নিত্যপণ্যের দাম নিয়ে অস্থিরতা ছুঁয়েছে কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সাবেক সভাপতি গোলাম রহমানকেও। বললেন, বাজার তো দিনদিন অস্থির হয়ে উঠছে। এখনই নিয়ন্ত্রণে শক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে।
তবে বাজারে নিত্যপণ্যের দাম অস্বাভাবিক বাড়লে একান্ত প্রয়োজন ছাড়া সাময়িক সময়ের জন্য পণ্য না কিনে ভোক্তারা প্রতিবাদ করলে বাজার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হবে বলে মনে করেন দুদকের সাবেক এই চেয়ারম্যান।
বিজ্ঞাপন
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার পতনের পর দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নেয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার দুই মাসে এসে বড় অস্থিরতার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি। বিশেষ করে সাধারণ মানুষকে হাতের নাগালে থাকা ডিম-ব্রয়লার মুরগি কিনতে গিয়েও হিমশিম খেতে হচ্ছে। এরমধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে ডিম ও মুরগির দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু বাজারে তার মোটেও প্রভাব নেই।
এমন অবস্থায় ভোক্তারা কী করতে পারেন- এমন প্রশ্নের জবাবে ক্যাবের সভাপতির দায়িত্ব থেকে বিদায় নেওয়া গোলাম রহমান বলেন, ‘বাজার ঠিক করতে ভোক্তাকে প্রতিবাদী হতে হবে। যখন একটি পণ্যের দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়ানো হয় তখন আপনি (ক্রেতা) কিনবেন না। প্রয়োজন বিবেচনা করে কম কিনবেন কয়েকদিন। তাতে কী খুব সমস্যা হবে? আমাদের কেনাকাটা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। এভাবে চলতে থাকলে বাজার স্বাভাবিক হবেই।
সরকার তো দাম বেঁধে দিয়েছে। কিন্তু বাজারে তো প্রভাব নেই- এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘দাম নির্ধারণ করে দিয়ে সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। আপনি মুক্ত বাজার অর্থনীতিতে বিশ্বাস করেন তাহলে আপনাকে সরবরাহ পরিস্থিতি স্বাভাবিক ও উন্নতি করতে হবে। উৎপাদন খরচ কমাতে হবে। সর্বোপরি বাজারে প্রতিযোগিতা নিশ্চিত করতে হবে। এটা না করা গেলে দাম বেঁধে দিয়ে খুব একটা সুফল মিলবে বলে মনে করি না।
ক্যাবের সাবেক এই সভাপতি বলেন, ‘ডিম-মুরগির দাম নিয়ে অনেক কথা হচ্ছে। এর উৎপাদন খরচ কমাতে হবে। সরকারকে সেই ব্যবস্থা নিতে হবে। আর বারবার সিন্ডিকেটের কথা বলা হয়ে থাকে এটা আসলে কতটা আসে সেটা জানি না। তবে সিন্ডিকেট থাকলে তাদের বিরদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। না হলে মানুষের আরও বেশি কষ্ট হবে দিন চলতে।’
বিজ্ঞাপন
বিইউ/এমআর