এখন প্রতিবছরের ডিসেম্বর মাসে ব্যাংক একাউন্ট থেকে আবগারি শুল্ক কাটা হয়। এই টাকা আসলে কী খাতে কাটা হয় বা কার কোষাগারে যায় তা নিয়ে প্রশ্ন আছে অনেক গ্রাহকের মনে। আবার দেখা যায় কিছু একাউন্ট থেকে টাকা কাটা হলেও কিছু একাউন্ট থেকে কাটা হয় না। এ নিয়েও তৈরি হয় দ্বিধা।
প্রথমে আবগারি শুল্কের প্রসঙ্গে আসা যাক। যেকোনো ব্যাংক একাউন্ট পরিচালনা করার জন্য সরকারকে দুই ধরনের কর প্রদান করতে হয়। একটি হলো আয় কর, আর অন্যটি হল আবগারি শুল্ক। ব্যাংক থেকে আপনি কোনো সুদ বা মুনাফা পেলে যেমন আপনার কাছ থেকে আয় কর কেটে রাখা হয়, ঠিক তেমনি ব্যাংকে টাকা রাখলেই নির্দিষ্ট পরিমাণ ব্যালেন্সের অতিরিক্ত হলেই সাধারণত এক ক্যালেন্ডার বছরে একবারই নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ আপনার একাউন্ট থেকে কাটা হয়। এটি ব্যাংকের কোনো সেবা মাশুল নয়। আপনার হিসাবে টাকার পরিমাণ একটি নির্দিষ্ট সীমা স্পর্শ করায় সরকার আপনার কাছ থেকে টাকা কেটে রাখছে। এই টাকা যায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কাছে।
বিজ্ঞাপন
এবার জানাব কী পরিমাণ টাকা একাউন্টে লেনদেন হলে কত শুল্ক কাটা হয়। যে কোনো ধরনের হিসাবের ব্যালেন্স যদি ওই বছরের যেকোনো সময়ে এক লক্ষ টাকা অতিক্রম না করে তাহলে কোনো আবগারি শুল্ক দেওয়া লাগে না। এক লক্ষ টাকার চেয়ে বেশি কিন্তু ৫ লক্ষ টাকা বা তার কম হলে বছরে একবার ১৫০ টাকা কেটে নেওয়া হয়। ৫ লক্ষ টাকার বেশি কিন্তু ১০ লক্ষ টাকা ব্যালেন্স বা তার কম হলে ৫০০ টাকা আবগারি শুল্ক কাটা হয়। ১০ লক্ষ টাকার বেশি কিন্তু এক কোটি টাকা বা তার কম ব্যালেন্স হলে ৩০০০ টাকা এবং ১ কোটি টাকার বেশি কিন্তু পাঁচ কোটি টাকা বা তার কম হলে ১৫ হাজার টাকা এবং ৫ কোটি টাকার ঊর্ধ্বে হলে ৪০ হাজার টাকা আবগারি শুল্ক কর্তন করা হয়।
এসএ/এএস

