়া যাচ্ছিল না। তবে এখন ১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন শাকের আঁটি। এর মধ্যে পালং শাক ১০-১৫ টাকা, লাল শাক আঁটি ১০ টাকা, ডাটা শাক ১০-১৫ টাকা, লাউ শাক ৩০-৪০, বথুয়া শাক ১৫-২০ টাকা আঁটি বিক্রি হচ্ছে। তবে বাজারে দোকানের তুলনায় ভ্যানে কিংবা ফুটপাতের দোকানগুলোতে প্রত্যেক সবজির দাম ৫-১০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে।

কম দামে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ-কাাঁচা মরিচও। মানভেদে প্রতিকেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪৫-৬০ টাকা, কাঁচামরিচ ৬০-৮০ টাকা। যা গত সপ্তাহেও প্রায় একই দামে বিক্রি হয়েছে। নতুন রসুন বাজারে আসায় দাম কিছুটা কমেছে। প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫০-১৮০ টাকায়। তবে পুরনো শুকনা ও আমদানি করা রসুন ২৩০ টাকার উপরেই বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও নতুন আদা ১৪০-১৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
আরও পড়ুন
অপরদিকে অস্বস্তি রয়েই গেছে মাছ-মাংসের বাজারে। আবারও ২০০ টাকা ছাড়িয়েছে ব্রয়লার মুরগির দাম। সোনালি ৩০০-৩৩০ টাকা। গরুর মাংস ৭২০-৭৮০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।
মাছের বাজারে সাইজ ভেদে তেলাপিয়া ২০০-২৩০ ও পাঙাশ ১৮০ থেকে ২২০ টাকা। যা গেল সপ্তাহেও একই দামে বিক্রি হয়েছে। অন্য মাছের মধ্যে মাঝারি ও বড় আকারের চাষের রুই, কাতলা ও মৃগেল মাছের দাম প্রতি কেজি ২৮০ থেকে ৪০০ টাকা। এছাড়াও ৬০০ টাকার নিচে নেই পাবদা, টেংরা, কই, বোয়াল, চিতল, আইড় ও ইলিশ মাছ। মাছ যত বড় তার দাম তত বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।
টিএই/জেবি

