মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ঢাকা

‘ব্যাচেলরদের খাবার’ ডিমে হাত দেওয়াও দায়!

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৫ জুলাই ২০২৪, ০২:৪২ পিএম

শেয়ার করুন:

ব্যাচেলরদের ‘খাবার’ ডিমে হাত দেওয়াও দায়!
ছবি: ঢাকা মেইল

আমিষের চাহিদা পূরণে ডিমের বিকল্প নেই। সরল খাবার পদ্ধতি, সহজলভ্যতা ও দাম কম হওয়ার পুষ্টির চাহিদা পূরণে ডিম বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয়। বিশেষ করে রাজধানীসহ সারাদেশে একে ব্যাচেলরদের ‘জাতীয় খাবার’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়। তবে গত কয়েক মাস ধরে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে এই ডিমও ব্যাচেলরসহ সাধারণ মানুষের নাগালে বাইরে চলে গেছে।

শুক্রবার (৫ জুলাই) রাজধানীর একাধিক বাজার ঘুরে প্রতি হালি মুরগির ডিম ৫০ এবং ডজন ১৪০ থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যায়। 


বিজ্ঞাপন


মুদি দোকানগুলোতে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, প্রতি ডজন ডিম ১৫০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। তবে বাজারে পাইকারি কিছু দোকানি ১৪০ টাকা ডজন বিক্রির কথা জানিয়েছেন। আর প্রতি হালি ডিম বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়। তবে পিস হিসেবে দোকানিরা ১৩ বা ১৪ টাকা করে রাখছেন।

আরও পড়ুন

ডিমের বাজার যেন ‘পাগলা ঘোড়া’!

মগবাজার বাটার গলির মুদি দোকানি সালাম মিয়া বলেন, গত সপ্তাহের তুলনায় দাম কিছুটা কমেছে। আগে ৫৫ থেকে শুরু করে ৬০ টাকা হালিও বিক্রি করেছি। এখন ৫০ টাকা হালি বিক্রি করছি। তবে একটা করে ডিম নিলে ১৩ টাকা রাখা হচ্ছে। সে হিসেবে হালি পড়ছে ৫২ টাকা। কেউ দুইটা ডিম নিলে ২৫ টাকা রাখছি।

Agg2


বিজ্ঞাপন


দাম বাড়ার কারণ জানতে চাইলে এই বিক্রেতা বলেন, ‘এটা তো আসলে আমরা ঠিক বলতে পারি না। পাইকাররা আমাদের যে দাম বলে আমরা সেই দামেই বিক্রি করি।’

মগবাজার চারুলতা মার্কেটের ডিম বিক্রেতা জাহিদুল বলেন, ‘আমার এখানে এক দুইটার খুচরা কারবার নাই। সর্বনিম্ন হালি বা ডজন হিসেবে বিক্রি করি। হালি ৫০ টাকা আর ডজন ১৪০ টাকায় বিক্রি করছি।’

আরও পড়ুন

সবজির বাজার চড়া, ফের শতক হাঁকিয়েছে পেঁয়াজ

এদিকে ডিমের দাম নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন ক্রেতারা। আব্দুল হালিম নামে এক ক্রেতা বলেন, ‘ডিমটা তো একদম নিয়মিত খাবারের মধ্যে একটা। বাসায় ডায়াবেটিস আক্রান্ত মা আছে। দুইটা বাচ্চা আছে। আমি আর আমার ওয়াইফ নিয়মিত না খেলেও মা ও বাচ্চাদের সকালে একটা করে ডিম খেতে দিই। এখন দাম এত বেশি যে, মাসের শেষে এটা চালু রাখতে হিমশিম খাচ্ছি।’

শাকিল নামে অপর এক ক্রেতা বলেন, ‘ব্যাচেলর বাসায় মাসের শুরু ও শেষে খাবার বলতে আলু ভার্তা আর ডিম। কারণ এসময় মিলে জমা টাকা থাকে না। কিন্তু এখন এটা মাছ-মাংসের থেকেও দামি হয়ে গেছে। মাছ মাংসের পাশাপাশি প্রতিদিনের খাবারে ডিম রাখাটাও কষ্টকর হয়ে গেছে।’

এমএইচ/জেবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর