শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

লাফিয়ে বাড়ছে আটা-ময়দার দাম, বিকল্প খোঁজার পরামর্শ

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১৮ মে ২০২২, ০১:১৪ পিএম

শেয়ার করুন:

লাফিয়ে বাড়ছে আটা-ময়দার দাম, বিকল্প খোঁজার পরামর্শ

নিজেদের খাদ্য নিরাপত্তার অজুহাত দেখিয়ে বাংলাদেশে গম রপ্তানি বন্ধ করেছে ভারত। দিল্লির এমন সিদ্ধান্তে বাংলাদেশের বাজারে বাড়তে শুরু করেছে আটা-ময়দার দাম। প্রতি কেজিতে ৩ থেকে ৫ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে আটা ও ময়দার দাম।

বুধবার (১৮ মে) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।


বিজ্ঞাপন


ভারতের ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফরেন ট্রেড শুক্রবার জানিয়েছে, নিজেদের খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দেশটি গম রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। তবে গতকাল আবার নিষেধাজ্ঞা কিছুটা শিথিল করে দেশটি। দেশটির বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত, ১৩ মে পর্যন্ত তাদের কাছে নিবন্ধিত হয়েছে, এ ধরনের চালানগুলো রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হবে।

এদিকে বিশ্বের অন্যতম দুই গম রপ্তানিকারক দেশ ইউক্রেন ও রাশিয়া। যুদ্ধের কারণে দেশ দুটি থেকে গম রপ্তানি বন্ধ রয়েছে। এর মধ্যে ভারতও গম রপ্তানি বন্ধ করায় আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যটির দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়ছে।

গত তিন দিনের মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগোতে গমের বেঞ্চ মার্ক সূচক ৫ দশমিক ৯ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে, যা দুই মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। এছাড়া ২০২২ সালে আন্তর্জাতিক বাজারে গমের দাম বেড়েছে প্রায় ৬০ শতাংশ।

রাজধানীর বাজারে দুই কেজির প্যাকেটজাত আটা বাজারে ৯২ থেকে ৯৬ টাকা বিক্রি হয়ে আসছিল। এর মধ্যে তীর কোম্পানি তাদের আটার দাম বাড়িয়েছে। বাড়তি মূল্যের আটা বাজারে আসবে আগামীকাল।


বিজ্ঞাপন


মিরপুর-১ নম্বর এলাকার মুদি ব্যবসায়ী ফরহাদ হোসেন ঢাকা মেইলকে বলেন, 'তীরের দুই কেজির আটা এখন গায়ের দাম ৯২ টাকা। কাল ৯৮ টাকা হচ্ছে। নতুন দামের আটা আগামীকাল এসে পৌছাবে'।

তীর ছাড়াও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের আটার দামও বাড়বে বলে জানিয়েছেন রায়েরবাজার এলাকার মুদি ব্যবসায়ী হামিদুর রহমান।

ঢাকা মেইলকে তিনি বলেন, 'তীরের দুই কেজিতে ৬ টাকা বাড়ছে৷ বাকিগুলো এখনো জানতে পারিনি। আজ বা আগামীকাল কোম্পানির লোক আসলে জানতে পারব।'

এদিকে গত রমজানে ৪৫ টাকা কেজি দরে খোলা ময়দা বিক্রি হয়েছে। ঈদের পর প্রথম ধাপে ৫ টাকা বাড়ে ময়দার দাম। গত দুইদিনে আবারও বেড়েছে খোলা ময়দার দাম। এখন বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকা কেজি দরে।

গম আমদানির জন্য সরকারকে বিকল্প পথ ভাবতে হবে বলে মনে করেন কনজ্যুমার এসোসিয়েশন বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান।

ঢাকা মেইলকে তিনি বলেন, 'সরকার সেসব দেশ থেকে পণ্য আমদানি করে, যেসব দেশে পণ্যের দাম এবং পরিবহন ব্যয়টা কম। যেহেতু কিছু দেশ রপ্তানি বন্ধ করেছে এখন সরকারকে বিকল্প ভাবতে হবে। হয়তো দাম আগের পর্যায়ে যাবে না তবে সহনীয় পর্যায়ে থাকবে।'

কারই/এমআর

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর