খাবার হোটেল কিংবা বেকারিতে ব্যবহার হয় মুরগির সাদা ডিম। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সাদা ডিমের দাম লাল ডিমের তুলনায় কম। তাই বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে এ ডিমের ব্যবহার বেশি। তবে সাধারণ মানুষ লাল ডিম খেতে পছন্দ করেন। কিন্তু রাজধানীর বাজারের চিত্র বলছে, হঠাৎ যেন সে প্রেক্ষাপট বদলে গেছে। লাল ডিমের জায়গা দখল করে নিয়েছে সাদা ডিম।
বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) বিকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের ঢাকা উদ্যান এলাকার হাজী জয়নাল আবেদীন বাজারে গিয়ে দেখা যায়, ডিমের দোকানে মাত্র এক হালি লাল ডিম। বাকী সব সাদা ডিম।
বিজ্ঞাপন
কারণ জানতে চাইলে বিক্রেতা রুহুল আমিন জানান, সরবরাহকারী লাল ডিম দিতে পারেননি।
ঢাকা মেইলের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘আমার এখানে ডিম আসে তেজগাঁও থেকে। কিন্তু আজ (বৃহস্পতিবার) ডিম দিতে পারেনি। দোকান তো বন্ধ রাখতে পারিনা। তাই আরেক জায়গা থেকে ৩০০ ডিম ম্যানেজ করেছি। তাও আবার সাদা ডিম।’
সাদা ডিমের দাম জানতে চাইলে এই বিক্রেতা বলেন, ‘হালি ৬০ টাকা। ডজন ১৭০ টাকা।’
সাদা ডিমের দাম তো তুলনামূলক কম হয়, এখন বেশি কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘লাল ডিমের তুলনায় সাদা ডিমের ডজনে সব সময় ২০ থেকে ৩০ টাকা দাম কম থাকে। আমরা দোকানেও সাদা ডিম রাখতাম না। কারণ, খুচরা কাস্টমার সাদা ডিম খায় না। কিন্তু এখন লাল ডিম সংকট। আসলে সংকট না। কেউ না কেউ আসলে ইচ্ছা কইরা শর্ট দেখাইতাছে।’
বিজ্ঞাপন
এদিকে, নগরীর অন্যান্য এলাকায় এসময় লাল ডিমের দেখা মিলেছে। তবে ডজন ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা। পাড়া-মহল্লার দোকানে ডজন ১৯০ টাকা দরেও বিক্রি করতে দেখা গেছে।
ডিমের এমন মূল্যবৃদ্ধিতে বিরক্ত অনেক ক্রেতাই। শাহ নেওয়াজ নামে এক ক্রেতা ঢাকা মেইলের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, ‘শুধু ডিমেই মাসে আমার ৩০০ টাকা খরচ বেড়েছে। বাসায় ডিমটা লাগে। বাসায় বাচ্চা আছে, বয়স্ক মানুষ আছে, অন্যান্য জিনিস না থাকলেও তাদের জন্য ডিমটা লাগেই। সেই ডিমেই আমার মাসে ৩০০ টাকা খরচ বাড়ছে। এভাবে চলে?’
কারই/এমএইচটি